Loading..

প্রকাশনা

১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

****মহানবী (স) এর দয়া ও সহমর্মিতা ***
****মহানবী (স) এর দয়া ও সহমর্মিতা ***
হযরত মুহাম্মদ (স) যেমন বিনয় - নম্র ছিলেন,তেমনি ছিলেন দয়ালু। হৃদয়ের বিশালতায় তার কোন তুলনা ছিলনা। তিনি প্রতিটি মানুষকে অপরিসীম দয়া ও সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতেন। শত্রুরাও কখনো তার দয়া হতে বনচিত হতেন না। যে সব লোক মহানবী(স) চলার পথে কাটা বিছিয়েছে , তার শরীরে নোংরা- আবর্জনা নিক্ষেপ করেছে, এবং তার রক্তপানের জন্য ওঁত পেতে থেকেছে-সে শত্রুকুলকে ও তিনি ঘৃণার চোখে দেখেন নি। বরং তার অবারিত করুণা ও দয়ায় তারা বরাবর ধন্য হয়েছে। তার এ বিশেষ গুনটির কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: 'হে রাসুল(স)! আল্লাহর অসীম রহমতের কারণেই আপনি তাদের প্রতি অত্যন্ত নম্র এবং উদারচিত্ত হয়েছেন; কেননা আপনি যদি তাদের প্রতি কঠোর এবং নির্মমহৃদয় হতেন,তবে তারা সকলেই আপনার নিকট হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।'(৩:১৫৯)
শৈশবে তিনি অন্য ছেলেদের মতো সমবয়স্ক কারো সাথে ঝগড়া-ঝাটি কিংবা মারামারি করেন নি। সমবয়স্ক এবং বয়স্ক নির্বিশেষে সকলের সাথেই তার আচরণ ছিল মমতা-মাখা ও বন্ধুত্বপূর্ণ । পরিণত বয়সে পৌঁছালে দরিদ্র দু:খী অনাথ
বিধবাদের প্রতি তার দয়া এবং সহানুভূতির কথা প্রবাদবাক্যের মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। নবুয়াত লাভের পর মানুষের প্রতি তার সহমর্মিতার কাহিনী আরবের ভৌগলিক সীমানা অতিক্রম করে যায়। তার দয়ালু - স্বভাব সম্পর্কে হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেন, 'দশ বছর আমি আল্লাহর নবীর সেবা করেছি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কখনো তিনি একটি বারের জন্যেও কোন দোষ-ক্রটির কারণে আমাকে ছি: বলে তিরস্কার করেন নি কিংবা'কেন তুমি এরকম কাজ করলে' বলেন নি।অথবা তুমি কেন এ কাজ টি করলে না ' এ ধরনের অনুযোগও করেন নি। মদিনায় রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন কালে শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তার ঘোর দুশমনসহ সকল আটক ব্যাক্তি এবং যুদ্ধবন্দীদের প্রতি অতি উদারতা ও আদর্শ মানবিক আচরণের পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী(স) এর আদর্শ মত চলার তৌফিক দান কর।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি