সহকারী শিক্ষক
০৩ জুলাই, ২০২২ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
নতুন ক্যারিয়ারে যাবার আগে যে সব ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন
নতুন ক্যারিয়ারে যাবার আগে যে সব ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন
বর্তমানে আপনি যে চাকরিতে আছেন, সেখান থেকে নতুন কোনো চাকরিতে জয়েন করার সিদ্ধান্ত নিতে হলে বেশ কিছু জিনিস বিবেচনা করার দরকার পড়ে। শুধু বেশি বেতনের নিশ্চয়তাই আপনাকে স্বস্তি দিতে পারবে না। এসময় সবচেয়ে বেশি যে চিন্তাটা আপনাকে পীড়ার মধ্যে রাখে তা হলো—কোনো ভুল করে ফেলার আশঙ্কা।
এরকম দোটানা থেকে রেহাই পাওয়ার সরাসরি উপায় না থাকলেও যে কোনো ক্যারিয়ার শিফটের আগে নিচের ৩টা দিকে খেয়াল রাখা দরকার:
# নতুন চাকরি নিয়ে আশঙ্কা বোধ করছেন কিনা
প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে এত বড় পরিবর্তনের আগের উদ্বেগ বোধ করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এটা মাথায় রাখা দরকার, এই স্বাভাবিক উদ্বেগের সাথে কিছুটা উত্তেজনাও থাকে। সম্পূর্ণ নতুন এক পরিবেশের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে যাচ্ছেন, এমন ভাবনা থেকেই বাড়তি উত্তেজনাটা কাজ করে আসলে। তবে খেয়াল রাখা দরকার, উদ্বেগের কারণ শুধুই কি পরিবর্তনের আশঙ্কা—নাকি নতুন অফিসের কোনো কিছু ঠিক সুবিধাজনক মনে হয় নাই?
সম্ভাব্য বস কি আপনার চাকরিক্ষেত্রের অর্জনগুলিকে খাটো করে দেখলেন?
নতুন টিম মেম্বারদের মাঝে কি উৎসাহের অভাব, নাকি ঘাটতিটা সঠিক দিকনির্দেশনায়?
বেশি বেতন, হাই স্ট্যাটাস বা ভালো শহরে থাকতে পারবার আশায় এসব ব্যাপার এড়িয়ে যাবেন না। প্রথম বা দ্বিতীয় ইন্টারভিউতে সবকিছু পরিষ্কারভাবে বুঝতে না পারলে নেগোসিয়েশন পিরিয়ড পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। খেয়াল করার চেষ্টা করুন, নতুন অফিস স্পেসের কোন দিকটা আপনাকে বার বার দুঃশ্চিন্তায় ফেলতেছে।
.
# আপনি কি খুব বেশি ডেসপারেট?
রিয়েলিস্টিক হওয়া মানে সব কিছুতে প্যানিক করা না। আপনি যে সুযোগের জন্য এতদিন অপেক্ষা করে ছিলেন, সেই সুযোগ আসা মাত্রই লুফে নিতে যাবেন না। টাকা বা সিকিউরিটির অভাবে আছেন বলে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার কোনো মানে নাই।
এসব মুহূর্তে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময়ের দরকার হয়, যাতে করে আপনি হাতে থাকা সব অপশন বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
তবে সত্যি কথা হলো, এ রকম পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা কঠিন। তাই এধরনের প্যানিকের সময়ে বন্ধু বা মেন্টর জাতীয় কারো পরামর্শ নিতে পারেন। এমন কেউ যিনি আপনার চাকরি পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল না অথবা এর সাথে কোনোভাবে জড়িত না।
.
# কারো সামনে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন না তো?
হয়তো কোনো কলিগ আপনার সাথে রূঢ় আচরণ করতো, কিন্তু আপনার পজিশনের কারণে তাকে কখনো বিরত রাখতে পারেননি। এখন আগের চেয়ে ভালো পদে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে তাকে আপনি "এক হাত দেখে নিতে" চান। এরকম মাইন্ডসেট থেকে প্রণোদিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মানে, শেষ পর্যন্ত সেই লোকটির হাতেই নিজের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দিলেন আপনি।
এ ধরনের লোভ সামলাতে হবে। তাকে হেনস্তা করার ইচ্ছা থেকে বের হয়ে বরং নিজের যোগ্যতা ও স্কিল বাড়ানোর উদ্যোগ নিন।
আর হ্যাঁ, সব সিদ্ধান্তকেই ‘ঠিক/ভুল’ এর হিসাবে মাপা যায় না। আপনি কি দোটানায় আছেন? তার মানে আপনার হাতে থাকা অপশনের কোনোটাই আসলে ভুল না।
আর যেসব চাকরিতে আপনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি স্পষ্ট বোঝা যায়, সেক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া তো আরো বেশি সহজ।
সৌঃ সি বি