Loading..

ম্যাগাজিন

০২ জুলাই, ২০২২ ০৮:৩৮ অপরাহ্ণ

অনেক কাজ জমে আছে, কোনো কাজই শেষ হচ্ছে না—কী করবেন

অনেক কাজ জমে আছে, কোনো কাজই শেষ হচ্ছে নাকী করবেন

আপনার কি মনে হয়, করার মতো অনেক কাজ থাকার পরও কোনো কাজই ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে না? কাজগুলি গুছিয়ে নিতে পারছেন না? কিংবা আপনার প্ল্যানিং ঠিক নেই?

যদি এমনটা মনে হয়, তাহলে আপনি একা না। আমাদের সবার মস্তিষ্কই একই ভাবে কাজ করে।

কোনো ব্রাউজারে একই ওয়েব সাইটে বার বার ঢুকলে ব্রাউজারে সেই সাইটের ক্যাশ ফাইল জমা হয়। এতে করে ব্রাউজার পরের বার থেকে খুব দ্রুত সেই ওয়েব সাইটটা দেখাতে পারে। কিছুটা কম্পিউটারের মতো মানুষের মস্তিষ্কেও ক্যাশ ফাইল জমা হয়। আপনি যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, তাতে আপনার মস্তিষ্ক অভ্যস্ত হয়ে যায়। ফলে সহজে অন্য কিছু আপনার মাথায় আসে না। আপনি যে ভাবে যা ভাবেন, একই ভাবে তাই ভাবতে থাকেন।

তাই আগের থেকে মাথায় বোঝাই করা চিন্তাভাবনা সাফ করতে হবে। না হয় আপনার মস্তিষ্ক অতিরিক্ত চাপে পড়ে যাবে। আর মাথায় নানা রকম চিন্তাভাবনার ভিড়ে আপনি অনেক কিছুই ভুলে যাবেন। গুছিয়ে কোনো পরিকল্পনা করতে পারবেন না।

অন্য রকম শোনালেও, যত কম ভাববেন, আপনার জন্য তত ভালো। আপনার মাথা ফাঁকা করে গুছিয়ে ভাবার জন্য প্রতিদিন কয়েক মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন। আপনি নিজের মধ্যে অনেক বড় চেঞ্জ দেখতে পাবেন। কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে আপনার পরিকল্পনা বাস্তবে অনেক কার্যকরী হবে।

অনেক বেশি চিন্তার ভিড়ে থাকার চাইতে গোছানো পরিকল্পনায় আপনার কার্যক্ষমতা বাড়বে। সবকিছু নিয়ে বেশি ভাবলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই আপনি ভুলে যেতে পারেন। কোনো কাজের শেষ সময়, জরুরি কোনো বিষয়ের খুটিনাটি কিংবা কাউকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আমরা এসব কারণেই ভুলে যাই। সম্ভাব্য সবকিছু নিয়ে আমরা একই সাথে ভাবতে পারি না। আমাদের মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা নাই।

এভাবে গুছিয়ে ভাবার চেষ্টা করলে শারীরিক ভাবেও আপনার উন্নতি দেখতে পাবেন। আগের চাইতে কম দুশ্চিন্তায় ভুগবেন আর কাজ করতে গিয়েও উদ্যমী মনোভাব টের পাবেন। সব কাজ নিয়ে চিন্তা করতে থাকলে আপনার মস্তিষ্কের প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। এতে আপনার মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায় না। এভাবে একসময় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে আর তা আপনাকে বিনা কারণে ক্লান্ত আর বিষণ্ন করে তোলে।

গুছিয়ে চিন্তাভাবনা করতে শেখা খুব একটা কঠিন কিছু না। প্রতিদিন একটু একটু চেষ্টা করতে থাকলে এই অভ্যাসটা এমনিতেই আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। এই ৩টা ধাপ মেনে চললে আপনার কার্যক্ষমতা আগের চাইতে অনেক বেড়ে যাবে।
.

#
. সবচেয়ে ভালো সময়টা বেছে নিন

দিনে দুইবার করতে পারলে এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। তবে সবার ক্ষেত্রে একই রকম ফলাফল নাও দিতে পারে। তাই নিজের পছন্দমতো সবচেয়ে ভালো একটা সময় বেছে নিন, যখন আপনি কিছুক্ষণ একা থাকতে পারবেন।

সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই সবচেয়ে ভালো সময় পাওয়া যায়। সেখান থেকে কিছুটা সময় একান্ত নিজের জন্যে রাখুন।

যেহেতু সবার জীবনযাপন এক রকম না তাই ব্যক্তিভেদে সময় বদলাতে পারে। সময়টা যখনই হোক, খেয়াল রাখতে হবে আপনি যেন এটা নিয়মিত করেন।

অনেকে সকালে উঠেই অনেকটা উদ্যম বোধ করেন। আবার অনেকে নাস্তা করার আগ পর্যন্ত প্রস্তুতি নিতে পারেন না। অনেকের ব্যায়াম করতে হয়, আবার ঘূম থেকে উঠেই অনেকের কফি পান করা লাগে। তাই যেই সময়টাই হোক, আপনার নিজের সাচ্ছন্দ্য অনেক জরুরি।
.

#
. কোথায় লিখবেন, ঠিক করুন

নোট নেয়ার জন্যে আপনার ফোনের যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনেই আপনি কাজ করতে পারেন। টু-ডু লিস্ট বানাতে পারেন কিংবা ভয়েস রেকর্ডারও ব্যবহার করতে পারেন।

কম্পিউটারে থাকলে আউটলুক, ওয়াননোট বা এভারনোটের মতো এপ্লিকেশনগুলি সাহায্য করবে আপনাকে। অনেকে খাতা-কলম ব্যবহার করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যেহেতু খাতার নির্দিষ্ট দিনের পৃষ্ঠা আর কলম পরিকল্পনার জন্যই কাজে লাগছে, তাই প্রতিদিন সেগুলির ব্যবহার আপনার অভ্যাস গঠনে সাহায্য করবে।

তবে যাই ব্যবহার করা হোক না কেন, খেয়াল রাখা উচিৎ যেন তা কাজের সময় সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়।
.

#
. মাথায় বোঝাই চিন্তাভাবনা ঝেড়ে ফেলে দিন

বোঝাই চিন্তাভাবনা বলতে সবকিছুই। আপনার মাথায় থাকা পরিকল্পনা, নতুন কোনো আইডিয়া, প্রশ্ন, দুশ্চিন্তা সব।

প্রথমেই সবকিছু গোছানোর চেষ্টা করবেন না। এগুলি পরে গোছাতে পারবেন। সব চিন্তা মাথা থেকে আগে ঝেড়ে বের করে দিলে কাজ করার জন্যে আপনার মাথা খালি হবে।

এক এক করে সবগুলি পরিকল্পনা লিখে ফেলার পরে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আজ আপনার কোন কোন কাজ করা উচিত।

যে কাজগুলি আপনার কাছে জরুরি মনে হবে, সেগুলি চিহ্নিত করুন আর প্রত্যেকটা কাজের জন্যে সময় নির্দিষ্ট করুন।

বাকি কাজগুলির মধ্যে যদি কোনো নতুন আইডিয়া থাকে, তাহলে কোনো ফাইল বা ডায়রিতে তা বিশদভাবে লিখে রাখুন। কোনো ব্যাপারে জানার ইচ্ছা থাকলে তাও লিখে রাখুন।

প্রতিদিন এভাবে নোট করার আগে গতদিনের নোটটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিনের পরিকল্পনা ঠিক করতে আপনার সর্বোচ্চ থেকে ১০ মিনিট লাগবে। আপনি এভাবে আগের চাইতে অনেক বেশি কর্মক্ষম হতে পারবেন।
.

ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করার জন্য আপনি কি নিজস্ব কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন? কী সেই পদ্ধতি?

সৌঃ সি বি

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি