সাতক্ষীরা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে ১০০ টন আম। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হিমসাগর আম রপ্তানির মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সদর উপজেলার ছানকা গ্রামের চাষি মোকছেদ আলীর বাগান থেকে প্রথম আম রপ্তানি শুরু হয়েছে। পরে পাঠানো হবে গোবিন্দভোগ, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টন। আমচাষি রয়েছেন ১৩ হাজার। এর মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষি ৫০০। এসব চাষির বাগানের আম রপ্তানি করা হবে। উদ্বোধনের দিনে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হায়দার রপ্তানির জন্য বাগান থেকে হিমসাগর আম সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, আম সংগ্রহের জন্য সরাসরি বাগানে এসেছি। প্রথম দিন ৫০০ কেজি আম সংগ্রহ করতে পেরেছি। ক্রেতার চাহিদা ছিল এক হাজার কেজি। তবে আম আকারে ছোট হওয়ায় সংগ্রহ করা হয়নি। ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের আমের চেয়েও সাতক্ষীরার হিমসাগরের অনেক সুনাম রয়েছে। সংগ্রহ করা আম লন্ডনে পাঠানো হবে। ভবিষ্যতে আরও এক হাজার কেজি আম সংগ্রহ করব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, সারাদেশ থেকে চলতি বছর ৬০০ টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে। তার মধ্যে সাতক্ষীরার আম থাকবে ১০০ টন। এসব আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে যাবে।