Loading..

খবর-দার

১৩ অক্টোবর, ২০২১ ১০:২৩ অপরাহ্ণ

অর্কিড ডরউইন
অর্কিড ডরউইন :
ইংরেজ প্রকৃতিবিদ চার্লস ডরউইন ১৮২২ ইং সালে এই অসাধারন অর্কিডের উদ্ভাবন করেন। তার মৃত্যুর ২১/২২ বছর পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্কিড সমিতির সমন্বিত উদ্যেগে এর নামকরণ করা হয় ।

ব্রাসাভলা অর্কিডের ফুলের সাদৃশ্য তারকার মত দেখতে এই অর্কিডের ফুলের আঁকারের দিক বিবেচনায় কোন কোন এলাকায় এটিকে কমেট (ধুমকেতু} অর্কিড , আবার ফুল ফোটার সময়ের বিবেচনায় কোন কোন অঞ্চলে এটিকে ক্রিচমাচ অর্কিড নামেও অভিহিত করা হয় ।

সাধারনত জুন-সেপ্টেম্বর এবং প্রধানত ডিসেম্বর , জানুয়ারী তে এর ফুল ফোটে ।এটি সাদা, হলুদ, হাল্কা হলুদ ,বেগুনি ,কমলা ,বাদামি ,হাল্কা গোলাপি ,সবুজ ও গাঢ় ম্যজেন্ডা ইত্যাদি কয়েকটি রঙের আকর্ষণীয় ফুল ফোটে এবং প্রতিবারই প্রতি গোছায় এক থেকে পাচটি ফুল ফুটে।

প্রতিটি ফুল প্রথমে সবুজ রঙ এর কলি এবং ধীরে ধীরে টোন হাল্কা করে ভিন্ন ভিন্ন রং ধারণ করে। প্রতিটি ফুল অত্যন্ত তীব্র একটি মশলাদার ঘ্রাণে সমৃদ্ধ থাকে যা রাতের বেলায় সহজেই একটি রুমকে হৃদয়ছোয়া অনুভুতি এবং মন মাতানো আবেদনময়ী সুঘ্রাণে ভরিয়ে তুলতে পারে।

২৯ মার্চ, ২০১২ ইং তারিখে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক বোটানিকাল গার্ডেনে কয়েক হাজার প্রজাতির অর্কিডের প্রদর্শনীতে ভ্যানিলা অর্কিড ও ডরউইন অর্কিড যৌথভাবে সর্বাধিক প্রশংসিত ও শ্রেষ্ঠ অর্কিড হিসাবে বিবেচিত হয় এবং নির্ধারিত ৪৫ মার্কিন ডলারে হাজার হাজার ডরউইন অর্কিড বিক্রি হয়। চার্লস ডর উইন এর লেখা বই এ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, মতাদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১৩ ইং সাল পর্যন্ত বহু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বহুবার এটিকে হাইব্রিডাইজেশন করে। পৃথিবীর সব অঞ্চলেই এই অর্কিডের উৎপাদন করা যায় তবে বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে এর ফুলের মান ভাল হয়।