Loading..

প্রকাশনা

১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০৫:২৪ অপরাহ্ণ

পলাশ উপজেলার দর্শনীয় স্থান: পর্ব-১

লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি

 

ইতিহাস :  জমিদার লক্ষণ সাহা এই জমিদার বংশের মূল গোড়াপত্তনকারী তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ এবং জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি এই জমিদার বংশধররা অন্য জমিদারের আওতাভুক্ত ছোট জমিদার ছিলেন তবে তাদের কখনো তারা যে জমিদারের আওতাভুক্ত ছিলেন তাদেরকে বা ব্রিটিশ সরকারকে খাজনা দিতে হয়নি কারণ এই জমিদারী এলাকাটি ভারত উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র এলাকা ওয়াকফ হিসেবে ছিল লক্ষণ সাহার তিন পুত্র সন্তান ছিল এদের মধ্যে ছোট ছেলে ভারত ভাগের সময় ভারতে চলে যান এরপর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অল্প কিছুদিন আগে বড় ছেলেও ভারতে চলে যান থেকে যান মেঝো ছেলে তার ছিল এক পুত্র সন্তান যার নাম ছিল বৌদ্ধ নারায়ণ সাহা এই বৌদ্ধ নারায়ণ সাহাই পরবর্তীতে আহম্মদ আলী উকিলের কাছে উক্ত বাড়িটি বিক্রি করে দেন তাই আহম্মদ আলী সাহেব পেশায় একজন উকিল হওয়াতে বর্তমানে অনেকে এই বাড়িটিকে উকিল বাড়ি নামেও চিনে

 

অবকাঠামো : লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়িটি দ্বিতল বিশিষ্ট্য একটি ভবন ভবনের মেছেতে কষ্টি পাথর দিয়ে ঢালাই করা ছোট্ট একটি কারুকার্য খচিত দালান, বাগানবাড়ি, সাঁন বাঁধানো পুকুর ঘাট, পূজো করার জন্য পুকুরের চারপাশে তিনটি মঠ বা মন্দির ছিল

 

বর্তমান অবস্থা: জমিদার বাড়ির সবগুলো স্থাপনা মোটামুটি বেশ ভালো অবস্থাই আছে শুধু পুকুরের চারপাশের মঠ বা মন্দিরগুলোর ধ্বংস হয়ে গেছে তবে একটি এখনো পুকুর ঘাটের কাছে মোটামুটিভাবে টিকে আছে

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি