সহকারী শিক্ষক
২৫ জুলাই, ২০২১ ০৯:৫৮ অপরাহ্ণ
হাদিস শরিফ باب الأطعمة বা খাদ্যবস্তু সম্মন্ধীয় অধ্যায় দাখিল দশম শ্রেণি
ধরন: মাদ্রাসা শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: হাদিস শরফি
অধ্যায়: দ্বাবিংশ অধ্যায়
খাদ্যবস্তু সম্মন্ধীয়
খাদ্য ও পানীয় বস্তু মানুষের মৌলিক ও জৈবিক চাহিদার অন্তর্গত। শরীরকে সুস্থ, সতেজ ও কর্মক্ষম রাখতে হলে যথা সময়ে ও নিয়ম মাফিক খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা অপরিহার্য। শরীর সুস্ত না থাকলে ঠিক মত ইবাদত-বন্দেগীও করা যায় না।
ইসলামী শরীয়তে খাদ্য ও পানীয় উপার্জন, গ্রহণ ও উহার ধরন ইত্যাদি বিষয়ে বহু বিধান রয়েছে। যা প্রতিপালন না করা মানবজাতি ও মুসমানদের জন্য আল্লাহ জাল্লা শানুহু ও তদীয় রাসুলে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবাধ্যতার শামিল।
খাদ্য ও
পানীয়
হতে
হবে
বৈধ
পন্থায় উপার্জিত। তাতে সুদ প্রতারণা, অপহরণ, অন্যায় ও মিথ্যার সংমিশ্রণ
থাকবে
না।
সাথে
সাথে
উহা
হবে
হালাল।
অর্থাৎ নিষিদ্ধ বস্তু
যথা-
মৃত
জন্তু,
শুকর,
মদ,
হিংস্র জন্তু,
নখওয়ালা পক্ষী
ও
মাদক
যেমন
খাদ্য
পানীয়
হবে
না।
হালাল
ও
বৈধ
খাদ্য
পানীয়
গ্রহণেরও রয়েছে
বিশেষ
নিয়ম।
যথা-
ডান
হাত
দ্বারা খাদ্য
ও
পানীয়
গ্রহণ
করা,
নিজ
কোলের
পাশ
হতে
খাদ্য
গ্রহণ
করা,
অপচয়-অপব্যয় না করা, খাদ্য গ্রহণের প্রারম্ভে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা, উদর পূর্তি করে না খাওয়া ও দাঁড়িয়ে খানা-পিনা না করা ইত্যাদি। খাদ্য পানীয়ের মধ্যে বিশেষ কিছু খাদ্য পানীয় হযরত নবি করিম সাঃ সাগ্রহে গ্রহণ করা বা পছন্দ করার কারণে তা মর্যাদাপূর্ণ খাদ্য হিসেবে পরিগণিত হয়েছ্য। যেমন মধু, দুধ, আজওয়া খেজুর, কদু ও মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য ইত্যাদি। খাদ্য-পানীয় দ্রব্যের
এসব
বিধান
মহানবি হজ্রত
মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের জীবন
চরিত
ও
হাদিস
শাস্ত্রের মাধ্যমে জানা
যায়।
কিসে মানুষের কল্যাণ হবে আর কিসে মানুষের জন্য অকল্যাণ আছে তা রাব্বুল আ'লামীন আল্লাহ জাল্লা শানুহুই সম্মক আবগত। তাই শরিয়ত প্রবর্তিত বিধি-বিধানসমূহ সম্পূর্ণরূপে মানব কল্যাণে নিবেদিত। কোন বিধানে কী রহস্য ও নিগুঢ় ত্বত্ত নিহিত আছে তা গবেষণার দাবী রাখে। বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের এ যুগে শরিয়তের অনেক বিধানের কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক গভেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কুকুরের লালার বিষক্রিয়া নষ্ট করতে মাটির কার্যকারিতা, মধু ও খেজুরের খাদ্যগুণ, পেট পুরে না খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি চিরন্তন সত্য হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।
খাদ্য-পানীয়সহ সকল বিষয়ে শরিয়তের বিধি-বিধান নির্দ্বিধায় মান্য করে প্রভুত কল্যাণ লাভ করত এবং বহুবিধ অকল্যাণ হতে রক্ষা পেতে সচেষ্ট হওয়া উচিৎ ।