সিনিয়র শিক্ষক
২৫ জুলাই, ২০২১ ১০:১৪ অপরাহ্ণ
টোকিও অলিম্পিকস: বাংলাদেশের পদক জয়ের 'সত্যিকারের আশা' রোমান সানা
টোকিও অলিম্পিকস: বাংলাদেশের পদক জয়ের 'সত্যিকারের আশা' রোমান সানা
অলিম্পিক গেমসে পদক জয়টা আসলে একটা স্বপ্ন দেখা ও তা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া বলেই মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রীড়াবিদ ডালিয়া আক্তার। তার মতে, কোন দেশ যখন অলিম্পিকসে পদক না পায়, তখন কোন একজনকে পথ দেখাতে হয়, ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের একটা অংশ একটা সময় পর্যন্ত টেনিস অনুসরণ করলেও এটায় ভারত ভালো করতে পারবে বলে মনে করতো না কিন্তু লিয়েন্ডার পেজ অলিম্পিক গেমসে পদক পাওয়ার পর অনেকেই টেনিস খেলার প্রতি ঝুঁকেছিলেন ১৯৯৬ সালের পর।
ডালিয়া আক্তার বলেন, "অলিম্পিকসে মেডেল পাওয়া যে সম্ভব এটা প্রথমে মননে মগজে চিন্তা করাটা জরুরি। সেটা অ্যাথলিটের জন্য যেমন জরুরি, কোন দেশের অ্যাথলেটিক্সের ব্যবস্থাপকদের জন্যও একইভাবে প্রযোজ্য।"
উদাহরণ হিসেবে ভারতের বিখ্যাত ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট পিটি উষার কথা চলে আসে।
ডালিয়া আক্তার একটু পেছনের দিকে ফিরে তাকান, "ভারতের কেউ যে অলিম্পিকসের মতো বৈশ্বিক একটা আসরে দৌঁড়ে মেডেল জিততে পারে এটা অনেকেই ভাবতে পারতো না। পিটি উষা এটা তাদের বিশ্বাস করান যে ভারত ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে মেডেল জয়ের একদম কাছাকাছি আছে।"
পিটি উষার আগে ভারতের হকি দল অলিম্পিকসে সাফল্য পায়, ১৯৫২ সালে খাসাবা দাদাসাহেব যাদব স্বাধীন ভারতের হয়ে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ জেতেন। আর পিটি উষা ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে ৪০০ মিটার হার্ডলসে চতুর্থ হন।
তিনি না জিতেও এই বিশ্বাসটা তৈরি করতে পেরেছেন যে উপমহাদেশের কোন মানুষ ইউরোপ আমেরিকা বা এশিয়ান অ্যাথলিটদের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে ভালো করতে পারেন।
ডালিয়া আক্তারের মতে, বাংলাদেশে ঠিক যথাযথ অবকাঠামোটা না থাকলেও রোমান সানার মতো একক ইভেন্টে যারা সাফল্য পান তাদের জন্য বড় সম্ভাবনা আছে।
এটাকে 'সত্যিকারের একটা আশা' বলছেন তিনি।
"কয়েক মুহূর্তের সঠিক অধ্যবসায়, নিশানা এবং একাগ্রতা- এতটুকু দূরত্ব বাংলাদেশের প্রথম অলিম্পিকস মেডেলের।"