Loading..

খবর-দার

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০১:৫৬ অপরাহ্ণ

আজ ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট পাক হানাদার মুক্ত দিবস।

আজ ৬ ডিসেম্বর লালমনিরহাট পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বরের এই দিনে লালমনিরহাট জেলা হানাদার শত্রু মুক্ত হয়। এর আগে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে ৩ মার্চ লালমনিরহাট দখল করে। এর পর শুরু হয় গণ হত্যা।

লালমনিরহাট শহরের অসংখ্য গুনি ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে এসে লালমনিরহাট জেলার ভোটমারীতে এবং লালমনিরহাট  সদর রেল ষ্টেশনের পাশে হত্যা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপন লড়াই আর মুক্তিগামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে বড়খাতা, হাতীবান্ধা, ভোটমারী, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাটে পতন হতে থাকে পাক হানাদার বাহিনীর। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমনের মুখে হানাদার পাকিস্থানী সৈন্যরা বিপর্যস্ত ও ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে। এক পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধারা লালমনিরহাট শহর ঘিরে ফেললে অবস্থা বেগতিক দেখে ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ভোর ৬ টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাকসেনা, রাজাকার, আলবদর ও তাদের দোসররা দুটি স্পেশাল ট্রেনে করে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং সৈয়দপুরে পালিয়ে যায়।
তিস্তা ব্রীজে হানাদার বাহিনীর সাথে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল গোলাগুলি হয়। এ যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর কমান্ডার মেজর এজাজ সহ কয়েক জন সৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়। হানাদার বাহিনী পরাজয়ের মুহুর্তে তিস্তা রেলওয়ে সেতুর দক্ষিন পার্শ্বে ২ স্প্যান ধ্বংস করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী লালমনিরহাটে প্রবেশ করে। চারিদিক থেকে হাজার হাজার নর নারী ও শিশুরা লালমনিরহাট শহরে এসে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে। (সংগৃহীত)