Loading..

ম্যাগাজিন

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৮:৫১ অপরাহ্ণ

অগণিত ওরা

অগণিত ওরা
----
ওরা ছিল দশজন।
কিংবা আরও বেশি, নয়ত আরও কম।
ওদের চোখে স্বপ্ন ছড়াত মায়াবী জোছনা,
ভোরের শিশির,শরতের শিউলি অথবা বর্ষার কদম্ব রেণু।
যখন বসন্তে শিমুল আগুন ঝরাতো বনে,
ওরা আনমনে হেটে যেত জনবহুল পথ ধরে-
হেটে যেত আর ভাবত কি করে পৌঁছাবে
সেই স্বর্ণ দূয়ারে,যেখানে সন্তর্পনে লুকানো রয়েছে-
লুকানো রয়েছে জীবন আর যৌবনের সজীব অমৃত ধারা।
কখনও চকিতে উঁকি দিত বাসন্তী বাতাস সবুজ মনের গহনে।
তারপর একদিন এক ভোরে, ওরা ঘাসের নরম বুকে এঁকে দিল মানচিত্র এক।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আর বিচিত্র ব-দ্বীপ হাসে সেই মানচিত্রে।
মায়ের কোলেও নির্ভীক শিশু, হাসে জীবনের নিশ্চিত আশ্বাসে।
আমাদের বর্ণ মালা হাসে, মানচিত্র ঘিরে মনে জাগে
স্বপ্ন আশা জাগানিয়া।
সংশয় ও বাসা বাঁধে, পারবতো?
আমরা কি পারব পৃথিবীর বুকে এঁকে দিতে একটি নতুন মানচিত্র?
ওরা দশজন, হয়ত কম বা একটু বেশি।
বুনে যায় নতুন স্বপ্নের জাল,মানচিত্র ঘিরে আবর্তিত হয় তাদের পৃথিবী।
অকস্মাৎ ঘাসের সবুজ বুকে নামে রক্তের ঢল।
তাজা প্রাণের তাজা রক্ত ঘিরে ফেলে মানচিত্রের বুক।
ক্রমশ জমাট রক্ত লাল বৃত্তে একত্রিত হয়।
সবুজ মানচিত্রের বুকে রক্তের লাল বৃত্তটি স্থির হয়ে রয়।
ক্রমশ আরও আসে দলে দলে- মানচিত্র ঘিরে এখন অগুণতি মানুষ।
ওরা দশজন হয়ত কিছুটা কম নয়ত বেশি- ক্রমশ পরিণত হয় লক্ষ লক্ষ জনে।
ঘাসের বুকে আঁকা মানচিত্র বর্ণমালার চাদরে আচ্ছাদিত হয়।
ওরা চলে সশব্দ মিছিলে।
ওরা চলে স্বাধীনতার নিশ্চিত বন্দরের দিকে।
ওরা ডাক শোনে এক বজ্রকণ্ঠের।
বজ্রকণ্ঠ ধ্বনিত হয় বাংলার আকাশে বাতাসে।
একদিন শোণিত সাগর পাড়ি দিয়ে ঠিক হয় নতুন সূর্যোদয়।
ওরা দশজন হয়ত কিছুটা বেশি নয়ত কিছুটা কম--
নয়ত আরও অনেক অনেক বেশি,শুয়ে আছে কেমন পরম নিশ্চিন্তে এই মাটির পরম মমতা জড়ানো বুকে।
---২০/০২/২০১৮

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি