Loading..

খবর-দার

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১২:১৯ অপরাহ্ণ

শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় আমাদের করনীয়-বর্জনীয়

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি জীবনে উন্নতি সাধন করতে পারেনা। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। সমাজের রুপ পরিবর্তন এবং কর্ণদার হিসাবে ভূমিকা পালন করেন একজন আদর্শ শিক্ষক। একজন আদর্শ শিক্ষকই শুধু পারেন আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা ও কাঠামো তৈরি করতে। এ জন্যই শিক্ষকতাকে অপরাপর পেশার মানদণ্ডে পরিমাপ করা যায় না বলে অনাদিকাল থেকে এটি একটি সুমহান পেশা হিসেবে সমাজ-সংসারে পরিগণিত হয়ে আসছে। কারণ জ্ঞানই মানুষের যথার্থ শক্তি ও মুক্তির পথনির্দেশ দিতে পারে। হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। তাই তিনি শিক্ষা, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষক ও শিক্ষার ব্যাপকীকরণে সদা সচেষ্ট ছিলেন। বদরের যুদ্ধবন্দিদের তিনি মদিনার শিশুদের শিক্ষা দেয়ার বিনিময়ে মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। শিক্ষকরা মানুষ তৈরির কারিগর। শিক্ষকরা জাতির প্রধান চালিকাশক্তি। এক কথায় বলা যায়, শিক্ষক মানুষ চাষ করেন। যে চাষাবাদের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার দ্বারা উপকৃত হয়। জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে প্রয়োজন মানুষ গড়ার কারিগর। তাই শিক্ষকদের পর্যাপ্ত পেশাগত স্বাধীনতা থাকা দরকার। এর পাশাপাশি যথার্থভাবে শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। দেশব্যাপী শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও মর্যাদা সুরক্ষাসহ শিক্ষকদের জীবনের মান উন্নত করার ব্যাপারে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষকতা অতি সম্মানিত ও মহান পেশা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, সামাজিক দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে শিক্ষকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমাদের সমাজে এমনকি জাতীয়ভাবে শিক্ষকদের তেমন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। ক্ষেত্রবিশেষ শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা হয়। বলতে লজ্জা হয়, দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে দেখা যায়। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও অমানবিক কাজ। অথচ হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছাড়া কেউই আমার আপন নয়। এই হাদিসের আলোকে বলা যায়, যারা শিক্ষকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে, অপমান করে-তারা তো পরোক্ষভাবে হজরত রাসুলুল্লাহর [সা.] আপনজনদেরই তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখছে; তাদেরই অপমান করছে। আর হজরত রাসুলুল্লাহর [সা.] আপনজনদের সঙ্গে বিরূপ ধারণা পোষণকারী কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর রাসুলের [সা.] সুপারিশ লাভ থেকে বঞ্চিত হবে। আসুন আমরা শিক্ষককে যথাযথ মর্যাদা দেই এবং নিজেরাও সম্মানের অধিকারী হই।


মাওলানা সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

সহকারী শিক্ষ (ধর্মীয়)

বাতিসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

সপ্তাহের সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা এবং

ICT4E জেলা এম্বাসেডর, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।