Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২২ জুলাই, ২০২২ ০৪:৫৭ অপরাহ্ণ

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে. প্রথম ভূমি-গৃহহীনমুক্ত জেলা হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়

দেশের প্রথম ভূমি-গৃহহীনমুক্ত জেলা হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ছবি: সংগৃহীত

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১ হাজার ৪১৩ পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের প্রথম ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চগড়কে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করবেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম।

সে সময় তিনি ভার্চুয়ালি পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগে জেলার ৪ হাজার ৮৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ২ শতক জমির মালিকানাসহ টিনশেড পাকা ঘর পাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘরগুলোর সঙ্গে বারান্দা, রান্নাঘর ও শৌচাগার সংযুক্ত আছে। পরিবারগুলোর সুপেয় পানির জন্য নলকূপ বসানো হয়েছে এবং প্রতিটি ঘরে বিনা খরচে (শুধুমাত্র সংযোগ খরচ) সংযোগ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ। সেই সঙ্গে সুবিধাভোগীদের নামে জমির কবুলিয়ত ও জমির নামজারী সম্পন্ন হয়েছে।'

তিনি জানান আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে জেলার ৫ উপজেলায় ১ হাজার ৫৭ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৩৫৯ পরিবারকে, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১ হাজার ২১ পরিবারকে ইতোমধ্যে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে।

আজ তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১ হাজার ৪১৩ পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পঞ্চগড় জেলার ৫ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার নির্বাচনে জেলার প্রতিটি গ্রাম ও হাট-বাজারে ঢোল-সহরত ও মাইকিং করে আবেদন নেওয়া হয়।

এ ছাড়া, জেলার প্রতিটি মসজিদ, অন্যান্য উপাসনালয়, জনসমাগমপূর্ণ স্থান ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীনদের কাছে আবেদন আহ্বান করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় মোট ৪ হাজার ৮৫০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার খুঁজে পাওয়া যায়।

এ দিকে, দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও আজ ১ হাজার ১৪৬ পরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হবে।

ইতোমধ্যে জেলায় প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ হাজার ২৯৬টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪৬৬টি ঘর জমির দলিলসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি