অংশগ্রহণমূলক শিখন পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি একটি। সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি হলো শ্রেণিকক্ষে দলে বিভক্ত হয়ে পারস্পরিক নির্ভরতার মাধ্যমে,আলোচনা ও কাজের দ্বারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো। শিক্ষক এ ক্ষেত্রে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।
জনসন এন্ড জনসন এর মতে-
শ্রেনিকক্ষে সহযোগিতামূলক শিখন কার্যক্রম চলবে সমগ্র ক্লাশ সময়ের ৭০% ভাগ সময়।
ব্যক্তিগত শিখন কার্যক্রম চলবে ২০% ভাগ সময়।
প্রতিযোগিতামূলক শিখন চলবে ১০% ভাগ সময়।
সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতিতে দল গঠনের নিয়ম:
সহযোগিতামূলকশিখন পদ্ধতিতে প্রতিদলে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন শিক্ষার্থী নিয়োজিত থাকবে। বিভিন্ন দায়িত্বের জন্য ব্যক্তি নির্বাচন এমন হবে যাতে কোন রকম পক্ষপাতিত্বের কোন অবকাশ না থাকে এবং সবাই সন্তুষ্ট থাকে। যেমন-
বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহকারী: উপকরণসরবরাহকারী হতে পারে নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী। আদ্যাক্ষর অনুযায়ী যার নাম আগে আসবে সেই হবে উপকরণ সরবরাহকারী।
সময় নিয়ন্ত্রনকারী: প্রতিটি গ্রুপ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কাজ করছে কিনা তা খেয়াল করার জন্য একজন সময় নিয়ন্ত্রণকারী থাকবে। সময় নিয়ন্ত্রণকারী নির্বাচিত হতে পারে সেই,যার জন্ম তারিখ আজকের কাছাকাছি সময়ে।
নিরীক্ষাকারী: নিরীক্ষাকারী সকল দলের কাজকর্মের অগ্রগতির প্রতি খেয়াল রাখবে। নিরীক্ষাকারী হতে পারে কোন বিশেষ দিবসের কাছাকাছি যার জন্মদিন। যেমন-স্বাধীনতাদিবসের কাছাকাছি যার জন্মদিন সে।
রেকর্ডার: রেকর্ডার প্রতি দলের কাজকর্ম রেকর্ড করবে। রেকর্ডার নির্বাচিত হতে পারে দলের সবচেয়ে লম্বা শিক্ষার্থী।
উৎসাহদাতা: দলের বাকি সকলেই উৎসাহদাতা হিসেবে কাজ করবে।
সহযোগিতামূলক পাঠদান পদ্ধতির সুবিধা:
সহযোগিতামূলক পদ্ধতি ব্যক্তির চেয়ে দলের সকলের সমতালে শিক্ষালাভের বিষয়ে বেশি কার্যকর। এ পদ্ধতির সুবিধাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
যৌথভাবে কাজ করে সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
দলের সকল সদস্যই তাদের সামর্থ অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে।
পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এবং নেতৃত্ব তৈরি হয়।
দলের সকল সদস্য একই বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ পায়।
সকলের কাজের মূল্যায়ন করা যায়।
শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তা-চেতনা এবং ধারণার পারস্পরিক আদান-প্রদান করতে পারে।
এ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সহজেই প্রেষণার সৃষ্টি করতে পারে।
শিক্ষার্থীর জ্ঞানমূলক এবং সামাজিক বিকাশ সহজতর করতে পারে।