Loading..

খবর-দার

১৩ মার্চ, ২০২৩ ০৩:৩৪ অপরাহ্ণ

তবু খরের আগুনের সামান্য ধোয়া যখন আকাশের দিকে উঠে যায় সেইটুকু ধোয়ার রথে চড়েই যেন স্বর্গে যায় অভাগী।

শরৎচন্দ্রের সাহিত্যের মূল ধারায়, উপন্যাসের পাত্র-পাত্রী পল্লী সমাজের নিম্নবিত্ত গরিব অবহেলিত নারী পুরুষ। বিশেষ করে অবহেলিত নারীরা যারা সংসার জীবনে ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবহেলা, ভালবাসাহীনতা, উদাসীনতা ও নিগৃহীত শিকার। তেমনি অভাগীর স্বর্গ গল্পটিতে অভাগী যতদিন পর্যন্ত জীবিত ছিল তার স্বামী তাকে অত্যন্ত অত্যাচার এবং মারধর করতো।কোনদিনও সে সামান্য ভালোবাসাটুকু এমনকি সম্মানটুকুও পায়নি। কিন্তু মরন কালে সেই অভাগী যখন মৃত্যুশয্যায় ঠিক তখনই তার স্বামী তার জন্য অশ্রুতে বুক ভাসিয়েছিল। হয়তো মরন কালে তার স্বামী তার জন্য কেঁদে ছিলো কিন্তু সারাটা জীবন সে অভাগী হয়েই দিন পার করেছে ও সংসার জীবনে ব্যর্থতা নিয়ে পরপারে চলে যায়।অভাগীর ছেলেকে জমিদার বলে যে নদীর ধারে অভাগী কে নিয়ে যেন মুখের সামনে কিছুটা খড়ের আগুন ছুঁয়ে দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। তবু খরের আগুনের সামান্য ধোয়া যখন আকাশের দিকে উঠে যায় সেইটুকু ধোয়ার রথে চড়েই যেন স্বর্গে যায় অভাগী।