Loading..

ম্যাগাজিন

০৩ জুলাই, ২০২২ ১২:০১ অপরাহ্ণ

সাফল্য ও গোল সেটিং

সাফল্য গোল সেটিং

নিজের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছানোর জন্য সবার আগে লক্ষ্য কীভাবে ঠিক করতে হয় তা জানা দরকার।

বেশিরভাগ মানুষ গোল সেটিং বা লক্ষ্য ঠিক করার সময় অস্বস্তি বোধ করে, কারণ আমরা জানি আমাদের ব্যর্থ হবার আশঙ্কা অনেক। কেউ আসলে নিজের ব্যর্থ হবার অপশনগুলি নিয়ে আগে থেকে চিন্তা করতে চায় না। লক্ষ্য নির্দিষ্ট করার এই মনস্তাত্ত্বিক বাধা পার হবার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি আমাদের কাজে আসবে:
.

#
. কী আপনাকে আসলেই মোটিভেট করে

ধরে নিন, কাউকে আপনার ব্যাখ্যা করে বলতে হবে, কোন জিনিসটার ব্যাপারে আপনার প্যাশন কাজ করে। কেন আপনি সেটার পেছনে ছুটছেন? তাকে কি ব্যাপারটার গুরুত্ব সম্বন্ধে কনভিন্স করতে পারবেন আপনি? এভাবে করে ভেবে নিলে সবচাইতে দরকারি লক্ষ্যগুলি ঠিক করা সহজ হয়ে যায়। কম গুরুত্বপূর্ণ সব কাজের পেছনে আর সময় নষ্ট করা লাগে না।
.

#
. আপনার লক্ষ্যকে হতে হবে SMART

এখানে SMART একটি অ্যাক্রোনিম, যার প্রতিটি বর্ণের আলাদা আলাদা অর্থ আছে।

S - Specific (
সুনির্দিষ্ট): আপনার লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট হতে হবে। ভাসা ভাসা কিংবা বিশদ লক্ষ্যের পেছনে ছোটার তেমন সুযোগ নাই। আপনার সাফল্যের মাপকাঠি যদি অনেক উঁচুতেও থাকে, তারপরও সেই লক্ষ্যকে একটা সীমিত পরিসরে কয়েক ভাগে ভাগ করে নেওয়া ভালো। তারপর প্রতিটি অংশের পেছনে আলাদা আলাদা কাজ করতে হবে।

M - Measurable (
পরিমাপ যোগ্য): আপনি কতটা সফল হলেন, সেটা বোঝার জন্য হলেও লক্ষ্যের এই বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। যেসব কাজে সাফল্যের মাত্রা সহজে পরিমাপ করা যায় না, একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর সেগুলির দিকে খেয়াল করুন। কাজটা কতটুকু শেষ হয়েছে, পারসেন্টেজ হিসাব করে তার একটা ধারণা নেবার চেষ্টা করতে পারেন।

A - Attainable (
অর্জন সম্ভব): লক্ষ্যকে অর্জন সম্ভব রাখতে হবে। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গোল সেট করার জন্য SMART এর প্রথম বৈশিষ্ট্যের দিকে আবার নজর দিন। বিরাট পরিসরের কোনো কিছু অর্জন করতে চাইলে সেগুলিকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করে নিলে আমাদের কাজ সহজ হয়।

তবে খুব সহজেই করে ফেলা যায়, এমন সব কাজকেও আপনারমূললক্ষ্যের ঘরে ফেলবেন না। এতে কোনো কিছু অর্জনের আনন্দ বা সন্তুষ্টি কমে আসবে। ফলে ভবিষ্যতে গোল সেটিংয়ের ব্যাপারে আগ্রহ পাবেন কম।

R - Relevant (
প্রাসঙ্গিক): আপনি শেষ পর্যন্ত কী ধরনের ক্যারিয়ার চাচ্ছেন, সেটার সাথে আপনার লক্ষ্যগুলি প্রাসঙ্গিক বা রেলেভ্যান্ট হওয়া দরকার। এতে আপনার ফোকাসের জায়গা আরো কার্যকর হয়ে উঠবে।

T - Time-bound (
সময়সীমা): লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটা সময়সীমা থাকা দরকার। এখন পর্যন্ত যে কয়টি বৈশিষ্ট্য দেখলেন, তার সবগুলিই কিন্তু একে অন্যের সাথে জড়িত। এভাবে ডেডলাইন মাথায় রেখে কাজ করলে আপনার মধ্যে বাড়তি তাড়না যেমন কাজ করবে, তেমনি কাজের ক্ষেত্রে সাফল্যের হার বের করাও সহজ হবে। ফলে আপনার লক্ষ্য হবে আরো বেশি পরিমাপযোগ্য বা মেজারেবল।
.

#
. আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য লিখে রাখুন

লিখে রাখলে কোনো কাজের কথা ভুলে যাওয়ারও যেমন সুযোগ নেই, তেমনি এতে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে একটু হলেও এগিয়ে যাওয়া যায়। তবে লিখে রাখার ক্ষেত্রে সবসময় পজিটিভ চিন্তা করবেন। যেমন, "আগামী এক মাসে আমি কেজি ওজন কমাবো" না লিখে বরং লিখুন, "আগামী এক মাস আমি হেলদি খাবার খাব।"
.

#
. একটা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে ফেলুন

আপনার লক্ষ্য যদি দীর্ঘমেয়াদী বিশাল পরিসরের হয়ে থাকে, তাহলে এটা আরো বেশি জরুরি। আমরা বেশিরভাগ সময় শেষ পর্যন্ত কী হবে এটা ভেবে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটা প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশন-প্ল্যান আর তৈরি করা হয় না।

অ্যাকশন প্ল্যানে আপনার কাজগুলিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। একটা করে কাজ শেষ করে সেগুলিতে টিকচিহ্ন দিয়ে রাখুন। এতে আপনি কতটুকু এগুতে পারলেন সেটার একটা প্রগ্রেস রিপোর্ট আপনার কাছে থাকবে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি