Loading..

খবর-দার

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ০৭:৪১ অপরাহ্ণ

প্রযুক্তি- রোবটের শিক্ষক মাকড়সা-মৌটুসী ইসলাম

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী মাকড়সার এই বিশেষ শারীরিক দক্ষতাকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলাকৌশলের মাধ্যমে রোবটের মাঝে স্থাপন করার চেষ্টা করছেন। তাঁরা এ ক্ষেত্রে একধরনের রাজকীয় মাকড়সার প্রজাতিকে অনুসরণ করছেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম ফিডিপ্পাস রেজিয়াস। বিজ্ঞানীরা একে ‘কিম’ নামে ডাকেন।

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রাসেল গারউড, কিম মাকড়সার এই দীর্ঘ লাফের পেছনে গতিবিদ্যার প্রভাব লক্ষ করেছেন। এক লাফে ৩০ মিলিমিটার অতিক্রম করার সময় যে কোণে লাফ শুরু করে, ৬০ মিলিমিটার অতিক্রম করার সময় কৌণিক ডিগ্রির পরিবর্তন হয়। লাফ দেওয়ার সময় কিম মাকড়সার মাংসপেশি বিশেষভাবে সংকুচিত হয়, যা অন্য সাধারণ মাকড়সার থেকে আলাদা।

মাংসপেশির পাশাপাশি কাজ করে হিমোলিম্ফ (মাকড়সার দেহের বিশেষ ধরনের রক্তকে এই নামে ডাকা হয়)। ধারণা করা হয়, হিমোলিম্ফের হাইড্রোলিক বল মাংসপেশির সঙ্গে কাজ করে, যা তাকে উঁচুতে উঠতে সাহায্য করে। যদিও হিমোলিম্ফের অবদান এখনো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।

মাকড়সার চোখও লাফাতে সাহায্য করে। মাকড়সার কিন্তু দু-একটি চোখ নয়, মাঝে দুটি বড় বড় চোখ, মাথার দুই পাশে আরও দুটি চোখ, আরও চারটি চোখ আছে মাথার ওপর ও পেছনে! এতগুলো চোখ দিয়ে চারদিক সতর্কভাবে দেখে তবেই পা বাড়ায় দীর্ঘ লাফের দিকে।