Loading..

ভিডিও ক্লাস

০১ এপ্রিল, ২০২০ ১২:২৮ অপরাহ্ণ

মাত্র ২০ টাকায় নিজেই হ্যান্ড ওয়াশ তৈরি।

পরজীবীর হাত থেকে বাঁচতে প্রধান কাজ স্যনেটেশন উন্নত করা। যথার্থ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। খাবারের পূর্বে হাত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধোয়া জরুরী।

অ্যাস্কারিয়াসিস হলো একধরনের রোগ। এটা মূলত গোলকৃমির জন্য হয়ে থাকে। সাধারণত প্রায় ৮৫% মানুষের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। করণ সংখ্যায় কম থাকে। আস্তে আস্তে গোলকৃমির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলো হলো শ্বাস বা দম কমে যায়। থেকে থেকে জ্বর আসে। পেট ফুলে। পেট ব্যথা করে। ডাইরিয়া হতে পারে ইত্যাদি। গোলকৃমির জন্য কিছু পরজীবী দ্বায়ী। পরজীবীর নাম হলো অ্যাসকেরিস লুমব্রিকডিস(Ascaris lumbricoides)। এই পরজীবী নিজেদের অসাবধানতায় শরীরে প্রবেশ করে। বিশেষত ছোট শিশুরা এর আক্রমণের শিকার। সাধারণতঃ বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হয়। কম বয়সের কারণে সংক্রমণে ওজনহ্রাস, অপুষ্টি ও শিখতে ব্যঘাত ঘটে। গোলকৃমির ডিম প্রাণীর মলের সাথে বাহিরে পরিবেশে আসে। গোলকৃমি দিনে দুই লক্ষ(২,০০,০০০) ডিম দেয়। পরিবেশের সংস্পর্শে ডিম থেকে ৩টি ধাপে লার্ভার জন্ম। লার্ভা বিভিন্ন খাবার, পানির সাথে মিশে। লার্ভা মিশ্রিত খাবার প্রাণী বা মানুষের পাকস্থালীতে আসে। পাকস্থালী থেকে ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে। লার্ভা ক্ষুদ্রান্তে পূর্ণ গোলকৃমিতে পরিণত হয়। গোলকৃমির লার্ভা ক্ষুদ্রান্তে শক্তি অর্জন করে। নাড়িভুড়ির পর্দা ভেদ করে। রক্তে মিসে যায়। রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌছায়। ফুসফুসে অ্যাালভেলি ভেদ করে। ট্রাকিয়ায় চলে আসে। ট্রাকিয়ার ক্বফ ও থুথুর সাথে মিশে। এর জন্য এই পরজীবী রাসায়নিক নিঃসৃত করে। শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম কিছুটা ব্যঘাত করে। শিশুদের নিজেদের ক্বফ খেতে উদ্বুদ্ধ করে। পরজীবীর লার্ভা পুনরায় পাকস্থালীতে আসে। শেষে ক্ষুদ্রান্তে। এভাবে শরীরের ভিতরে জীবন চক্র চালায়। আবার বাহিরে ডিম তো আছে। পরজীবীর হাত থেকে বাঁচতে প্রধান কাজ স্যনেটেশন উন্নত করা। যথার্থ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। খাবারের পূর্বে হাত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধোয়া জরুরী।