Loading..

ম্যাগাজিন

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:২৩ অপরাহ্ণ

ঐতিহাসিক স্থান ঊনকোটি

ঊনকোটি শব্দের অর্থ হলো এক কোটি থেকে এক কম। অর্থাৎ ৯৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯ শত ৯৯। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শৈবদের বিশ্বাস অনুযায়ী একদা শিব অসংখ্য দেবদেবী সংগে নিয়ে কাশী যাওয়ার পথে এই স্থানে যাত্রাবিরতি করেন। রাতে ঘুমুতে যাবার আগে তিনি সঙ্গী দেবদেবীদের নির্দেশ দেন সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে জেগে কাশি রওয়ানা দিবেন। কিন্তু যথাসময়ে কারো ঘুম না ভাঙ্গায় তিনি রুষ্ট হয়ে একা যাত্রা শুরু করেন এবং তার অভিশাপে ঘুমন্ত সকল দেবদেবী পাথরে পরিনত হয়।
হিন্দু পুরানে এই নাম করনের অন্য এক কাহিনী বর্নিত। তা হলো, কালু কামার নামে এক স্থাপত্যকার দেবী পার্বতীর ভক্ত ছিলেন। একবার পার্বতী মহাদেবের সাথে কৈলাসে যাচ্ছিলেন। তখন ভক্ত কালু কামার তাদের সহযাত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় মহাদেব শর্ত আরোপ করেন যে, এক রাতের মধ্যে এক কোটি দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হলে তার মনোবাঞ্ছা পূর্ন হবে। কিন্তু কালু কামার এক কোটি থেকে একটি কম মূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হন। এজন্যই ঊনকোটি নামকরণ হয়েছে।
আগরতলা থেকে ঊনকোটির দূরত্ব ১৭৮ কিলোমিটার। তারমধ্যে কুমারঘাট রেলস্টেশন পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার এবং বাকি ৩৮ কিলোমিটার সড়ক পথে জিপ বা বাসে যেতে হয়।
সে যাই হোক, আশ্চর্যের বিষয় হলো এগারো শত বছর আগে কে বা কারা কিভাবে অত উঁচুতে বিশাল বিশাল পাহাড়ের পাথর খোদাই করে এই মূর্তিগুলো বানিয়েছে? কিছু কিছু মূর্তি পুরো একটি খাড়া পাহাড়ের পুরোটা জুড়ে। হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে এরকম খাড়া পাহাড়ের গা খোদাই করে দেবদেবীর ছবি তৈরি করা কিভাবে সম্ভব হয়েছে এ প্রশ্ন সকলের মনেই জাগবে। সবচেয়ে বড় ৩০ ফুট উঁচু কালভৈরবের মূর্তি। এছাড়া গনেশ দূর্গা বিষ্ণু রাম রাবণ হনুমান এবং শীবের বাহন নন্দীর মূর্তি উল্লেখযোগ্য। এগুলো তৈরি হয়েছে ৮ম বা ৯ম শতাব্দীতে।

---কৃতজ্ঞতাঃঃঃশহীদুল ইসলাম 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি