Loading..

খবর-দার

৩০ মার্চ, ২০২৩ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

২০২২ সালের বন্যায় সিলেটের ক্ষয় ক্ষতির ভয়াবাহতা

২০২২ সালের মে মাসে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীকুশিয়ারা নদী ও অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।

১১ মে ২০২২ থেকে ভারী বর্ষণ ও ভারতের মেঘালয়ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল চলমান থাকে। এর কারণে সিলেট জেলায় বন্যা শুরু হয়। জেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদী সারি নদী লুভা নদী ধলাই নদী কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিটি পয়েন্টই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। উজানের পানি নামতে থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।[৭] ২০২২ সালের জুন মাসেও এই বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সিলেট জেলায় কৃষিকাজের উপযুক্ত জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিগুলোর মধ্যে রয়েছে আউশ ধানের বীজতলা যার আয়তন ১,৪২১ হেক্টর। ১৭০৪ হেক্টর আয়তনের বোরো ফসলের জমি এবং ১,৩৩৪ হেক্টর আয়তনের গ্রীষ্মকালীন সবজির জমিও বন্যা থেকে রেহাই পায়নি। এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর সেখানের প্লাবিত পুকুর ও জলাশয় থেকে অনেক মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। বন্যার কারণে সিলেটের ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় বন্ধ করা হয়। সিলেট জেলার ৫৫টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে এবং ১৫টি ইউনিয়ন আংশিক প্লাবিত হয়।[৭] এ ছাড়াও ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় জেলার প্রায় ৩০ লাখ লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েন। জেলায় ৬১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন লোক আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০ হাজার ৯১টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।