Loading..

খবর-দার

১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০৩:০৭ অপরাহ্ণ

♦মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের ব্যাপক বেতনবৈষম্য

♦মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের ব্যাপক বেতনবৈষম্য

♣মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষকের খরচ মিটিয়ে কিছু উদ্বৃত্ত
    থাকে
 
 ®একই পদ্ধতিতে নিয়োগদান এবং চাকরি ও অবসরকালীন আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে হবে

©গণসাক্ষরতা অভিযানের গবেষণা প্রতিবেদন

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের ব্যাপক বেতনবৈষম্য
দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক বেতনবৈষম্য রয়েছে। সরকারি, এমপিওভুক্ত এবং ননএমপিও—এই তিন ধরনের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের এক পঞ্চমাংশ শিক্ষক সবচেয়ে বেশি আয় করেন। যে এক পঞ্চমাংশ শিক্ষক বেশি আয় করেন তাদের গড় আয় সবচেয়ে কম আয় করেন এমন এক পঞ্চমাংশ শিক্ষকের গড় আয়ের সাড়ে তিনগুণ। সরকারি বিদ্যালয়ের আয় সবচেয়ে বেশি। তাদের আয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আয়ের প্রায় দ্বিগুণ। আর এমপিওভুক্ত নন এমন শিক্ষকদের আয়ের প্রায় সাড়ে ৩ গুণ।

গতকাল রবিবার রাজধানীর এলজিইডি ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের গড় আয় ৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৮৬ হাজার। এছাড়া এমপিওবিহীন শিক্ষকের আয় ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষকদের বক্তব্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয় বলে জানানো হয়েছে।

জরিপের ৫ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন, তারা সব সময়ই অভাবে ছিলেন। ২০ শতাংশের বেশি শিক্ষকেরা জানিয়েছেন তারা মাঝে মাঝে অভাবে ছিলেন। প্রায় ৩৫ শতাংশ খেয়ে পড়ে সমান ছিলেন। তার ৪০ শতাংশ শিক্ষক জানিয়েছেন বছরের সব খরচ মিটিয়ে তাদের কিছু টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।

জরিপের দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষকের দ্বিতীয় একটি পেশাও রয়েছে। শিক্ষকদের এক পঞ্চমাংশের দ্বিতীয় পেশা হিসেবে গৃহব্যবস্থাপনা রয়েছে। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৮৬ শতাংশ। শিক্ষকদের ২৩ শতাংশের দ্বিতীয় পেশা কৃষি কাজ। ১১ শতাংশের গৃহশিক্ষকতা। ব্যবসা ৪ শতাংশের। সরকারি স্কুলের ৫৭ শতাংশের বেশি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশ শিক্ষকের একমাত্র পেশা শিক্ষকতা।

তথ্য অনুযায়ী, শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের চাপ সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চেয়ে বেসরকারি স্কুলে বেশি। বর্তমান রুটিন অনুযায়ী সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সপ্তাহে ২১টি ক্লাস নিতে হয়। এ সংখ্যা বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রায় ২৩টি। আর দাখিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ২৬টি। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ শিক্ষক সপ্তাহে ১৯ থেকে ২৭টি পিরিয়ড পরিচালনা করেন। সপ্তাহের এতগুলো পিরিয়ড পরিচালনাকে শিক্ষকরা অতিরিক্ত কাজের চাপ হিসেবে দেখছেন। তাই তারা কাজের চাপ কমানোর প্রস্তাব করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানভেদে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধাসংক্রান্ত যেসব পার্থক্য রয়েছে সেগুলো দূর করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ধরনভেদে শিক্ষকদের একই পদ্ধতিতে নিয়োগদান এবং চাকরি ও অবসরকালীন আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে সমতা বিধান করতে হবে। বলা হয়, প্রচলিত শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি সময়ের সঙ্গে শুধু অসমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে এর একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, আমরা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। সরকারি স্কুলের মতোই আমরা একই সিলেবাস পড়াই। অথচ বেতনের পার্থক্য ব্যাপক। মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া পাই। এই টাকা দিয়ে কী কোথাও বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। আমি মনে করি, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয়করণই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

??শিক্ষা সম্পর্কিত খবরাখবর জানতে নিচের
         লিংকে ক্লিক করে গ্রুপে ঢুকে JOIN GROUP এ
         ক্লিক করুন।গ্রুপে আপনিও শেয়ার করুন...

                      ? ? ? ?

https://m.facebook.com/groups/1279134298897401?ref=bookmarks

??দৈনন্দিন শিক্ষা সম্পর্কিত খবরাখবর পেতে
          নিচের লিংকে ক্লিক করে দৈনিক শিক্ষা সংবাদ
           পেইজে " LIKE PAGE " ? এ লাইক দিন

                      ? ? ? ?

https://www.facebook.com/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6-239814006441166/

♣এডমিনঃ

                 ♣♦Najmuddin Md. Tawhed