Loading..

ম্যাগাজিন

০৬ আগস্ট, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং এডগার ডেলের কোণ তত্ত্বের আলোকে বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রেক্ষিতে একটি সম্যক আলোচনা । বিচিত্র কুমার সিংহ

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ । দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন স্বশিক্ষিত জনগোষ্ঠী । তাই এদেশে মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে । শিক্ষার উন্নয়নে জন্য প্রয়োজন ক্লাসরোমের  পাঠদান পদ্ধতির উন্নয়ন ।

বাংলাদেশের শ্রেণিকক্ষের কথায় প্রথমে বলতে হয় রাজধানী,বিভাগ,জেলা কতিপয় স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ১:৫০ , উপজেলা সহ অধিকাংশ বিদ্যালয়ই ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ১:৮০ উপরে অর্থাৎ অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাস । অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাসে অনেকের মত এখনও  ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করাই জটিল,ভাল ক্লাস করাত পরের কথা ।

বাংলাদেশে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান পদ্ধতি এখন শতভাগ লেকচার পদ্ধতি । অংশগ্রহনমূলক শিক্ষাপদ্ধতি এবং ভিজুলাইজ ক্লাস (ডিজিটাল কনটেন্ট) ব্যবহারও নগন্য । শ্রেণীকক্ষে আসন ব্যবস্থাও তথাকথিত । বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা । অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী । এমতাবস্থায় ২০২১ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপযোগি জনগোষ্ঠী  তৈরীতে আত্মনিয়োজিত শিক্ষকদের কাজ করার প্রত্যয় কিভাবে বাস্তবায়ন ঘটবে। এই উদ্দেশ্যেই আমার সামান্য অভিমত আপনাদের জ্ঞাতার্থে লিপিবদ্ধ করা ।  

এডগার ডেলের কোণ তত্ত্বের আলোকে শিক্ষার্থী যা পড়ে তা ১০% শিখে ,শুনে তা ২০% শিখে,দেখে যা ৩০% শিখে,শুনা এবং দেখে যা তা ৫০% শিখে,বলা এবং লিখা মধ্যে ৭০% শিখে,বলা এবং করার মধ্যে ৭০% শিখে ।  চিনা দার্শনিক কনফুসিয়াস   মতে “ আমি যা পড়ি তা ভুলে যায় ,আমি যা শুনি তা স্মরণ করতে পারি , আমি যা করি তা বুঝতে পারি ।”

এবার যখন আমি ক্লাসে লেকচার দেয়, শিক্ষার্থীরা শুনে তা ২০% শিখন সম্পাদন করে , প্রকৃতপক্ষে শ্রেণিকক্ষে অবস্থান কিরূপ । অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের ক্লাস শতভাগ বুঝতে এবং শুনতে পায় না । ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শতভাগ মনোযোগী থাকে না । আরেকটি বড় সমস্যা হলো সবল শিক্ষার্থীরা একসাথে এবং দুর্বল শিক্ষার্থীরা সাধারণত আলাদা হয়ে বসে । ক্লাসের বাহিরে সবল এবং দুর্বল আলাদা আলাদা চলাফিরা করে । এমতাবস্থায় শুনার কাজও যথার্থ সম্পাদন ঘটে না , তাহলে শিখন কত ভাগ ঘটে তা বুঝায় যায়।

বাড়ির কাজ (পড়া) পড়ে আসে, তাতে ভাল শিক্ষার্থীর বেলায় ১০% শিখন ঘটে । এটা স্বীকার্য ।

ভিজুলাইজ ক্লাস (ডিজিটাল কনটেন্ট) বাংলাদেশে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহূত নব্য প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ব্যবহার শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার অপ্রতুল । তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় প্রত্যেক বিদ্যালয়ে  ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ  এবং কম্পিউটার রয়েছে । ফলে ভিজুলাইজ ক্লাসের মাধ্যমে শিখন ঘটার সম্ভাপনাও নগন্য কারণ এটার ব্যবহার কম ।  

