সহকারী শিক্ষক
৩১ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
নিরব ঘাতক কৃমি।
৩০ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত শুরু হচ্ছে ২৫তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে এই কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে ১ ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল ৫০০ মিগ্রা) ভরাপেটে সেবন করানো হবে। এবার ওষুধ সেবনকারী শিশুর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০৪। ডাক্তারের পরামর্শ একজন পূর্ণ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর কিরমির ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।
কৃমির উপসর্গ :
•হঠাৎ হঠাৎ পেটে ব্যথা বা মাথার যন্ত্রণা। সারাদিন শরীরে অ্স্বস্তি বোধ লেগেই রয়েছে।
• অস্থিরতা, অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা, অবসাদে ভোগা, আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়া।
• মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছা।
• রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সি। কৃমি থাকলে শরীরে
রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
• ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়া, র্যাশ, অ্যাকনে, চুলকুনি ইত্যাদি হওয়া।
• মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
• ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।
• ফুড অ্যালার্জি।
• খিদে না পাওয়া।
• মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা।
• অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
• ত্বকের রোগে আক্রান্ত
হওয়া, র্যাশ, অ্যাকনে, চুলকুনি ইত্যাদি হওয়া।
• মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
• ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।
• ফুড অ্যালার্জি।
• খিদে না পাওয়া।
• মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা।
• অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
• গা-হাত-পা ব্যথা।
• নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
• স্মৃতিভ্রম হওয়া।
কৃমির হাত থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
চিকিৎসক আব্রাম বের জানিয়েছেন, ওষুধ নয়, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
• লবঙ্গ— লবঙ্গ
কলেরা, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মাকে প্রতিরোধ করতে পারে।
এ ছাড়া রোজ লবঙ্গ খেলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• শশার বীজ—
ফিতাকৃমি রুখতে শশার দানা সর্বশ্রেষ্ঠ। শশার দানাকে গুঁড়ো করে নিন।
• পেঁপে— পেটের
সমস্যা দূর করতে পেঁপের থেকে ভাল কিছু হয় না। যে কোনও ধরনের কৃমি তাড়াতে পেঁপের
বীজ শ্রেষ্ঠ। ভাল ফল পেতে পেঁপে এবং মধু খান।
• কাঁচা রসুন— কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। রসুন প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খান অথবা রসুনের জুস করে খান।
কৃমিমুক্ত থাকার জন্য আমাদের করনীয়:
১। থাওয়ার পূর্বে ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন ।
২। কাঁচা ফলমূল নিরাপদ
পানিতে ধুয়ে নিন।
৩। পায়খানা ব্যবহারের পর ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪। নিয়মিত নক কাটুন ও জুতা ব্যবহার করুন।
৫। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করুন।
৬। একই সময় নিজ ব্যবস্থাপনায় পরিবারের সকল সদস্যকেও কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান।
সূত্র: সময় নিউজ, কালের কন্ঠ,গুগল