Loading..

খবর-দার

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৫:২৪ অপরাহ্ণ

হাওর পাড়ের শিক্ষক সম্মেলনে সামাদ স্যারের অন্যতম আবিষ্কার

"না চলে নাউ না চলে পাউ "

 হাওর পাড়ের শিক্ষক সম্মেলন ২০১৯

২৭ ও ২৮ তারিখ  দেশের ৬৩ টি জেলা থেকে আগত অ্যাম্বাসেডর শিক্ষক ও শিক্ষক বাতায়নের সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতা, সেরা উদ্ভাবক  শিক্ষকদের  নিয়ে অনুষ্ঠিত হল সর্ব বৃহৎ শিক্ষক সম্মেলন। অনুষ্ঠানটি  দুই দিনে পাঁচটি পর্বে বিভক্ত ছিল। 

১ম পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মিড-ডে মিল সেমিনার, প্রধান আলোচক ছিলেন ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক, সভাপতি ছিলেন সিলেট  অঞ্চলের উপ-পরিচালক ও মডারেটর ছিলেন এটুআই এর এডুকেশনাল টেকনোলজি এক্সপার্ট জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন স্যার। আমার দেখা অনুষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশন ছিল এটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনার মাধ্যমে শুরু করলেন আমাদের সবার প্রিয় রফিকুল ইসলাম সুজন স্যার, কথা শুনলাম শত ভাগ মিড-ডে মিল বাস্তবায়নকারী হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসারের, কিভাবে মিড-ডে মিল বাস্তবায়ন করা যায় তার চমৎকার আইডিয়া ও কৌশল শোনালেন আমাদের সবার প্রিয় সেই ম্যাড (মেইক এ ডিফারেন্স) খ্যাত শ্রদ্বেয় আব্দুস সামাদ স্যার। ভাগ্য হল আমাদের শিক্ষা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবক ডিজি মহোদয়ের চমৎকার প্রাণবন্ত আলোচনা শোনার, এত সুন্দর করে আমাদের ডিজি মহোদয় আলোচনা করতে পারেন তা সামনা-সামনি না শুনলে বুঝা যাবে না। 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সেশনটি ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও র‍্যাফেল ড্র অনেক উপভোগ্য একটি পার্ট ছিল, এখানে গান গেয়ে মাতিয়েছেন সিলেটের লোকাল কয়েক জন শিল্পীর সাথে চ্যানেল আই ক্ষুদে গান রাজ তারকা  ঝুমা। র‍্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে ১ম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়,  র‍্যাফেল ড্র তে ১ম পুরষ্কার এল এই ডি ২৪ টিভি পেলেন চট্টলার তারকা শিক্ষক বন্ধু মোঃ রাসেল উদ্দিন ( রাশ ইউ মন)। 

২৮ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় শুরু হয় ৩য় সেশন " সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্কুল" এই পর্বে প্রধান আলোচক ছিলেন মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার, সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয় ,  অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা শিক্ষা অফিসার,  সবুজ পরিচ্ছন্ন স্কুলের রুপকার কয়েকজন প্রধান শিক্ষক এবং মডারেটর ছিলেন জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন স্যার। 

এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশনাল গল্প শোনালেন বিভিন্ন প্রধান শিক্ষক। বিভাগীয় কমিশনার স্যার অনেক সুন্দর বক্তব্য রেখেছেন যা আমাদের প্রধান শিক্ষক অন্যান্য শিক্ষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 


৪র্থ সেশন 

" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ কে জানি " এই পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জগ্ননাথপুর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থাপনায় ছিলেন সিলেট টিটি কলেজের শিক্ষক। অনেক সুন্দর ও চমৎকার সেশন ছিল এটি,আমরা জানি এই বিষয় নিয়ে এই বছরের মধ্যে আমাদের দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের ৭ম শেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল হাজার হাজার ডকুমেন্টারি। এখানে শ্রদ্বেয় সামাদ স্যারের অন্যতম আবিষ্কার ছিল হারুন স্যারের মেয়ে যার বয়স মেবি ৯-১০ বছর, সে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক পুরো ভাষণটি ঠিক বঙ্গবন্ধুর স্টাইলে পাঠ করেছিল অঙ্গভঙ্গি ও বয়েজ ছিল অসাধারণ। 

সর্বশেষ ৫ম সেশনে সারা বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষক ও অতিথিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। 

অসীম ধন্যবাদ,কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা রইলো আয়োজক কমিটির প্রধান জনাব আব্দুস সামাদ স্যার, নবী হোসেন স্যার, আনোয়ার উদ্দিন হিরণ স্যার, সৈয়দ মাহবুব হোসেন আমিরী ও আসাদ স্যার সহ সকল বীর সৈনিক কে। 

আমরা চাঁদপুর জেলা থেকে পাঁচ জন অ্যাম্বাসেডর শিক্ষক  অংশ গ্রহণ করেছিল।