সহকারী শিক্ষক
২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৮:১৯ অপরাহ্ণ
শিক্ষকতা পেশার চাকুরি
এইমাত্র রাত ১২টা পার হয়ে ২৮ জানুয়ারীতে`২৩ পড়লো। আমি শুয়ে আছি যে ঘরে এখানে একটি খাটে আমি ও আমার স্ত্রী মাঝে তিন বছরের ছেলে সন্তান আইয়ান। ঘরে ঢোকার দরজার সামনে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া রাইসা ঘুমাচ্ছে একটি চোকিতে যা গত সপ্তাহে কিনেছি ৫০০ টাকা দিয়ে। কিছুক্ষণ হলো একটি ছুচো দরজার নিচু দিয়ে গেল খাবারের সন্ধানে। বুঝতেই পারছেন পরিবেশটা কত ভালো কাটছে। এরই মাঝে একটু ভালো থাকার আশায় ২০ বছর পূর্বে বাবার গড়া দ্বিতল বাড়ির নিচের একটি ফ্লাট সংস্কার করতে ব্যাংক লোন করলেও অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি। বাবা জরুরি প্রয়োজনে চারশত টাকা চেয়েছিল দুপুরে অথচ জবাবে বলেছিলাম আমার ঔষধ কেনা টাকাটাও কাছে নেই। আপনারা জানেন কী যে বাবা দু/চারশো টাকার জন্য হাত পাতছে, সেই বাবায় ১০ বছর শিক্ষকতা করেছে এবং বাকি ২২ বছর শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ৩০/৪০টির অধিক বিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করেছিলেন যে বিদ্যালয়গুলো এখন জাতীয়করণ হয়েছে। বাবা ইচ্ছা করলে অবৈধ অর্থ আয় করে আমার জন্য চকচকে বাড়ি বানিয়ে দিতে পারতো। ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রেখে সুদ খেতে পারতো, তার কোনটাই তিনি করেননি। আমি নিজে শিক্ষকতা পেশার চাকুরি পেয়েছি, শিক্ষক হতে পারিনি। আজ নতুন কারিকুলাম আসছে, নতুন বছরের প্রথম দিনই বই পেয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে খরচ হচ্ছে অজস্র টাকা। সমস্ত শিক্ষা অফিসসহ বিদ্যালয়গুলো নতুন ভবন চকচক করছে। এতকিছুর পরও কেন শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে যেতে বাধাগ্রস্থ হচেছ? একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে অনেক আগেই কিন্তু শিক্ষক রাজনীতি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নিজেদেরকে ছিড়ে খাচ্ছে নিজেরাই। সেই সুযোগ ব্যবহার করছে শিক্ষা প্রসাশন। আমি বলি- "এই শিক্ষক আপনারা সাবধান হয়ে যান, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করুন, শিক্ষক নেতা সেজে সাধারণ শিক্ষককে জিম্মি করেন না।" স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। নোংরা মানসিকতা নিয়ে কোন গোষ্ঠি যেন টেনে না ধরে সেদিকে সকল শিক্ষককে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।