সহকারী প্রধান শিক্ষক
০৫ এপ্রিল, ২০২০ ০৭:২৩ পূর্বাহ্ণ
কোরআন সত্যি সত্যিই এক অসীম মিরাকল..
কোরআন সত্যি সত্যিই এক অসীম মিরাকল..
অবাক হওয়ার মতো আয়াতই এগুলো।
-সূরা আহযাব-৯
-৯/ আর তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী । এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি ।
-সূরা আনআম-৪২
-৪২/ তারপর আমি তাদের উপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়ে ছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।
-সূরা ইয়াসীন-২৮-২৯
-২৮-২৯/ তারপর ( তাদের এই অবিচার মূলক জুলুম কার্জ করার পর ) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি । পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না । শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল ( মৃত লাশ হয়ে গেল )
-সূরা আ'রাফ-১৩৩
-১৩৩/ শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি ।
-সূরা বাকারা-২৬
-২৬/ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না ।
-সূরা আ'রাফ-৯৪
-৯৪/ ওর অধিবাসীদেরকে আমি দূঃখ, দারিদ্র্য রোগ-ব্যধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি । উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয় ।
-সূরা মুদ্দাসসির-৩১
-৩১/ তোমার "রবের" সেনাদল বা সেনাবাহিনী ( কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের ) তা শুধু তিঁনিই জানেন ।
-সূরা ইউনুস-১৩
-১৩/ অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিলো।
-সূরা বাকারা-১৪৮
-১৪৮/ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিটি বস্তুর উপর সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ।
-সূরা বাকারা-৫৫
-৫৫/ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব । তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
-সূরা আন'আম-৪৪-৪৫
-৪৪-৪৫/ অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল ( আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করলো ) তাদের এই সীমালংঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজা সমূহ খুলে দিলাম । শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তু সমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লাসীত এবং গর্বিত হয়ে উঠলো, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজা সমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়লো । তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইলো, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী "রব" ।
-সূরা ত্বা'হা-১৪
-১৪/ নিশ্চয়ই আমিই হলাম "আল্লাহ" । অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো ।
-সূরা আলে-ইমরান-১৭৮
-১৭৮/ আমি জালিমদেরকে সুযোগ দিই বা বেঁচে থাকার সময় দেই, তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য। ( এই বেঁচে থাকার সুযোগে তারা নিজেদের পাপের বোঝা বা পরিমাণকেই বৃদ্ধি করে থাকে ) অতঃপর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন অপমানকর শাস্তি।
-সূরা ইব্রাহিম-৪২
-৪২/ জুলুমকারী বা ক্ষমতার অপব্যাবহার কারীদের সম্পর্কে তুমি কখনোও মহান আল্লাহকে উদাসীন মনে করবে না ।
-সূরা আন'আম-১৩৪
-১৩৪/ তোমরা আল্লাহকে কখনোও অক্ষম বা দুর্বল করতে পারবে না। তোমাদের জন্য নির্ধারিত সময় ঠিক করে রাখা কর্মফল দিবস অবশ্যম্ভাবী ।
-সূরা আ'রাফ-১৮৩
-১৮৩/ আমি (জুলুমকারী শক্তি গুলোকে) প্রচুর সময় সুযোগ দিয়ে যাচ্ছি, নিশ্চয়ই আমার কৌশল অত্যন্ত জটিল ।
-সূরা মারইয়াম-৭৪
-৭৪/ আমিতো তাদের পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠীকে ( তাদের সীমা লঙ্ঘনের কারণে ) সমূলে বিনাশ করে দিয়েছিলাম । তারা তাদের চাইতেও সম্পদে এবং জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ ছিল ।
-সূরা হূদ- ১১৩
-১১৩/ তোমাদেরকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে, যদি তোমরা ক্ষমতার অপব্যবহার কারীদের বা অবিচারমূলক শক্তি প্রয়োগকারীদের সাথে সাথে থাকো কিংবা তাদের সহযোগী হও !!
-সূরা হজ্জ-৪৮
-৪৮/ আমি বহু জনপদকে এমন অবস্থায় বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছিলাম যে তারা ছিল অপরাধী, সীমালংঘনকারী সম্প্রদায় । তারপর ( নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ) আমি তাদেরকে পাকড়াও করি ।
-সূরা নং-৮৫, আয়াত-১৫-১৬
-১৫-১৬/ আমি "আল্লাহ্" আমার যা খুশি আমি তাই করি, আমিই আরশের মালিক ।
-সূরা মারইয়াম--৬৮ ও ৭২
-৬৭ ও ৭২/ আমি আল্লাহ্ জুলুম কারীদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চতুর্দিকে উপস্থিত করাবই এবং নতজানু অবস্তায় তাদের এতে রেখে দেব ।
-সূরা ফালাক্-২
-২. আমি আরোও আশ্রয় চাচ্ছি তাঁর ( আল্লাহর ) সকল সৃষ্টির ক্ষতি বা অনিষ্ট থেকে যা তিনি সৃষ্টি করেছেন।
তোমরা স্থলে, জলে বা আকাশে আল্লাহকে কখনো অক্ষম বা দুর্বল করতে পারবে না, তিঁনি ব্যতীত হিতাকাঙ্খী অভিভাবকও পাবে না এবং পাবে না সাহায্যকারী। অতএব তাঁর শরণাপন্ন হও, সাহায্য প্রার্থনা করো তাঁর কাছে।
আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে ক্ষমা করে দাও।আমীন।