Loading..

ম্যাগাজিন

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

“ মাধ্যমিক ইংরেজি ২য় পত্র ও আমার কিছু ভাবনা”

২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি বিষয়ে পূর্বের ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১৫০ নম্বর নির্ধারীত করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী সিলেবাসও প্রণয়ণ করা হয়েছে যা ২০১৩ সাল হতেই তাবাস্তবায়ন হচ্ছে । ইংরেজি ২য় পত্র ৫০ নম্বর করার কারনে শিক্ষার্থীদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না । কারণ পূর্বের ইংরেজি ২য় পত্রের ১০০ নম্বরের সিলেবাস মোটামুটি ৫০ নম্বরের মান বণ্টনে রাখা হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি ২য় পত্র সিলেবাসে যা Grammar Items দেওয়া হয়েছে সেগুলো ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আয়ত্তে আসছে না।কারন ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন ইংরেজি গ্রামার পড়ানো প্রয়োজন হয় না বা পড়ানোও হয়না ।কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে এসেই শিক্ষার্থীরা ৯ম-১০ম কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে যেসকল Grammar পড়ানো হয় সেগুলোর কিছু অংশ ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ২য় পত্রের সিলেবাসে অর্ন্তভূক্ত আছে ।যেমন- Transformation of Sentences(Changing Affirmative,Negative,Interrogative,Exclamatory,Changing Degree), Voice Change ইত্যাদি। অথচ শিক্ষার্থীরা এসময় পূর্বের শিখন অনুযায়ী Person, verb ই না চিনার কথা। তাছাড়াও Transformation of Sentence শিখানোর পূর্বে অারো কতো Grammar যে শিখাতে হয় যাহারা ইংরেজি পড়ান খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারেন ৷পূর্বে শিক্ষকেরা Tense পড়ানোর সময় সাধারনভাবেই Affirmative to Negative/Interrogative/Negative- Interrogative
শিখাতেন এবং পরীক্ষার সিলেবাসে ও তা অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ কিন্তু এখন সরাসরি Transformations দেয়া হয়েছে ৷ এ যেন গ্রামের হাতুরে ডাক্টারদের মতোই; কয়েকদিন ঔষুধের দোকানে কাজ করে ডাক্টার হওয়া ৷এখন কথা হলো Affirmative to Negative এ রূপান্তরীত করতে কিছু Word এর Opposite Word ও জানতে হয় ৷অামরা অনেকেই জানি যে PSC পাশ করার পরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় গ্রাম অঞ্চলের শতকরা ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী ভালোভাবে পাশ করতে পারে ৷অার বাকিরা কিভাবে PSC পাশ করে তা অামাদের সবারই কিছু না কিছু জানা অাছে ৷গ্রামাঞ্চলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন ভর্তিকৃত ২০-২৫% শিক্ষার্থী দেখে দেখে সঠিকভাবে ইংরেজি পড়তেও পারে না ৷এদের মধ্যে অারো কিছু অাছে যারা না দেখে সকল Alphabet গুলো লিখতেও পারে না ৷ তাহলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির কাদের জন্যর Transformation এর মতো এত High Level এর Grammar দেয়া হয়েছে ? তাছাড়াও ইংরেজি লিখার জন্য Verb অতি প্রয়োজন
হলেও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত না থাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্বতর্স্ফুতভাবে Strong Verb and Weak Verbs অর্থসহ শিখছে না ।পূর্বের সিলেবাসে Person, number,gender,parts of speech, tense ইত্যাদি পড়ানো বাধ্যতামুলক ছিল তাই শিক্ষার্থীদের অনায়াসে প্রায় ১৫০-২০০টি অর্থসহ Verb, past form
past perticiple form আয়ত্তে থাকতো এবং তাদের ইংরেজি শিখতে মোটামুটি সুবিধাই হতো। কিন্তু এখন এগুলো ৬ষ্ঠ ও এর পরবর্তী কোনো শ্রেণিতেই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত নাই । তাই এস.এস.সি
পাশ করার পরেও পরিপূর্ণভাবে Verb এর সঠিকরূপ অনেকেরই অজানা থেকে যায়৷ আবার phrases and idioms পূর্বে ৮ম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত থাকলেও এখন সম্পূর্ণভাবে সিলেবাস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ।কোন
passage-এ phrase and idioms থাকলে শিক্ষার্থীরা এর অর্থ হাস্যকরভাবেই অনুবাদ করে। অথচ ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল চাকরির পরীক্ষায়ই
phrase and idioms থেকে কিছু না কিছু প্রশ্ন থাকে । যদি স্কুল কলেজের Syllabus থেকে এগুলো বাদ দেয়া হয়েছে তাহলে
পরর্তীতে এগুলো থেকে পরীক্ষা নেয়া হয় কেন ?  পরীক্ষার্থীরাই বা কিভাবে এগুলোর উত্তর দিবে ? নাকি কোচিং থেকে শিখার জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে ? মাধ্যমিক পর্যায়ের ইংরেজি ১ম পত্রে Re-arranging একটি পরিচিত Item. কিন্তু এর জন্য ৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণি
পর্যন্ত দেয়া হয় ১০টি করে Sentence অথচ ৯ম-১০ম
শ্রেণিতে দেয়া হয় ৮টি sentence আবার দ্বাদশ শ্রেণিতে
দেয়া হয় ১৪টি sentence । যেমনটা দেখা যায় পঞ্চম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে মোট বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ করলেও৷ পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ৬০০ নম্বরের ছয়টি বই ; অথচ ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেই শিক্ষার্থীরা হাতে পায়১০০০ নম্বরের মোট ১৪টি বই ৷এ যেন প্রথম বছরের দেশি সবজি পরের বছর হাইব্রিডে উন্নতি৷ এত গুলো বই ১১-১২ বছরের শিশু দেখেই অজ্ঞান হওয়ার কথা কিন্তু বাংলার সাহসি সন্তান বলতে একটি কথা অাছে না?  যা-ই পড়ুক বই পেয়ে মহাখুশি ৷লক্ষনীয় যে, ৫ম শ্রেণিতে যাহারা ৬০০নম্বরের পরীক্ষার জন্য ৬টি বই পড়েছিল ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে এক বছরের ব্যবধানেই কি তাদের ঘাড়ে ১০০০ নম্বরের ১৪ টি বই চাপিয়ে দেয়া উচিত? পঞ্চম শ্রেণিতে যেহেতু ৬০০ নম্বর, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৮০০ নম্বর,৭ম শ্রেণিতে ৯০০ এবং ৮ম শ্রেণিতে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা হতে পারতো !এবং বইয়ের সংখ্যাও নম্বর বন্টন অনুযায়ী বাড়তে পারতো ! এ ব্যাপারটি নিয়ে অনেক শিক্ষক ও অভিভাবকই অালোচনা-সমালোচনা করে থাকেন৷ ইংরেজি Written Test  যেমন Paragraph,Letter, Application, Composition etc. এগুলো অামাদের শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করেই পরীক্ষায় লিখে থাকে ৷খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই অাছে যারা নিজ থেকে বানিয়ে এগুলো লিখতে পারে ৷ বাংলা অামাদের মাতৃভাষা হওয়া সত্ত্বেও বাংলা ২য় পত্রে ভাবসম্প্রসারণ, চিঠি, দরখাস্ত, অনুচ্ছেদ রচনা, ইত্যাদি পরীক্ষার্থীরা দুটির মধ্যে একটি উত্তর লিখার সুযোগ পায় এবং রচনা তিনটির মধ্যে একটি উত্তর লিখার সুযোগ পায় ৷ অপর দিকে ইংরেজি বিদেশি এবং অামাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে একটি ভয়ের Subject হলেও পাবলিক পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষায় সকল Written Item একটির মধ্যে একটিই উত্তর দিতে হয় ৷এতে করে শিক্ষার্থীরা একটি থেকে একটি পরীক্ষায় কমন না পরার ভয়ে তোতা পাখির মতো  অনেকগুলোই মুখস্থ করতে হয় ৷ আমি নায়েমে প্রশিক্ষণ(CEC) নিতে
গিয়ে একজন সম্মানিত প্রশিক্ষককে (তিনি কারিকুলাম প্রনেতার একজন)বলেছিলাম re-arranging এর জন্য
৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৫টি sentence ৭ম শ্রেণিতে ৮টি sentence, ৯ম-১০ম শ্রেণিতে ১০টি sentence এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৪টি sentence ই দেয়া যেতে পারে এবং Composition অন্তত পরীক্ষায় দুইটির মধ্যে একটি উত্তর দেয়া ব্যবস্থা রাখলে শিক্ষার্থীদের ভালো হয়। তিনি আমার সাথে রেগে বলেছিলেন তিনি যা কারিকুলাম করেছেন তা-ই মানতে হবে।এ যেন নিদ্রাহীন মানুষকে ঘুম থেকে জাগানোর মতো ৷ ৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণির ইংরেজি ২য় পত্রের সিলেবাসে Person, number(changing with meaning),
gender(changing with meaning), article(using), strong verbs
and weak verbs(using according to situation), parts of speech
(practical using), sentences(making),tense(making sentence
using the structures of tenses) এর structure অনুযায়ী
affirmative to negative,Assertive to Interrogative,Exclamatory and vices versa অন্তর্ভুক্ত করে এবং পরীক্ষায় এদের প্রয়োগ রেখে Transformation of sentences, voice বাদ দেয়ার জন্য আহবান করছি। তাছাড়া Filling gaps পদ্ধতি কমিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষায় নিজ থেকে কিছু ইংরেজি Sentence লিখতে পারে তা অর্ন্তভূক্ত করা উচিত। তার সাথে সাথে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত punctuation রেখে ৯ম-দ্বাদশ শ্রেণি
পর্যন্ত Punctuation বাদ দিয়ে নবম দশম শ্রেণিতে phrase and idioms(Making Sentence)এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে corrections অর্ন্তভূক্ত করার জন্যও আহবান করছি৷
মোঃ মহসিন মিয়া
সহকারি শিক্ষক, ইংরেজি
বড় গোবিন্দপুর এএমবি উচ্চ বিদ্যালয়
চান্দিনা,কুমিল্লা৷

email. [email protected]

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি