Loading..

প্রকাশনা

১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ১১:১৩ অপরাহ্ণ

শিক্ষক দিবসে বিছনাকান্দির বুকে ডিজিটাল শিক্ষক গ্রুপ- সুনামগঞ্জ।

শিক্ষক দিবসে বিছনাকান্দির বুকে ডিজিটাল শিক্ষক গ্রুপ- সুনামগঞ্জ

ডিজিটাল শিক্ষক গ্রুপ¬¬-সুনামগঞ্জ।প্রতিদিনের মতো রাত নামলো,অমনি আইসিটি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত মেসেঞ্জার গ্রুপ টিংটং শব্দে নেচে উঠলো।যেহেতু এটা নিত্যকার অভ্যাস রাত ঘুমানোর আগে গ্রুপের সবার সাথে কথা না বললে যেন ঘুম আসেনা,এ গ্রুপ যেন একটি মাত্র দেহ,যে দেহে আইসিটি নামক রক্তের শ্রোতধারা প্রবাহমান।তাই এসময়ে গ্রুপের আড্ডায় যুক্ত হয়ে রিংটোন মিউট না করে উপায় নেই। চলছে আইসিটি আড্ডা,কারো সফলতার গল্প,কারো সমস্যার নিমিষেই সমাধান।সমস্যা নিয়ে কেউ এখানে ঘুমরোমুখ করে বসে থাকতে হয়না কেউ না কেউ সমাধান দিবেই।কারণ এ গ্রুপে আছে দেশ সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা,আছে অনেক জেলা অ্যাম্বাসেডর।কোন সময় দেখা যায় সমাধান দিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সুনামগঞ্জ আইসিটির দেশ সেরা আইকন শিক্ষকগণ।

আড্ডা,প্রশ্ন,সমাধান,গল্পের ফাকে হঠাৎ চলে এল ৫ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের কথা।সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা ও সুনামগঞ্জ জেলা অ্যাম্বাসেডর মিসবাহ স্যার বললেন,"চলেন এই বিশ্ব শিক্ষক দিবসে কোথাও বেড়িয়ে আসি।"কি প্রস্থাব!!কবিরুল স্যার,নোমান স্যার,আল আমিন স্যারে সমর্থন আসতে দেরি হলোনা।সবাই যেন উৎসবে মেতে উঠলো।সবার মনে যেন আগেই এ বীজ রোপণ ছিল।পানির সাথে একটু আলোর ঝিলিকেই ভ্রমণ নামক উদ্ভিদের অংকোরোধগম হলো মুহুর্তেই। পুজার বন্ধ যেন আমাদের জন্য মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়লো।

সুন্দরবন যাবার প্রস্তাব এলো,সবাই একমত।সুন্দরবন সিলেক্ট হয়ে যাবে যাবে,এমন সময় খবর এল দেশ ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত।সুন্দরবন ভ্রমণ সুবিধাজনক হবেনা।কিন্তু তাই বলে কি এই আড্ডা,এই ভ্রমণ আর এবার হবেনা?এটা হতেই পারেনা।আমাদের জন্মভূমি প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি।যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই অফুরন্ত সুখ,উল্ল্যাস নিয়ে বসে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।এদেশেরপরতে পরতে মিশে আছে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।আমাদের সিলেটেই আছে অনেক প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় লীলাভূমি।শাহজালাল,শাহপরান,বিছনাকান্দি জাফলং,সাদা পাথরের ভোলা গঞ্জ,রাতারগুল,চা বাগান,সুনামগঞ্জের নীলাদ্রিসহ হাজার হাজার দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।প্রস্তাব;দূরে হলনা কাছে যাই?সীমানার কাছে?যার ওপারে যাওয়া আছে নিষেধ! কিন্তু এপারেতো আছে অনেক কিছু?ওখানেই উড়ে গিয়ে ঘুরে আসি অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সিলেটের নয়নাবিরাম কোন দর্শনীয় স্থান।সবার ঐক্যমতে আনন্দ ভ্রমণের স্থান ঠিক হলো সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউনিয়নের সুনিবিড় ছায়াঢাকা বিছানা,ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে  ঝর্ণার শীতল স্বচ্ছজলের বয়ে যাওয়া বিছানাকান্দি।

৫ই অক্টোবর,২০১৯ইং।আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস।পাখি ডাকা ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার আইসিটিপ্রেমি শিক্ষকদের ঘুম ভাঙলো।যদিও রাতে বিভিন্ন কাজে,পর দিনের ভ্রমণ নিয়ে প্রস্তুতি মুলক আলোচনা করে ঘুমাতে অনেক দেরি।ঘুম না ভেংগে কি পারে?আজ যে আনন্দের মেলা অপেক্ষা করছে!

সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ সদর আইসিটি দল মাইক্রোবাস চেপে ৮:১০টার দিকে জাওয়া,ছাতক থেকে আসা মাইক্রোর সাথে গোবিন্দগঞ্জ  মিলিত হয়ে তিনটি বাস পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ৮:৩০টার দিকে একসাথে যাত্রা করলো সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক চেপে সুর্যকে সামনে রেখে মাইক্রো বিভাগীয় শহর সিলেটের অভিমুখে। 

সিলেট এসে আইসিটি পাখির দল যাত্রাবিরতি করবে সিলেট পিটিআই।তাই আমি ও মাহফুজুল আলম নমির স্যার জগন্নাথপুর থেকে অনেক আগেই সিলেট পিটিআইয়ে এসে অপেক্ষমান।বিছানাকান্দির শীতল বিছানার পরশের অপেক্ষা আর সময়ের দ্রুত চলা যেন অসহ্য।তাই বার বার ফোনালাপ,আমাদের মাইক্রো এত দেরি কেন সিলেট পৌঁছাতে?মিসবাহ স্যার সারপ্রাইজ করতে জানালেন তারা বুজি এখনও অনেক দূরে।মুহুর্তেই অপেক্ষিত চোখের চাওয়া চাওয়ি ইতি টানতে হুম্মম্মম্ করে পিটিআইর গেইটে ডুকে আমাদের সাজানো মাইক্রো।এক এক করে সবাই গাড়ি হতে নেমে আসেন।উল্লাসে ফেটে পড়ে সিলেট পিটিআই প্রাঙ্গণ।বলে রাখা ভাল, গ্রুপে সবসময় কথা বললেও অনেকে আবার অনেকেরই সাথে ছিল প্রথম সাক্ষাৎ।তাই একে অন্যে পরিচয় করিয়ে দিলেন যথাসময়ে।

যাক,আমরা সবাই হুড়মুড় করে ডুকে পড়লাম সিলেট পিটিআইর অফিসে।এগিয়ে এলেন সবার প্রিয় মুখ,অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ জনাব সাঈদ আলী কবির ভাই।কবির ভাইয়ের একটু পরিচয় দেওয়া ভাল।তিনি সিলেট পিটিআইর ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। আইসিটিতে বিশেষ দক্ষ।তিনি একসময় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। 

এখানে সাঈদ আলী কবির ভাইয়ের সৌজন্যে উষ্ণচায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আইসিটি বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।কিছু সময়ের জন্য রসিকতাপূর্ণ হয়ে উঠে পিটিআই অফিস।সাঈদ ভাই একজন পরিশ্রমী,পরোপকারী,সাদা মনের মানুষ।তিনি অল্প সময়ে শিক্ষায় আইসিটির ব্যবহার ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।আইসিটিতে তার দক্ষতা,সক্ষমতা,কৃতিত্ব ও গবেষণার প্রমান পাই।তার ফোল্ডারে জমানো শিক্ষায় ব্যবহার যোগ্য আইসিটির ভান্ডার সম্পর্কে অবগত হলাম।