ক্লাসে অংশগ্রহন পদ্ধতি ব্যবহার নেই । দুঃখের ব্যাপার হল বিছু সংখ্যক প্রাইমারি স্কুলে অন্তত একটি হলেও অংশগ্রহন পদ্ধতি  ব্যবহার উপযোগি ক্লাস রোম রয়েছে । মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে  অংশগ্রহন পদ্ধতি  ব্যবহার উপযোগি ক্লাস রোম  এখনো আছে বলে আমার জানা নেই । ফলে বলা এবং শুনা,বলাএবং লিখা ,বলা এবং করা এখনো পরিবেশ হয়ে ওঠেনি ।  আশার কথা হল শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি ।

একটু চিন্তা করলেই কিছুটা হলেও পথ বের করা যায় । ক্লাসে জোড়ায় কাজ করানো যায় । এতে কিছুটা হলেও বলা এবং শুনার কাজ হবে । মাঝে মাঝে ক্লাসে গ্রুপে কাজ করানো যায় । এতে বলা,লিখা এবং করার কাজ হবে । এতে শিখন লেকচার পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি ঘটবে । এতে শিক্ষার্থীরা বেশি জানবে এবং শ্রেণি কার্যক্রমে আন্তরিক হবে ।

সর্বোপরি আমি জোর দেয় ডিজিটাল কনটেন্ট অর্থাৎ ভিজুয়াল ক্লাসে । এতে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে, শুনতে পারবে , দেখতে পারবে ,বলার সু্যোগ রয়েছে,লিখার সু্যোগ রয়েছে এবং কাজ করার সুযোগ রয়েছে । শতভাগ শিখন সম্পাদনের সুযোগ রয়েছে । এতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহি,মনোযোগি এবং আনন্দে মধ্য  দিয়ে শিখন ঘটে ।

স্বশিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক জনশক্তি গঠনে শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল ক্লাস এবং অংশগ্রহনমূলক পদ্ধতি ব্যবহারই হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছার প্রধান পথ ।

 

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ । দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন স্বশিক্ষিত জনগোষ্ঠী । তাই এদেশে মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে । শিক্ষার উন্নয়নে জন্য প্রয়োজন ক্লাসরোমের  পাঠদান পদ্ধতির উন্নয়ন ।

বাংলাদেশের শ্রেণিকক্ষের কথায় প্রথমে বলতে হয় রাজধানী,বিভাগ,জেলা কতিপয় স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ১:৫০ , উপজেলা সহ অধিকাংশ বিদ্যালয়ই ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ১:৮০ উপরে অর্থাৎ অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাস । অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাসে অনেকের মত এখনও  ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করাই জটিল,ভাল ক্লাস করাত পরের কথা ।

বাংলাদেশে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান পদ্ধতি এখন শতভাগ লেকচার পদ্ধতি । অংশগ্রহনমূলক শিক্ষাপদ্ধতি এবং ভিজুলাইজ ক্লাস (ডিজিটাল কনটেন্ট) ব্যবহারও নগন্য । শ্রেণীকক্ষে আসন ব্যবস্থাও তথাকথিত । বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা । অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী । এমতাবস্থায় ২০২১ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপযোগি জনগোষ্ঠী  তৈরীতে আত্মনিয়োজিত শিক্ষকদের কাজ করার প্রত্যয় কিভাবে বাস্তবায়ন ঘটবে। এই উদ্দেশ্যেই আমার সামান্য অভিমত আপনাদের জ্ঞাতার্থে লিপিবদ্ধ করা ।  

এডগার ডেলের কোণ তত্ত্বের আলোকে শিক্ষার্থী যা পড়ে তা ১০% শিখে ,শুনে তা ২০% শিখে,দেখে যা ৩০% শিখে,শুনা এবং দেখে যা তা ৫০% শিখে,বলা এবং লিখা মধ্যে ৭০% শিখে,বলা এবং করার মধ্যে ৭০% শিখে ।  চিনা দার্শনিক কনফুসিয়াস   মতে “ আমি যা পড়ি তা ভুলে যায় ,আমি যা শুনি তা স্মরণ করতে পারি , আমি যা করি তা বুঝতে পারি ।”

এবার যখন আমি ক্লাসে লেকচার দেয়, শিক্ষার্থীরা শুনে তা ২০% শিখন সম্পাদন করে , প্রকৃতপক্ষে শ্রেণিকক্ষে অবস্থান কিরূপ । অধিক শিক্ষার্থী সম্বলিত ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের ক্লাস শতভাগ বুঝতে এবং শুনতে পায় না । ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শতভাগ মনোযোগী থাকে না । আরেকটি বড় সমস্যা হলো সবল শিক্ষার্থীরা একসাথে এবং দুর্বল শিক্ষার্থীরা সাধারণত আলাদা হয়ে বসে । ক্লাসের বাহিরে সবল এবং দুর্বল আলাদা আলাদা চলাফিরা করে । এমতাবস্থায় শুনার কাজও যথার্থ সম্পাদন ঘটে না , তাহলে শিখন কত ভাগ ঘটে তা বুঝায় যায়।

বাড়ির কাজ (পড়া) পড়ে আসে, তাতে ভাল শিক্ষার্থীর বেলায় ১০% শিখন ঘটে । এটা স্বীকার্য ।

ভিজুলাইজ ক্লাস (ডিজিটাল কনটেন্ট) বাংলাদেশে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহূত নব্য প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির ব্যবহার শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার অপ্রতুল । তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় প্রত্যেক বিদ্যালয়ে  ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ  এবং কম্পিউটার রয়েছে । ফলে ভিজুলাইজ ক্লাসের মাধ্যমে শিখন ঘটার সম্ভাপনাও নগন্য কারণ এটার ব্যবহার কম ।  

ক্লাসে অংশগ্রহন পদ্ধতি ব্যবহার নেই । দুঃখের ব্যাপার হল বিছু সংখ্যক প্রাইমারি স্কুলে অন্তত একটি হলেও অংশগ্রহন পদ্ধতি  ব্যবহার উপযোগি ক্লাস রোম রয়েছে । মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে  অংশগ্রহন পদ্ধতি  ব্যবহার উপযোগি ক্লাস রোম  এখনো আছে বলে আমার জানা নেই । ফলে বলা এবং শুনা,বলাএবং লিখা ,বলা এবং করা এখনো পরিবেশ হয়ে ওঠেনি ।  আশার কথা হল শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি ।

একটু চিন্তা করলেই কিছুটা হলেও পথ বের করা যায় । ক্লাসে জোড়ায় কাজ করানো যায় । এতে কিছুটা হলেও বলা এবং শুনার কাজ হবে । মাঝে মাঝে ক্লাসে গ্রুপে কাজ করানো যায় । এতে বলা,লিখা এবং করার কাজ হবে । এতে শিখন লেকচার পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি ঘটবে । এতে শিক্ষার্থীরা বেশি জানবে এবং শ্রেণি কার্যক্রমে আন্তরিক হবে ।

সর্বোপরি আমি জোর দেয় ডিজিটাল কনটেন্ট অর্থাৎ ভিজুয়াল ক্লাসে । এতে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে, শুনতে পারবে , দেখতে পারবে ,বলার সু্যোগ রয়েছে,লিখার সু্যোগ রয়েছে এবং কাজ করার সুযোগ রয়েছে । শতভাগ শিখন সম্পাদনের সুযোগ রয়েছে । এতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহি,মনোযোগি এবং আনন্দে মধ্য  দিয়ে শিখন ঘটে ।

স্বশিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক জনশক্তি গঠনে শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল ক্লাস এবং অংশগ্রহনমূলক পদ্ধতি ব্যবহারই হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছার প্রধান পথ ।

 

 

 

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি