প্রভাষক
২৮ জুলাই, ২০২১ ০৬:০৮ অপরাহ্ণ
করোনায় দেশে ফেরা প্রবাসীদের সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৬:২২ ২৮ জুলাই ২০২১
করোনায় দেশে ফেরা প্রবাসীদের সাড়ে ১৩ হাজার
টাকা করে অনুদান দেবে সরকার নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৬:২২
২৮ জুলাই ২০২১
এনইসি সম্মেলন কক্ষে
অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক
চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা - পিআইডি
বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটে
২০২০ সালে বিদেশ থেকে ফেরত আসা প্রায় ৫ লাখ প্রবাসীকে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৩ হাজার
টাকা করে অনুদান দিবে সরকার। এই জন্য ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রত্যাগত
অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে
সহায়ক প্রকল্প’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ
হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে ২০২০ সালে বিদেশ থেকে প্রায় ৫
লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। তারা যেন সামাজিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য
তাদেরকে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এ জন্য ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রকল্পের
অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস ও একটি ইউলুপ নির্মাণ
প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এই আন্ডারপাস ও ইউলুপ নির্মাণ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কে যানজট কমে যানবাহনের গতি বাড়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমে যাবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১)
ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ ও একটি
আন্ডারপাস, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা গেট এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলী
গেট সংলগ্ন স্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে (এন-১) দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ
করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এদিকে, আজ সব মিলিয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক
পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৭৫
কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ১৫০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ
থেকে ৪২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো:
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয়
মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস ও পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ প্রকল্প’ এবং
‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (ময়মনসিংহ জোন) (১ম সংশোধিত)’
প্রকল্প। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি
ভবন নির্মাণ প্রকল্প’। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘ইনস্টিটিউট অব টিস্যু
ব্যাংকিং অ্যান্ড বায়োমেটেরিয়াল রিসার্চ-এর সেবা ও গবেষণা সুবিধাদির আধুনিকায়ন ও
সম্প্রসারণ’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘জেলাভিত্তিক মহিলা
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু
কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্প। স্থানীয় সরকার,
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ
পুনর্নির্মাণ/পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা
বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলাধীন বিভিন্ন
স্থানে পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে
অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক’ প্রকল্প এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের
‘বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী, ঠাকুরগাঁও’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর
রাজ্জাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.
তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ
হুমায়ুন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো.
শাহাব উদ্দিনসহ অন্যান্যরা সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।