Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

৩১ জুলাই, ২০২১ ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চিনি মসজিদটি

চিনি মসজিদ

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক শহরগুলোর মধ্যে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য। ফলে রেলের শহর হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুরের কয়েকটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে। সৈয়দপুরে অবস্থিত স্থাপত্য নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম একটি স্থাপনা হচ্ছে চিনি মসজিদ 

নীলফামারী সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিনি মসজিদটি ১৮৬৩ সালে নির্মাণ করা হয়। হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু ইসলামবাগ ছন ও বাঁশ ব্যবহার করে মসজিদটি তৈরী করেন। এরপর এলাকাবাসী সহায়তা এবং পরবর্তীতে শঙ্কু নামের এক হিন্দু ব্যক্তির দ্বারা মসজিদটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে নির্মিত মসজিদে চিনামাটি থালা ও কাঁচের ভাঙ্গা অংশ, মার্বেল পাথর এবং ইট-সুরকি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা। আর সেই থেকে এই মসজিদের নামকরণ হয় চিনি মসজিদ বা চীনা মসজিদ। চীনা মাটির থালার ভাঙ্গা অংশ দিয়ে মোড়ানো বলে অনেকেই এই মসজিদটি চীনা মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদে ব্যবহৃত চিনামাটির তৈজসপত্র কলকাতা থেকে আনা হয়েছিল।

ঐতিহাসিক চিনি মসজিদ নকশা করেছিলেন মো: মোখতুল ও নবী বক্স। মসজিদের দেয়ালে নিখুঁত কারুকার্যে ফুল, চাঁদ, তারা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও মসজিদের আরবীয় ক্যালিপ্ট্রা তৎকালীন সময়ের স্থাপত্য নকশার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে। চিনি মসজিদে আছে ৫টি গম্বুজ এবং ৩২টি সুদৃশ্য মিনার। আর মসজিদের পিছনে রয়েছে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের একটি প্রাচীন কবরস্থান।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি