Loading..

খবর-দার

০১ জুলাই, ২০২২ ১১:১৯ অপরাহ্ণ

বয়সের ‘কারসাজিতে’ যেভাবে পার পেয়ে যায় অনেক অপরাধী

এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে মাদারীপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর বয়স বাড়িয়ে তাঁকে হত্যা মামলার আসামি করার অভিযোগ উঠেছিল। সানি বেপারি নামে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন, তাঁর বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৯ বছর দেখানো হয়েছে। সেই সময় তাঁর এক স্বজন বলেছিলেন, এসএসসির রেজিস্ট্রেশনে তাঁর বয়স ১ জুলাই, ২০০৬। জন্ম নিবন্ধনেও তাই। তবুও পুলিশ এসব বাদ দিয়ে সানির বয়স তিন বছর বাড়িয়ে তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে।

কিশোর-তরুণদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে ‘কারসাজি’ নতুন কিছু নয়। কখনো আসামি বা অভিযুক্তের বয়স কমিয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠে, আবার কখনো বয়স বাড়িয়ে দেখানো হয়। বয়স কমানো-বাড়ানোর সঙ্গে সাজা বা দণ্ডের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ১৮ বছরের নিচে যে কেউ কোনো অপরাধ করলে তাঁর বিচার হয় শিশু আইন, ২০১৩ অনুসারে। শিশু আইনে বেশ কিছু গুরুতর সাজা বা দণ্ডের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ রয়েছে। অপরদিকে ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে এ রকম ব্যক্তির অপরাধের বিচার হয় প্রচলিত আইন অনুসারে এবং সাধারণ আদালতে। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে উল্লেখিত যেকোনো সাজা বা দণ্ড প্রযোজ্য হতে পারে। সুতরাং কিশোর-তরুণদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে বয়স কমানো-বাড়ানো কোনো ‘নিরীহ’ বিষয় নয়, এর সঙ্গে ন্যায়বিচারের প্রশ্নটিও জড়িত।