সুরাইয়া সুলতানা
অধ্যক্ষ
০৩ এপ্রিল, ২০২০ ০৫:০৮ অপরাহ্ণ
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ম্যানেইজমেন্ট সিস্টেম
মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বাস্তবায়ন - প্রতিষ্ঠান প্রধানের অন্যতম দায়িত্ব।
অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা
ক্ষুদ্র নাগরিক হলেও বিশ্বকে জানা ও চেনা প্রত্যেকের অধিকার । এ অধিকার থেকে বাংলাদেশের শিশুদেরকে বঞ্চিত করার অধিকার কারোই নেই। এজন্য তাকে দিতে হবে সুন্দর পরিবেশ এবং শিক্ষা গ্রহনের সময় উপযোগী উপকরণ ।
মাল্টি মিডিয়া কি ? বহু মাধ্যমের সমাহার মাল্টিমিডিয়া যার মধ্যে রয়েছে বর্ন, চিত্র, শব্দ। মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকার মাধ্যমের সমন্বয়।
মূর্ত জিনিসকে বিমুর্ত করার এক অন্যতম মাধ্যমই মাল্টিমিডিয়া।
প্রতিষ্ঠান কি
যেখানে পরিকল্পনামাফিক একটি নির্দিষ্ট কারিকুলামকে সামনে রেখে কিছু জনশক্তিকে তৈরী করা হয় যে পরিসরে সেটাই প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠান প্রধান হলো সেই-
যিনি নিজের অর্জিত জ্ঞান বা সামাজিক জ্ঞান হোক মুর্ত বা বিমুর্ত তা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানের পরিবেশ তৈরী করবেন ও শিক্ষার্থীদের নতুনকে জানার সুযোগ করে দিবেন।
একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, পরিকল্পনাকারী ও দিক নির্দেশক, তিনি যেমন চাবেন তার প্রতিষ্ঠান তেমন ই হবে- হোক পজেটিভ বা নেগেটিভ । তার লিডারশীপ যদি শিক্ষার্থীদের কল্যানার্থে প্রয়োগ হয় তবে, দেশ ও জাতী তাদের দিয়ে উপকৃত হবে। এ জন্য জরম্নরী হলো একটি সল্পমেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও নিস্বার্থ চেষ্টা, বাংলাদেশে গ্রাম থেকে শহরে এরূপ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কঠিন চেষ্টার মাধ্যমে অনেক উপড়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব দিক দিয়ে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কো কারিকুলামে অগ্রনী করার একটি বাসত্মব মাধ্যম মাল্টিমিডিয়া, শিক্ষার্থীরা যত বেশী কো কারিকুলামে সম্পৃক্ত থাকবে তারা ততবেশি সমাজ সচেতন হবে- তাদের ভিতরে দায়িত্ব বোধ ও নৈতিকতা বোধ জাগ্রত হবে। ছোট ছোট সমত্মানরা স্থান, কাল, পাত্র ভেদে চলা ও বলা শিখবে। তা অনেক সময় যারা শুধু পড়ার বই নিয়েই থাকে তাদের তুলনায় অনেক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হবে। তাদের চিমত্মা ও সমস্যা সমাধানের সুয়োগ দিতে হবে। তারা যেন তাদের Head ও Hand কে কাজে লাগাতে পারে। ফলে তারা শারিরীক ও মানসিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়ে দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করবে।
শিক্ষার্থীদের শিখানো আমাদের দায়িত,ব যে কোন কাজই ছোট নয়, আর সবাইকে দিয়ে সব কাজ এক ভাবে করাও সম্ভব না। তবে চেষ্টাই করবে মন দিয়ে সর্বোচ্চ সুন্দর ভাবে করার চেষ্টা রাখতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের যদি প্রশ্ন করা যায় তুমি বড় হয়ে কি হবে? তৈরী জবাব পাবেন হয় ডাক্তার, নয় ইঞ্জিনিয়ার। আমরা ও এটা শুনে খুব খুশী হই। কিন্তু তাদের মধ্য থেকেই কিন্তু পরবর্তীতে কেউ হচ্ছে ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, পাইলট, প্রশাসক ও অন্যান্য পেশার সফল ব্যক্তিত্ব। কিন্তু কারো স্বপ্নতো হতে পাবে সাকিব আল হাসান বা মুসা ইব্রাহীম, নিসাত মজুমদারের মত শ্রেষ্ঠ স্বপ্ন বাসত্মবায়ন কারী।
সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের স্বপ্ন দেখতে হবে-যে স্বপ্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকেও স্বপ্ন দেখাবে যাতে বাসত্মবায়নের জন্য তাদের মানসিক পিছুটান না থাকে। নিজের কল্যানের কাজ গুলো যাতে দেশের কল্যানে পরিনত হয়, সে ভাবে চেষ্টা করতে হবে। একটি Goal নির্ধারন করে নিতে হবে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করে কাজের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে হবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যারা শ্রেষ্ঠ জায়গায় অবস্থান করছে কেউ কিন্তু সোনার চামচ মুখে দিয়ে আসেননি, প্রত্যেকে লক্ষ নির্ধারন করে কাজ করে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা বুঝে তাদের সৃজনশীল কাজ করার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। আর এটা সম্ভব শিক্ষ কদের দ্বারা। যার অনুপ্রেরনা যোগাবেন একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান। তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ মাল্টিমিডিয়াকে কল্যানকর কাজে বেশী বেশী ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের বিশ্বকে চিনিয়ে নিজের আস্থানকে সুদৃঢ় করতে সাহস যোগানো। আমেরিকা, জাপান, কানাডা, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের দিকেই শুধু দৃষ্টি না দিয়ে বাংলাদেশের নাম ও সকল উন্নয়ন শীল দেশের সাথে যুক্ত হবে। তখন বাংলাদেশও হবে বিশ্বের কাছে উন্নয়নশীল দেশের উদাহরন। এ কাজটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহযোগিতায়ই সম্ভব।