Loading..

প্রকাশনা

১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৭ অপরাহ্ণ

কুরআনের বর্ণনায় দগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত সেই জুলকারনাইন ছিলেন একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তবে তিনি কে, কোন যুগের এ নিয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তিনি কী নবি, না নবি নন, এ নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে। আল কুরআনের সূরা কাহাফ-এ বর্ণিত জুলকারনাইনের বিষয়ে প্রাচীন তাফসিরবিদদের মধ্যে ইমাম রাজি (রহ.)-এর মত হলো-জুলকারনাইনের প্রকৃত নাম সিকান্দার। যিনি মূলত আলেকজান্ডার নামে পরিচিত। তিনি দারা ইবনে দারাকে একাধিকবার পরাজিত করেছেন। এ তাফসিরবিদ আরও লিখেছেন, ‘এটা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, জুলকারনাইন হলেন বাদশাহ সিকান্দার ইবনে ফিলিবুস ইউনানি।’ (আততাফসিরুল কাবির)।

অনেক মুফাসসির বলেছেন, জুলকারনাইন একজন নবি ছিলেন। বিভিন্ন ইতিহাসগ্রন্থ পর্যালোচনা করলে জানা যায়, প্রাচীনকালে আরব উপদ্বীপে এ নামটি একজন উচ্চক্ষমতাধর ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। আর ওই ব্যক্তি ছিলেন গোটা দুনিয়ার বাদশাহ। তিনি অল্প বয়সেই এত প্রভাব-প্রতিপত্তির অধিকারী হয়েছিলেন। পবিত্র কুরআন যেমন তার নবি হওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেনি, তেমনি তিনি যে নবি নন এ কথাও বলেনি। শুধু বলা হয়েছে, আল্লাহতায়ালা তাকে সব বিষয়ে দিকনির্দেশনা বা কার্যোপকরণ দান করেছেন এবং তিনি দুটি পথ অনুসরণ করলেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ-মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতিকে দেখতে পেলেন। তিনি ওদের অত্যাচারের হাত থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য গলিত তামা দিয়ে একটি প্রাচীর বানিয়ে দিলেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি