Loading..

খবর-দার

০১ এপ্রিল, ২০২৩ ০৭:১৩ অপরাহ্ণ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ৩৭তম দিন অতিবাহিত,সহস্রাধিক শিক্ষক অসুস্থ এবং ২ জনের মৃত্যু।


গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ৩৭তম দিনে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষক-কর্মচরিগণ এসে অবস্থান নেন। প্রেসক্লাবের সামনে ধুলোবালি , বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দীর্ঘদিন লাগাতার অবস্থান করে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ইতিমধ্যে দুইজন শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

আজ শনিবার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জোটভুক্ত সংগঠন সমুহের প্রায় সকল শীর্ষ নেতৃবন্দ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালানো ক্রমান্বয়ে কষ্টকর হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে অবস্থান ও প্রতীকি অনশন কর্মসূচি এবং ১২ থেকে ১৬ মার্চ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী পর্যায়ক্রমে প্রেসক্লাবের সামনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে কর্মসূচি কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। দীর্ঘ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবিসমূহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি । আমাদের বিশ্বাস আগামী বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের সুষ্পষ্ট ঘোষণা থাকবে।

উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীগণ বলেন, দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন জাতির জনক জীবিত থাকলে শিক্ষকগণের রাজপথে অবস্থান করতে হতো না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেন অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া , ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫% উৎসব ভাতা পাবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জরুরি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়িত হবে। মেধাবীরা এ পেশায় আসবে। ফলে স্বল্প খরচে সকল নাগরিক একই মানের মানসম্মত শিক্ষা পাবে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস পাবে, প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসবে ফলে অপচয় ও দুর্নীতি রোধ হবে। বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন। অভিভাবকগণের শিক্ষা ব্যয় অনেক কমবে, শিক্ষায় কাঙ্খিত পরিবর্তন আসবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ভর্তুকী ব্যাতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীগণ জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শাহ আলম, মামুনুর রশীদ, তোফায়েল সরকার , রবিউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, রাকিবুর রাসেল, আবুল বাসার, মনিরুল ইসলাম,এমদাদুল হক প্রামাণিক, এস এম ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।