Loading..

প্রকাশনা

১১ এপ্রিল, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুধ-ডিমের বাইরে শিশুকে যে ১১টি খাবার খাওয়ানো উচিৎ
দুধ-ডিমের বাইরে শিশুকে যে ১১টি খাবার খাওয়ানো উচিৎ সারা ক্রিকেট দুনিয়ার বর্তমান সময়ের সেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশের বিশ্বমানের সেরা তারকা সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের শিশুদের খাবার নিয়ে একটি কথা বলেছেন। মানুষ হিসেবে তার অন্যান্য কথাগুলোর সাথে হয়তবা দ্বিমত থাকলেও তাঁর এ কথাটির সাথে আমরা উর্বশী টিম সম্পূর্ণ একমত। আমরা আর একটু সচেতন হলেই আমাদের শিশুদেরকে আরও পুষ্টিকর খাবার দিতে পারি। আসুন দুধ-ডিমের বাইরে আমাদের দেশে সহজলভ্য অথচ শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার গুলো কি কি একটু জেনে নেই। ক্যামিক্যাল মুক্ত পাকা কলাঃ পাকা কলাতে আছে কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসার যা শরীরে শক্তি যোগায়, ফাইবার -হজমে সহায়তা করে ও আয়রন । প্রতিদিন শিশুকে অন্তত একটি পাকা কলা খাওয়ান। মিষ্টি আলুঃ পটাসিয়াম, ভিটামিন C ও বেটা ক্যারোটিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট এর উৎকৃষ্ট উৎস। বেটা ক্যারোটিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী । আর মিষ্টি আলু খেতে মিষ্টি বলে শিশুরা পছন্দও করে। প্রতিদিন একটি করে মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে তাকে স্ম্যাশ পটেটো এর মত করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। গাজরঃ বেটা ক্যারোটিন এর সবচেয়ে ভাল উৎস হল গাজর। এটি যে শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে তাই নয়, শরীরে ভিটামিন এ এর যোগান দেয় যা আপনার শিশুর বেড়ে ওঠা ও দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখে। গাজর সিদ্ধ করলে সুন্দর গন্ধ ছড়ায় সেই সাথে তার স্বাদেও মিষ্টতা আসে যা আপনার শিশু খেতে পছন্দ করে। ইয়োগারট বা টকদইঃ আপনার শিশুর জন্য ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ফসফরাসের যোগান দিবে হল টকদই। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শিশুর দাঁত ও হাড় শক্ত ও মজবুত করে। এছাড়া এতে প্রোবায়োটিক্স ব্যাক্টেরিয়া থাকে যা হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। সাধারানত শিশুদের জন্য ফ্যাট দরকারী, তাই কেনার সময় পূর্ণ ননি যুক্ত টক দই কিনুন অথবা বাসাতেও চাইলে বানাতে পারেন। আর টকদই যেহেতু টক তাই শিশুকে চিনি অথবা ফলের রস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। চিকেনঃ মুরগীর মাংস খুব ভাল প্রোটিন ও ভিটামিন বি৬ এর উৎস। ভিটামিন বি৬ অন্যান্য খাবার থেকে শক্তি আহরণে সাহায্য করে। আর প্রোটিন তো শিশুর বেড়ে উঠার জন্য অত্যাবশকিয়। মুরগী ঝাল করে রান্না না করে স্যুপ করে খাওয়াতে পারেন আপনার শিশু কে। সিটরাস বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এর মধ্যে আছে কমলা, লেবু, বাতাবী লেবু, আমলকি ইত্যাদি। সাধারনত কমলা স্বাদে বর্ণে ও গন্ধে অন্যান্য গুলোর চেয়ে ভাল বলে এর চাহিদা এবং দাম বেশী। সেই সাথে ফরমালিনের ভয় তো আছেই। তাই, শিশুকে কমলার পরিবর্তে চিনি মিশিয়ে বাতাবী লেবু খাওয়াতে পারেন। এই ফল গুলোতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি পটাসিয়ামও থাকে যা পেশী সংকোচন প্রসারনে সাহায্য করে এবং শরীরে ফ্লুইড এর ভারসাম্য ঠিক রাখে। রেড মিটঃ রেড মিটে প্রোটিন এর পাশাপাশি থাকে আয়রন। আয়রন রক্তের লোহিত কনিকা কে বেশী করে অক্সিজেন ব্রেইনে সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শিশুর ব্রেইন গঠনে কার্যকরী ভুমিকা রাখে। গরু, খাসি, ভেড়া ইত্যাদি হল রেড মিটের ভাল উৎস, যদিও দাম একটু বেশী। ফরমালিন মুক্ত মাছঃ সত্যি বলতে মাছের উপকারিতা লিখে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে ছোট মাছ। তাই শিশুকে বেশী করে মাছ খাওয়ান। তবে সাবধান, ফরমালিন যেন না থাকে। সে ক্ষেত্রে উর্বশী এর ফরমালিন মুক্ত করার আরটিক্যাল পড়ে দেখতে পারেন। এবং অবশ্যয় খেয়াল রাখবেন গলায় কাঁটা যেন না বিঁধে। পাকা টমেটোঃ খুব অল্প দামে আপনার শিশুকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপিন এর যোগান দিতে পারে এই পাকা লাল টমেটো। এই লাইকোপিন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ভাবে কার্যকর। লাইকোপিন এর সাথে একটু ফ্যাট যেমন ধরুন তেল (সয়াবিন, অলিভ ইত্যাদি) দিয়ে খাওয়ালে সহজে হজম হয়। তাই তেল ও চিনি দিয়ে টমেটো এর কেচাপ করে আপনার শিশু কে দিতে পারেন। মটরশুঁটিঃ মটরশুঁটিতে আছে ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ , ভিটামিন সি, ফলিক এসিড এবং বি ভিটামিন। এই সবগুলিই আপনার শিশুর জন্য খুবই দরকারী। মটরশুঁটি শুধু অল্প লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। শাক-সব্জিঃ শাক-সব্জি সবার জন্যই প্রায় সব-সময় ই ভাল। তাই আপনার শিশুকে বেশী করে শাক-সব্জি খাওয়ার অভ্যাস করাতে পারেন, বিশেষ করে লাল শাক, পুঁই শাক, কচু শাক, মিষ্টি কুমড়া, মাশরুম, ব্রুকলি, লাউ আপনার শিশুর জন্য খুবই উপকারী। সকল শিশু থাকুক সুস্থ ও সুন্দর। বেড়ে উঠুক সঠিক যত্নে, অনাবিল আনন্দ ও ভালোবাসা নিয়ে। আজকের শিশু, পৃথিবীর আলোয় এসেছে, আমরা তার তরে শুধু একটি সাজানো বাগান চাই।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি