Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২০ ০১:০১ অপরাহ্ণ

মুজিব শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখলো বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ির মাদ্রাসার আন্দোলন এবং কাগজপত্র চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী।

সমিতির সভাপতি মাও. হাফেজ কাজী ফয়েজুর  দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদারাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোতে। প্রাথমিকের ন্যায় ৫ম শ্রেণিতে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিকের শিক্ষকের মতোই সরকারি বিভিন্ন কাজে অংশ নেন মাদরাসা শিক্ষকরা। অন্তত মাস শেষে প্রাথমিকের শিক্ষকরা ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ি শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পায় না। তবুও তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায় তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

এদিকে, বিকাল ৪ টায় শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করেন। শিক্ষামন্ত্রী তাদের আশ্বস্থ করে বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বিষয়ে কথা বলব। শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব তাজুল ইসলাম ফরাজী, সদস্য আরিফ বিল্লাহ ও আলামিন মারুফ।

কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা ২০১৮ সংশোধন করে সহজ শর্তে সরকারিকরণ করা, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি নবায়নের সহজ আইন প্রণয়ন করা, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষককে বহাল রাখা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা, ২ জন আলিম শিক্ষকের মধ্যে ১ জন এইচএসসি (সমমান) শিক্ষক অন্তর্ভুক্তিকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রতিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ইবতেদায়ি মাদরাসার আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কোডপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৯৯৮ ও মন্ত্রণালয়ের আবেদন করা মাদরাসাগুলোকে কোড প্রদান করে সব মাদরাসাকে সরকারিকরণ করা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি