সহকারী শিক্ষক
২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:১৭ অপরাহ্ণ
শিখনকালীন মূল্যায়নে দলগতকাজ ও পোস্টার
নতুন শিক্ষাক্রমের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে শিখনকালীন মূল্যায়ন। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বেশির ভাগ মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে। অর্থাৎ বিষয়-শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সারা বছর ধরে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক কাজ, প্রকল্পভিত্তিক শিখনচর্চা, খেলাধুলা, গ্রুপ ওয়ার্ক, কুইজ, পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করাবেন এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করবেন। আর মূল্যায়ন মানেই কিন্তু এখনকার মতো প্রচলিত পরীক্ষা নয়, নম্বর নয়, গ্রেডিং নয়। নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী কতটুকু যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে, সে সম্পর্কে শিক্ষক মন্তব্য করবেন। মন্তব্যগুলো হতে পারে, ‘খুব ভালো’, ‘ভালো’, ‘সন্তোষজনক’ এবং ‘আরও শেখা প্রয়োজন’—এ রকম। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শ্রেণিতে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়া বা নম্বর ও গ্রেডিংয়ের পেছনে ছোটার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, সেটি আর থাকছে না। এ পদ্ধতিতে শিক্ষকদের ভূমিকাই হবে মুখ্য। তাদের বহুমাত্রিক, সৃজনশীল, দক্ষ, যোগ্য, অভিজ্ঞ ও মানবিক গুণসম্পন্ন আদর্শ শিক্ষক হতে হবে। তবে সহপাঠীরাও তাদের সতীর্থদের মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবে। যেমন ‘প্রকল্পভিত্তিক শিখনচর্চা’য় একজন শিক্ষক তাঁর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে প্রকল্পভিত্তিক শেখার কাজ দেবেন। কাজটি করার পর শিক্ষার্থীরা তা শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করবে। তার ভিত্তিতে শিক্ষক নম্বর দেবেন। আবার দলের ভেতর থেকেও শিক্ষার্থীরা একে অপরের কাজ মূল্যায়ন করতে পারবে।
নতুন শিক্ষাক্রম যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক, আগের মতো উদ্দেশ্যভিত্তিক নয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা মুখস্থনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে শিক্ষণীয় বিষয়ের পুরোটা হাতে-কলমে শিখবে। আর এ শিখন-শেখানো কার্যক্রম কেবল শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। শ্রেণিকক্ষের বাইরে, বাসায়, বাসার চারপাশে, স্কুলের চারপাশে বা বৃহত্তর সমাজেও তার শিখন উপাদান থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সহায়তায় বিভিন্ন প্রকল্প, অ্যাসাইনমেন্ট, দলগত কাজ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে দক্ষতা-যোগ্যতা অর্জন করবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো সামনে রেখে আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দলগত কাজের পোস্টার প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়।