Loading..

খবর-দার

১৮ মে, ২০২২ ১১:১৭ অপরাহ্ণ

ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা হবে না।

সরকারিভাবে গম আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও ভারত থেকে গম আমদানি করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির উপদেষ্টা।

টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত থেকে গম আমদানিতে বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই। গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট আমদানিতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা অনুমতি নিয়ে যেকোন পরিমাণ গম আমদানি করতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সাথে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশের প্রয়োজনে ভারত থেকে গম আমদানিতে কোনো সমস্যা হবে না।’

দেশে গমের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশে গম সঙ্কটের কোনো সম্ভাবনা নেই’। 

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল মজুত রয়েছে, পর্যাপ্ত ভোজ্য তেল পাইপ লাইনে রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। ভোজ্য তেলের সঙ্কটের সম্ভাবনা নেই। 

ভোজ্যতেলের উচ্চমূল্য নিয়ে গ্রাহক অসন্তোষ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমদানিকারকদের প্রকৃত ক্রয়মূল্য ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ভোজ্য তেলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। নির্ধারিত মূল্যে তেল ক্রয়-বিক্রয় চলছে।’ 

ভোজ্য তেল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে। 

এতে ব্যবসায়ী মহলে নানা অসন্তোষ দানা বাঁধলে টিপু মুনশি বলেন, ‘নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রয়ের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভীতি সৃষ্টি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা পরিচালনা করলে কোনো সমস্যা হবে না।’

বাংলাদেশে ভোজ্যতেল আমদানি করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিকল্প হিসেবে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাইজ ব্যান্ডের ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার কাজ করছে। স্থানীয়ভাবে ৭ লাখ মেট্রিক টন রাইসব্যান্ড ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব, যা মোট দেশের চাহিদার ২৫ ভাগ পূরণ করতে পারবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আলী আহাদ খান, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা, এফবিসিসিআইয়ের   সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমীন হেলালী, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র,১৮মে ,সমকাল।