Loading..

প্রকাশনা

২৪ জুলাই, ২০২১ ১০:০৯ অপরাহ্ণ

অনিন্দ সুন্দর মোরেলগঞ্জে সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস

অনিন্দ সুন্দর মোরেলগঞ্জে সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস 

মোঃ জাকির হোসেন রিয়াজ, সহকারি অধ্যাপক, সরকারি এস.এম. কলেজ


চিরসবুজ সৌন্দর্যের সমারোহে আর অফুরন্ত সম্মদে সমৃদ্ধ দক্ষিন বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ মোরেলগঞ্জ। মূলত দুটি পরগনার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মোরেলগঞ্জ উপজেলা। পানগুছি নদীর পূর্বতীরে সেলিমাবাদ পরগনা এবং পশ্চিম তীর থেকে দক্ষিনে সুন্দরবন পর্যন্ত এলাকাটি সুন্দরবন পরগনা নামে পরিচিতি। জনশ্রæতি আছে  যে, মোগল স¤্রাট আকবরের পুত্র সেলিম পানগুছি নদীর পূর্ববর্তী পর্যন্ত আবাদ করেছিলেন বলে এ জনপদটির নাম সেলিমাবাদ পরগনা। সুন্দরবন আবাদের জন্য কোম্পানীর কাছ থেকে ইজাড়া নিয়ে মোরেল পরিবার পানগুনি নদীর পশ্চিম তীরে সরালিয়া খালের দক্ষিন পাড়ে গড়ে তোলে তাদের আস্তানা, যা কুঠিবাড়ী নামে পরিচিত। পরবর্তীতে সেলিমাবাদ ও সুন্দরবন পরগনা মিলে মোরেল পরিবারের নামানুসারে তার নাম করা হয় মোরেলণগঞ্জ।

পীর খানজাহান আলী (রা:) এর স্মৃতি বিজড়িত, কালাদাঁদ আউলিয়া, পীর এ কামেল আব্দুল লতিফ (রা:) এর পূণ্যভূমি সুন্দরবনের সৌন্দর্যঘেরা পানগুছি, কচানদী এবং বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় বাংলাদেশর সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলাও বটে। সুন্দরবনের সৌন্দর্যই নয় এ জনপদে রয়েছে বীর রহিমুল্লাহ ও মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস। এখানে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের এক মায়াবী লীলাভূমি, অনিন্দ সুন্দর মোরেলগঞ্জ। মোরেলগঞ্জ দক্ষিন বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী নদীবন্দর আর সুন্দরবন থেকে এর অর্থনৈতিক ক্ষেত্র বিকাশ পায়। প্রায় ৫ লক্ষাধিক জনঅধ্যুষিত ১ টি পৌরসভা এবং ১৬ টি ইউনিয়ন বিশিষ্ট ৪৩৮ বর্গকিলোমিটার সুন্দরবনসহ ৭৫৬.৬১ বর্গকিলোমিটার এলাকা এক অমীয় সম্ভাবনায়ম জনপদ। মোরেলগঞ্জে অসীম সম্ভাবনাময় দিকগুলো হলো-









১.পর্যটন শিল্প ঃ  বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে মোরেলগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে পারে। মোরেলগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নিদর্শনসমূহ কালাচাঁদ আউলিযার মাজার, আল্লামা আব্দুল লতিফ (রা:) এর নিদশর্ন, তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, রবার্ট মোরেলের স্মৃতিস্তম্ভ, কুঠিবাড়ীর সুউচ্চ স্থাপনা কুঠিয়াল দুর্গ,গোপাল সাধুর মঠ, কুমারখালি দরগাবাড়ীর মাজার, বনগ্রাম রাজবাড়ী, নয়নাভিরাম সুন্দরবন বিশ্বের উৎসুক পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সুন্দরবন রেঞ্জ, কটকা, কচিখালী, হিরন পয়েন্ট, টাইগার পয়েন্ট, দুবলার চর ও জামতলা সী- বীচকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সমন্বিত আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র। ‘‘হেরিটেজ পর্যটন কেন্দ্র” ঐঊজওঞঅএঊ চঅজঔঅঘঞঅঘ ঈঊঘঞঊজ যা প্রতিবছর বিপুল দেশী এবং বিদেশী পর্যটকদের পদভাবে সমৃদ্ধ হয় আর দেশের জন্য বয়ে আনে দেশী ও বৈদেশীক মুদ্রা। এই সম্ভাবনায় পর্যটন শিল্পকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়ন সাধন করে মোরেলগঞ্জকে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা সম্ভব। বিশেষ করে নিশানবাড়ীয়া, জিউধরা এবং খাউলিয়া ইউনিয়নে মোটেল নির্মান করে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব। খাউলিয়ার স্টীমার ঘাট  থেকে সরাসরি সংযোগ রাস্তা, ঢাকা থেকে সরাসরি মোরেলগঞ্জ এসে সেখান থেকে ঈঅইখঊ ঈঅজ এর মাধ্যমে ছোট নদী অতিক্রম করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ নিকেতন সুন্দরবনের অভ্যন্তরে পাশাপাশি কতগুলো স্পট এর সমন্বয়ে  তৈরী করা যায় মিনি পর্যটন নগরী। সেখানে থাকতে পারে ঝঊঅ ডঙজখউ, ডঙঘউঊজ খঅঘউ, ডওখউ চঅজক, ঈওঐখউজঊঘ চঅজক, ঐঙজজঙজ ডঙজখউ গটঝঊটগ, ঝঘঅকঊ ্ ঈজঙঈঙউওখঊ চঅজঊ, জঊঋজঊঝঐগঊঘঞ ঈঊঘঞঊজ ঊঞঈ. একটি কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে ঈঅইখঊ ঈঅজ. প্রতি বছর এই কেন্দ্রেও পর্যটন শিল্প থেকে বিপুল পরিমান দেশী ও বৈদেশীক মুদ্রা আহরন করা সম্ভব।


২. মৎস জোনঃ মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদীর তীর থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত নিন্মাঞ্চল জুড়ে জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নদ-নদী খাল। সমগ্র এলাকাটি মৎস সম্পদের এক বিপুল আধার। ১৮২৯ সালে সুন্দরবন এলাকায় সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ শুরু হয় বলে বিশেষজ্ঞগন মনে করেন। তবে সত্তুর দশকের পর বিশ্ব বাজারে চিংড়ির চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অত্র এলাকাতে সনাতন পদ্ধতিতে ব্যাপক চিংড়ি চাষ শুরু হয়। নি¤œ জমিতে মাটির বাঁধ তৈরী করে, অনেক ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীন খাল কেটে লোনাপানি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করে ঘের তৈরী করা হয়। এসব ঘেরে সমুদ্র উপকূলীয় বিভিন্ন নদ-নদীতে ধৃত বাগদার রেনু পোনা ছাড়া হয়। পোনাগুলো ৩০-৩৫ গ্রাম ওজন হলে ধরা হয় এবং প্রক্রিয়াজাত কারখানার মাধ্যমে বরফজাত হয়ে বিদেশে রপ্তানী হয়। এছাড়াও সুন্দরবন সংলগ্ন নদী, খাল ও বিল থেকে প্রচুর পরিমানে চিংড়ি মাছ ও সাদা মাছ ধরা হয়। 


৩.  কাগজের মিল ঃ  মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠতে পারে অন্যতম কাগজের মিল। সুন্দরবন থেকে আহরণ করা গেওয়া, গরান এবং অন্যান্য কাঠের উপর নির্ভর করে, এছাড়াও কিছু উৎপন্ন দ্রব্য থেকে এখানে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কাগজের মিল।


৪. কোল্ড স্টোরেজ ঃ এখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ প্রক্রিয়াজাত করণ হতে পারে। বিশেষ করে কোল্ড স্টোরেজ থাকলে এখানে মৎস্য এবং আলু প্রক্রিয়াজাত করণ করা যেতে পারে। 


৫. পোল্ট্রি শিল্প ঃ মোরেলগঞ্জ একটি বৃহৎ জনপদ। এখানের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। এখানে পরিকল্পিত পোল্ট্রি খামার গড়ে তোলা যেতে পারে। কারণ এখানকার আবহাওয়া পেল্ট্রি শিল্পের জন্য খুবই উপযোগী। 


৬. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঃ সুন্দবনের  আহরিত কাঁচামাল এবং এরপর স্থানীয় কাঁচামালের সাহায্যে মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠতে পারে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, নলখাগড়া, বাঁশ ও বেতের তৈরী জিনিস পত্র, কাঠের তৈরী বিভিন্ন কুটির শিল্প।


৭.  কারিগরি প্রক্ষিন কেন্দ্রঃ সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে গড়ে উঠতে পারে কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র-এতে করে বেকারত্ব হ্রাস পাবে এবং মানব শক্তিতে রুপান্তরিত হবে।


৮. লবন চাষ ঃ মোরেলগঞ্জে রয়েছে লবন চাষের বিপুল সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সম্ভব।


৯. ইরি চাষ ঃ  অত্র এলাকায় বিশেষ করে উচু জমিতে উচ্চ ফলনশীল ইরি চাষ করে এলাকার জনগনের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব।


১০. টেকসই উন্নয়ন ঃ বিশেষ এলাকাকে মডেল তৈরী করে, তার উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা সবাইকে দেখিয়ে সমউন্নয়নের নীতি অবলম্বন করে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।


১১. বিসিক শিল্প নগরী ঃ নদীবন্দরের সুযোগ, সুন্দরবনের আহরিত সম্পদ এবং বৈদ্যুতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে অত্র জনপদে গড়ে উঠতে পারে বিসিক শিল্প নগরী, এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।


১২.গ্রীন ব্যারেজ তথা গ্রীন রেভুলেশন ঃ সিডর এবং আইলা পরবর্তী এ জনপদে প্রয়োজন ভেরীবাধের সাথে গ্রীন ব্যারেজ তথা গ্রীন রেভুলেশন তৈরী করা। সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন তথা অত্র এলাকাকে পূনর্জীবিত করতে হলে বিশেষ করে  সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেসরকারী এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।

  উপরোক্ত বিষয়গুলো সরকার জনপ্রতিনিধি, তথা দেশের  জনদরদী এবং উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। সমন্বিত প্রয়াসে জনপ্রতিনিধি সহ সবাই এগিয়ে আসলেই মোরেলগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। আর সমন্বিত প্রয়াস হলেই নি¤œলিখিত সমস্যাসমূহ সমাধান করা সম্ভব।


এ জনপদে যা প্রয়োজনঃ

ক) ভেরীবাঁধ ঃ  এ জনপদের প্রধান প্রয়োজন হলো নদীর পার্শ¦বর্তী এলাকায় ভেঁরীবাধ। মোরেলগঞ্জ পৌরসভা তথা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিবেশ বিপর্যয় তথা প্রাকৃতিক দূর্যোগে শহর এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। বছরের ৪/৫ মাস এ জনপদে বাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের রোধ ব্যাধি সৃষ্টি হয়ে পড়ে। এ থেকে মোরেলগঞ্জবাসী পরিত্রান চায়। এ থেকে উত্তোরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবিত- ‘৩৫/২ পোল্ডার বাস্তবায়ন’ এখন সময়ের দাবী। আর এ জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত প্রয়াস।




খ) পানগুছি নদীতে ব্রীজ নির্মান ঃ মোরেলগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। এখানে সেলিমাবাদ ও সুন্দরবন পরগনার মিলন কেন্দ্র পানগুছি নদীতে ব্রীজ প্রয়োজন। যা অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিকে গতিশীল করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।


গ) পর্যটন কেন্দ্র ঃ মোরেলগঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র তথা হোটেল/মোটেল তৈরী না হওয়ার কারণে এখানের রাস্তাঘাট তথা ব্রীজ তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য মোলেগঞ্জ সংলগ্ন খাউলিয়া, জিউধরা, নিশানবাড়ীয়া এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র করা যেতে পারে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।


ঘ) ভোলা নদীর নাব্যতায়  ড্রেজিং ঃ  কৃষিকে আরও ত্বরান্বিত এবং বাঘের আক্রমন থেকে নিরাপদ রাখতে এবং সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য ভোলা নদীত অবিলম্বে ড্রেজিং করা প্রয়োজন। 


ঙ) নদী ভাংঙ্গন ঃ মোরেলগঞ্জ বন্দরকে নদী ভাংগনের হাত থেকে রক্ষার জন্য আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিতে বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। যদিও ইতিমধ্যে নদীর ভাংগন কিছুটা স্তমিত হয়েছে।


চ) কলেজ ও স্কুল সরকারি করন ঃ  মোরেলগঞ্জে শিক্ষার খাত তথা প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে টিকে থাকার জন্য উন্নত শিক্ষার প্রয়োজন। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ঐতিহ্যবাহী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ এবং ঐতিহ্যবাহী এ.সি লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি করণ প্রয়োজন। 


ছ) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ঃ উন্নত যন্ত্রপাতি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে ফলনের পরিমান বাড়ানো সম্ভব। এজন্য মোরেলগঞ্জ এলাকায় একটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র করা প্রয়োজন।


জ) সহজ শর্তে মৌসুমী ঋন ঃ মোরেলগঞ্জ জনপদের অধিকাংশ লোক কৃষিজীবী, মৎসজীবী এবং অসহায়। এই অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহজ শর্তে ঋন দেওয়া হলে তারা কৃষিতে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে এবং অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। 


ঝ) যোগাযোগ ব্যবস্থা ঃ  পন্য বিপনন ও পরিবহন, এলাকাবাসীর চলাচলের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা।  বিশেষ করে সাইনবোর্ড হইতে সুন্দরবন রেঞ্জ তথা বগি রাস্তাটি সত্তর সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।


ঞ) বনায়ন প্রোগ্রাম ঃ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য রাস্তা, উপকূলীয় ভেরীবাঁধ তথা সিডর আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার ব্যাপক বনায়ন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে অত্র এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ জনপদে প্রানচাঞ্চল্য তথা প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।


#  সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোরেলগঞ্জের রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা। মোরেলগঞ্জে ব্যাপক এলাকায় সুন্দরবন অবস্থিত। সযতœ লালন, সঠিক পরিকল্পনা, আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নততর ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো নির্মান, প্রশিক্ষন ও পর্যটন কেন্দ্র নির্মান ও মোরেলগঞ্জ নদী বন্দরকে কাজে লাগিয়ে মোরেলগঞ্জকে অর্থনৈতিক জোন হিসাব প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। আমরা ধীরে ধীরে এই সম্ভাবনার সুনিশ্চিত আধার উন্মোচন করে একটি সমৃদ্ধ মোরেলগঞ্জ গড়ার কাজে অগ্রসর হতে পারি। আর এ জন্য প্রয়োজন সবার সম্মলিত প্রয়াস। ( লেখক ঃ সহকারী অধ্যাপক, সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, যুগ্ম সম্পাদক-বাগেরহাট জেলা রোভার।)

। 



আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি