Loading..

ম্যাগাজিন

০৭ মার্চ, ২০২০ ০৯:৪০ অপরাহ্ণ

মৎস্য

আদিম যৌথ সমাজে জনসাধারণকে 'জল' বলা হত।
সেই জনসাধারণের মধ্যে যাদের ব্যক্তিগত সম্পদ নিতান্তই কম ছিল,তাদের বলা হত চুনোপুঁটি।
যাদের যথেষ্ট সম্পদ ছিল, তাদের বলা হত 'রুই-কাতলা।
যারা অন্যের সম্পদ হরণ করে সঞ্চয় করত,তাদের বলা হত ' রাঘব-বোয়াল'।
যাদের সম্পদ অন্যদের জন্য বিপজ্জনক ছিল,তাদের বলা হত ঘোড়েল বা ঘড়িয়াল।
এবং যারা পুরো সমাজেরই ( কুম্ভের) মালিক ছিল তাদের বলা কুম্ভীর বা কুমীর।
নগদ-নারায়ণ বা পুঁজি হল মৎস্যাবতার।
মৎস্য হল দু'রকম।ব্যক্তিমালিক- মৎস্য ও জলচর-মৎস্য।
যখন ব্যক্তিমালিকানাধীন মৎস্যদের ব্যক্তিমালিকানা ভোগের উপর বাঁধা নিষেধ এল যে কোনও সম্পদ ব্যক্তিমালিকানায় ভোগ করা যাবে না,অর্থাৎ সম্পদ( মৎস্য) একা ভোগ করা যাবে না,তখন মৎস্যভক্ষণ নিষিদ্ধ হল।মানসিক ও দৈহিক উভয়প্রকারে মৎস্যভক্ষণ নিষিদ্ধ হয়ে মানুষ নিরামিষভোজী  হল।
পরবর্তীতে আবার কেউ বাহ্যিক মৎস্য ভক্ষণ করত,আবার মানসিকভাবেও মৎস্য( জ্ঞান সাধনা,ধন সম্পদের সাধনা) ভক্ষণ করত।
মৎস্য - আমার অস্তিত্ব থাকে যাহাতে।
মালিকানাবোধ,এটি আমার- এই বোধ,আমার বোধ থাকে যে মানুষের।
মানুষ পরিশ্রম করে যা অর্জন করে ( জ্ঞান,ধনসম্পদ)  তাতে তার মালিকানা জন্মায়।তখন আমিত্ববোধ সক্রিয় হয়।
আবার অন্যের অর্জন দেখলে যদি  'কেউ' নিজের মালিকানার বিষয়ে সচেতন হয়,যা সে অর্জন করে নি বা তার মালিকানায় নেই- তখন সেই 'কেউ' মাৎসর্য্যে ভোগে।পরগুণ-দোষ খুঁজে।
যাই হোক আমরা বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ থেকেই পাই একটি মাত্র শব্দ ক্রিয়াকে ধারণ করে কত বিবিধ শব্দ আর অর্থ প্রকাশ করে।
জলে যেমন চুনোপুঁটি বাস করে,তেমন কুমীরও বাস করে।কুমীরের দাপটে চুনোপুঁটিরা অসহায়,আবার কুমীর চুনোপুঁটিদের দিয়েই কাজ সারে,নিজেরা থাকে ধরাছোয়ার বাইরে।
-- কৃতজ্ঞতা: বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি