Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

সহযোগিতামূলক শিক্ষণ পদ্ধতি সহযোগিতামূলক শিক্ষণ পদ্ধতি
অংশগ্রহণমূলক শিখন পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি একটি। সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতি হলো শ্রেণিকক্ষে দলে বিভক্ত হয়ে পারস্পরিক নির্ভরতার মাধ্যমে,আলোচনা ও কাজের দ্বারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো। শিক্ষক এ ক্ষেত্রে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবেন।

জনসন এন্ড জনসন এর মতে-
  • শ্রেনিকক্ষে সহযোগিতামূলক শিখন কার্যক্রম চলবে সমগ্র ক্লাশ সময়ের ৭০% ভাগ সময়।
  • ব্যক্তিগত শিখন কার্যক্রম চলবে ২০% ভাগ সময়।
  • প্রতিযোগিতামূলক শিখন চলবে ১০% ভাগ সময়।
সহযোগিতামূলক শিখন পদ্ধতিতে দল গঠনের নিয়ম: 
সহযোগিতামূলকশিখন পদ্ধতিতে প্রতিদলে বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন শিক্ষার্থী নিয়োজিত থাকবে। বিভিন্ন দায়িত্বের জন্য ব্যক্তি নির্বাচন এমন হবে যাতে কোন রকম পক্ষপাতিত্বের কোন অবকাশ না থাকে এবং সবাই সন্তুষ্ট থাকে। যেমন-
  • বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহকারী: উপকরণসরবরাহকারী হতে পারে নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী। আদ্যাক্ষর অনুযায়ী যার নাম আগে আসবে সেই হবে উপকরণ সরবরাহকারী।
  •  সময় নিয়ন্ত্রনকারী: প্রতিটি গ্রুপ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কাজ করছে কিনা তা খেয়াল করার জন্য একজন সময় নিয়ন্ত্রণকারী থাকবে। সময় নিয়ন্ত্রণকারী নির্বাচিত হতে পারে সেই,যার জন্ম তারিখ আজকের কাছাকাছি সময়ে।
  •  নিরীক্ষাকারী: নিরীক্ষাকারী সকল দলের কাজকর্মের অগ্রগতির প্রতি খেয়াল রাখবে। নিরীক্ষাকারী হতে পারে কোন বিশেষ দিবসের কাছাকাছি যার জন্মদিন। যেমন-স্বাধীনতা দিবসের কাছাকাছি যার জন্মদিন সে।
  • রেকর্ডার: রেকর্ডার প্রতি দলের কাজকর্ম রেকর্ড করবে। রেকর্ডার নির্বাচিত হতে পারে দলের সবচেয়ে লম্বা শিক্ষার্থী। 
  • উৎসাহদাতা: দলের বাকি সকলেই উৎসাহদাতা হিসেবে কাজ করবে।
সহযোগিতামূলক পাঠদান পদ্ধতির সুবিধা:
সহযোগিতামূলক পদ্ধতি ব্যক্তির চেয়ে দলের সকলের সমতালে শিক্ষালাভের বিষয়ে বেশি কার্যকর। এ পদ্ধতির সুবিধাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো- 
  • যৌথভাবে কাজ করে সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
  •  দলের সকল সদস্যই তাদের সামর্থ অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে।
  • পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এবং নেতৃত্ব তৈরি হয়।
  • দলের সকল সদস্য একই বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ পায়।
  • সকলের কাজের মূল্যায়ন করা যায়।
  •  শিক্ষার্থীরা তাদের চিন্তা-চেতনা এবং ধারণার পারস্পরিক আদান-প্রদান করতে পারে।
  • এ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সহজেই প্রেষণার সৃষ্টি করতে পারে।
  •  শিক্ষার্থীর জ্ঞানমূলক এবং সামাজিক বিকাশ সহজতর করতে পারে।
  • শিক্ষকের প্রতি ধনাত্মক ধারণার সৃষ্টি হয়। 
  • শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মসম্মান বোধ জাগ্রত করে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি