Loading..

খবর-দার

৩১ মার্চ, ২০২৩ ১২:১৩ অপরাহ্ণ

বিলুপ্তির পথে দেশীয় মাছ

অবাধে ধরা হচ্ছে ডিমওয়ালা মাছ। ফলে বিলুপ্তির পথে দশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছের ডিম ছাড়ার চলতি মৌসুমে  নদ-নদীগুলো থেকে অবাধে ডিমওয়ালা মাছ ধরা হচ্ছে।  কমপক্ষে ২০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে।

  সাধারণত নদ-নদী খাল-বিলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে ডিম ছাড়ে। ডিম ফুটে যেসব রেণু বের হয় পরবর্তীতে সেগুলো বড় হয়ে প্রকৃতিতে মাছের ভারসাম্য রক্ষা করে। অথচ কৌশলে এসব ডিমওয়ালা মাছ ধরা হচ্ছে। আর যেগুলো রক্ষা পাচ্ছে সেসব মাছের ডিম ফুটে বের হওয়া রেণুও নতুনভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছে। রেণু সংগ্রহকারীরা এসময় নদ-নদী খাল-বিল থেকে রেণু পোনা সংগ্রহে নেমে পড়ে। রেণু পোনা সংগ্রহের জন্য পাতলা জাল, বেউচি জালসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল সংগৃহীত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু থেকে শুধুমাত্র কাঙ্খিত মাছের রেণু পোনা আলাদা করে বাকি প্রজাতিগুলোর রেনু পোনা অযত্নে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

মৎস্যজীবীরা জানান, দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোতে আগের দিনে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। অথচ বছরের পর বছর ধরে ডিমওয়ালা মাছ ধরা ও রেনু পোনা নষ্ট করার কারণে এসব নদ-নদী থেকে দেশী মাছ সরপুঁটি, ভেদা, পাবদা, টেংরা, টাকি, পুটি, শিং, মাগুর, কৈ, খলিসা, বাউশ, কালবাউশ, ভেইশ, চাপিলাসহ কমপক্ষে ২০ প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে সর্বত্রই ডিমওয়ালা মাছ ও রেনু পোনা শিকারীদের তৎপরতা চলছে। 

মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ডিমওয়ালা মাছ ধরা বন্ধের জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় জেলেদের ও স্থানীয় সাধারণ লোকজনকে সচেতন করে যাচ্ছে। দেশীয় ডিম ওয়ালা মাছ রক্ষায় কোন আইন না থাকায় জেলেসহ সাধারন মানুষকে সচেতন করা ছাড়া কিছুই করার নেই ।

দেশীয় মাছ রক্ষায় আইন করা জরুরী ।