ঘড়ির কাটা যেন দ্রুতই ঘুড়ছে,তাই আমাদের দল সিলেটে যাত্রাবিরতি দ্রুত শেষ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার এর অভিজাত রেস্টুরেন্ট #পানসী থেকে সকালের নাস্তা করে নিলাম।দুপুরের খাবার সংগ্রহ করে আমরা যাত্রা শুরু করলাম।যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা উসমানি বিমান বন্দরের পাশ দিয়ে দুই পাশের ছোট টিলা মোড়ানো বৃক্ষ,সিলেটের ঐতিহ্য চা পাতায় সবুজে সবুজে ছায়া ঢাকা রাস্তা দ্রুত পিছনে ফেলে আমাদের গাড়ি চলল বিছনাকান্দি অভিমুখে।চলতে চলতে নমির স্যার,মিসবাহ স্যার,শাহিন স্যারের মুখরোচক কথায় আনন্দে ভরে উঠে আমাদের যাত্রা।আমাদের গাড়ি সবার সামনে তাই গাড়ির গ্লাসে মাঝেমধ্যে দেখা গেল পিছনের গাড়ির সহযাত্রীদের উচ্ছ্বসিত মুখ। যাত্রাপথ মোটামোটি সুবিধাজনক হওয়ায় সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে আমরা প্রায় এক ঘণ্টায় পৌছে যাই নৌকাঘাট হাদারপাড়ে।হাদারপাড় গিয়েই চোখে পড়লো ইঞ্জিন চালিত সারি সারি নৌকা।এই নৌকা দিয়েই আঁকাবাকা নদী ফেরিয়ে বিছনাকান্দি যেতে হয়।

১২টার কাটা সামনেএকটু আগাতেই আমরা হাদারপাড়ে পৌঁছি।ওখানে আল আমিন স্যারের বন্ধু মানুষ বিছানাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব নুরুল আমিন স্যার অপেক্ষারত ছিলেন।উল্লেখ্য নুরুল আমিন স্যার অত্যন্ত অথিতিপরায়ন মানুষ। কিন্তু ব্যক্তিগত বিশেষ কাজের কারণে আমাদের সময় দিতে না পারলেও সবকিছু বুঝিয়ে উনার স্টাফ সহকারী 

অত্যন্ত ভদ্র, নম্র, হাসিমাখা জনাব ইয়াহিয়া ভাইয়ের মাধ্যমে আমাদের নৌকায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন।

পূর্বে ঠিক করে রাখা ২টা নৌকা করে বিছনাকান্দি মূল স্পটের দিকে যাত্রা করলাম।আমাদের মাঝে অনেকেরই নৌকা বেশ একটা চড়া হয়না।ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চড়ে তাই উল্ল্যসিত ছিলেন অনেকেই।পাঠক আমরা নৌকা চালিয়ে যে নদীর বুক ছিড়ে আগাচ্ছি তার নাম জানা রাখা দরকার।এটা ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঝর্ণার স্রোতধারা যা হাদারপাড় এসেছে বিছানাকান্দি থেকে মাঝে একটু মোড় নিয়ে,এই নদীর নাম পিয়ান নদী।

পিয়াইনের বুকে পর্যটকের শত শত নৌকা দুরন্ত গতিতে যেন সাগরের উত্তাল ঢেউ তুলে এপার ওপার আনাগোনা করছে।নৌকা যুগে খানিকটা এগুতেই চোখে পড়ল সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড়।নৌকা যতই আগাচ্ছিল ততই আকাশের নীলিমা আর সবুজ পাহাড় যেন আমাদের দিকেই অগ্রসর হয়ে অপরসীম খুশিতে উল্লাস করতে লাগলো। সবুজের বুক ছিড়ে শীতল ঝর্ণা বহুদুরে হলেও যেন অভিবাদন জানাতে উপছে পড়ল আমাদের হৃদয় চোখে।সবুজের একেবারে কাছে গিয়ে দু'হাতের আলিঙ্গনে যেন মিশে যেতে মন চায়।আমরা নদীর দুই পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট নৌকার বটবট শব্দ থামিয়ে যখন বিছনাকান্দি পৌছি তখন বেলা দুপুর ০১.১৩ মিনিট। 

বিছনাকান্দি নৌকা থামতেই আমাদের চঞ্চল মন আর বসে থাকতে চায়না।প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যকে আলিঙ্গন করতে যেন হৃদয় হাহাকার করে উঠলো।ভারতের উঁচু পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ-শীতল জলধারা এবং দূরের আকাশচুম্বী পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেরি যে কারো সহ্য হচ্ছেনা!চোখ জুড়ানো মায়ায় ঝাপ দিতে অশান্ত মন কোনমতে শান্ত করে সবাই দুপুরের খাবার সেরে নিলাম নৌকায় বসেই।

দুপুরের খাওয়া শেষে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে নিজের করে নিতে সবাই ঝাপিয়ে পড়লাম পাহাড়ের নিচে গড়িয়ে আসা পাথর ঢাকা শীতল পানির উপর।মুহূর্তেই লম্বা ভ্রমণের ক্লান্তি উধাও হলো।সবাই তখন মায়াময় আনন্দঘন মুহুর্তে নিজেকে হারালেন অচিন রাজ্যে।ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরাম্যান ছবি তুলে দিতে আসে এগিয়ে।এ ভ্রমণ ইতি হলে স্মৃতি যেন থাকে তাই হাতের উন্নত স্মার্টফোন ক্যামেরার সাথে ভাড়া নিলেন ডিএসএলআর ক্যামেরাম্যানদেরও। ছবি তোলতে লাগলেন নিজেদের ইচ্ছেমত।পাহাড়ি স্বচ্ছ জলধারায় উঁচু-নিচু পাথরগুলোকে দেখা যায় স্পষ্ট।নদীটির দুই পাশেও রয়েছে পাথরের সারি,স্পষ্টতই বুঝা যায় পাহাড় থেকে নেমেছে এই পাথর গুলো।উচু দু'পাহাড়ের মাঝে দিয়ে সামনের দিকে একটু দূরে তাকালে চোখে পড়ে সাদা মেঘ উপরে রেখে নিচে গড়াচ্ছে ঝর্ণা।মনকে উদাসীন করে সবার চোখ নিলো উঁচু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা সবুজের ঐ চিরহরিৎ অরণ্যের বুকে।পর্যটকদের হাতের ক্যামেরাও ক্লিকে ক্লিকে বন্ধি করতে লাগলো পাথরের বুকে আমাদের বিচরণ।বাংলাদেশের একেবারে সীমানাঘেষা এই পর্যটন এলাকা বিছনাকান্দির অপারেই হাজার পাহাড়ে বেষ্টিত ভারতের মেঘালয় রাজ্য।মুলত মেঘালয়ের সারি সারি গাছ দিয়ে আচ্ছাদিত পাহাড়গুলো আর পাহাড়ি ঝর্ণার গড়িয়ে আসা শীতল পানি ও হরেক রকমের পাথর বিছনাকান্দিকে পর্যটন এলাকায় পরিণত করেছে।নদীতে সাতারকাটা আর হাঁটতে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়,কারণ উচু পাহাড় থেকে পানির স্রোত হঠাৎ অনেক বেরে যায় এবং পানির নিচের পাথরগুলো উঁচু-নিচু ও খুবই পিচ্ছিল, স্রোতের সাথে পাথর গুলো নিচের দিকে গড়িয়ে সরে যায়।একটু অসাবধানতা টেলে দিতে পারে কোনো দুর্ঘটনার হাতে।দীর্ঘ সময় ঝর্ণা গড়ানো পানিতে সাতার কেটে উঠতে মন চায়না।কিন্তু সময় যে থেমে নেই।ফিরতে যে হবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যার যার বাসায়।তাই অনিচ্ছা সত্যেও মনকে জোড় করে সমাপ্তি দিতে হলো এ সারণীর।মূল স্পটের পাশেই রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার যেখানে ভারতীয় পণ্য পাওয়া যায়।তেল, সাবান, ক্রীম, পারফিউম, বিস্কুট আর বিভিন্ন ধরণের চকলেটসহ নানান জাতের পণ্য।আমরা চাহিদামত কিছু পণ্য কিনে লোভের মুখে টোব দিয়ে যখন ফিরতে চাইলাম তখন সারাদিন প্রখর রোদ ছড়ানো সূর্যমামা প্রশ্চিমাকাশে নেমে বসুন্ধরায় সন্ধ্যা নামিয়ে দিলো।ফিরে আসতেই হবে,তাই আর কালবিলম্ব করা সমীচীন না।তাই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য পাহাড়ের অসীম সবুজের সজীবতা আর অগভীর ক্লান্ত শরীর শান্ত করা শীতল জলের মায়ামোহ ত্যাগ করে অবশেষে নৌকা দিয়ে চলে এলাম আবার হাদারপাড়। 

হাদারপাড়ে এসে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার পাশাপাশি সুনামগঞ্জ জেলাকে আইসিটিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন মিসবাহ স্যার,কবিরুল স্যার,অজয় স্যার,নমির স্যার, নোমান স্যার,আলআমিন স্যার,রোকশানা মেডাম প্রমূখ।নাসরিন মেডামের গানের কলি রস দিল আলোচনায়।দিনশেষে যখন সবাই কিছুটা হলেও ক্লান্ত তখনই চমৎকার পেকেটে আকর্ষণীয় আইসিটি বিষয়ক উপহার সবার হাতে তুলে দিয়ে চমকে দেন মিসবাহ স্যার।অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দর একটা মন মাতানো ভ্রমণ আয়োজনের জন্য সবাইকে জানালেন অভিনন্দন। 

এতক্ষণ যাদের নাম বললাম তাদের সাথে ডিজিটাল গ্রুপের শিক্ষকবৃন্দ শ্রদ্ধেয় জনাব কবিরুল ইসলাম , জনাব হারুন রশীদ,জনাব অজয় পাল,জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন,জনাব রোকসানা ইয়াছমিন,জনাব মহিউদ্দিন,জনাব আবু তাহের,জনাব নূর মোহাম্মদ,জনাব সাজাদ মিয়া,জনাব আতাউর রহমান,জনাব অজয় ধর, জনাব আবুল কালাম আজাদ,জনাব সাবিহা সুলতানা,জনাব শিউলী মনি,জনাব পারভেজ আহমদ,জনাব নিজাম উদ্দিন,জনাব জমির হোসেন,জনাব রুহেনা আক্তার চায়না,জনাব আমিরুল ইসলাম সার্বক্ষণিক সরব থেকে আমাদের ভ্রমণকে করে তুলেছেন প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন।

সারাদিনের অপরিমেয় কোলাহল আর স্মৃতির ভাণ্ডার ভরে যখন আমরা আবার সিলেট শহরে ফিরে কপির কাপে চুমুক দিলাম তখন এশারের আযানের ধ্বণী শুনা যাচ্ছিল।রাতের গভীরতার সাথে শেষ হলো শিক্ষক দিবসের আয়োজন।পিছনে রাখা হলো চিরস্বরণীয় করে রাখার মতো স্মৃতির সজীবতা।আরো মজবুত হলো আমাদের আইসিটি গ্রুপের বন্ধন।

জামিনুর রহমান জামিল

সহকারী শিক্ষক

পূর্ব কাতিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

সহ সাহিত্য সম্পাদক,

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি

জগন্নাথপুর,সুনামগঞ্জ।


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি