Loading..

খবর-দার

২৬ মার্চ, ২০২৩ ০৮:৫৫ অপরাহ্ণ

জি স্যার! ইয়েস স্যার!! ওকে স্যার!!!

‘নামে কী যায় আসে?’—এ কথার আড়ালের আসল কথা হলো, নামে আসে যায়। স্কুলবেলাতেই ‘স্যার’ আর ‘ছার’ উচ্চারণ শুনে বুঝতাম—কোনটা বিজ্ঞানী ‘জগদীশচন্দ্র বসু’র নামের আগে বসবে, আর কোনটা মাসে আঠারো শ টাকা মাইনে পাওয়া গোবেচারা ক্লাসটিচার জগদীশ বিশ্বাসের নামের পরে বসবে। কেউ শিখিয়ে না দিলেও ওই বয়সেই বুঝতে পারতাম, গরিবগুরবো লোকেরা দারোগাকে ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ ডাকলে দারোগা কেন তাঁদের ‘বাপ’ ডাকিয়ে ছাড়তেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর ফারুক রংপুরের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ বলেছিলেন। এতে ডিসি খেপেছিলেন। ‘শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার...ভয় করি নাকো ধারি নাকো ধার’ টাইপের একটা চেতনায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষক ভদ্রলোক প্ল্যাকার্ড লিখে প্রতিবাদ করার পরই ফেসবুকে ‘স্যার’ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিন ধরে ‘স্যার’ নিয়ে সিরিয়াস তর্কের পাশাপাশি কুতর্কের ছ্যাঁচড়ামিও চলছে।

‘স্যার’ঘটিত সারিগান যে আজকে থেকে চলছে, তা নয়। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ‘মা’ ডাক শোনার জন্য মায়ের মনে যে রকম আকুলিবিকুলি করে, তেমনি বিসিএস নামের সাফল্যের প্রসূতিদের একটি অংশের চির-আরাধ্য সম্বোধনের নাম ‘স্যার’। ‘মা’ ডাকে মাতৃত্ব যেভাবে পূর্ণতা পায়, তেমনি ‘স্যার’ ডাকে বেশি বেতন পাওয়া এই কর্মচারীদের পদপূর্ণতা ঘটে।

এই ‘স্যার-কাঙাল’ স্যাররা ‘স্যার’ ডাকের জন্য কতটা মরিয়া হয়ে থাকেন, তা বুঝতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য কয়েকটা ঘটনার কথা বলছি।