Loading..

খবর-দার

০৬ এপ্রিল, ২০২০ ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাস: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর একটা পদক্ষেপ হিসাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বেচ্ছায় নিজেকে আলাদা করে রাখার অর্থাৎ সেলফ আইসোলেশনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিশ্বের যেসব দেশে এই ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ঘটছে, সেখানে নিত্য প্র্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির দোকান ছাড়া আর সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাইব্রেরি, বাচ্চাদের খেলার মাঠ, বাইরে ব্যায়াম করার জিম এবং অনেক ক্ষেত্রে উপসনালয়গুলোও বন্ধ রাখা হচ্ছে।

ব্রিটেনে দুজনের বেশি কেউ এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে না। এক্ষেত্রে একমাত্র ছাড় দেয়া হচ্ছে একই পরিবারের সদস্যদের।

একশ তিরিশ কোটি মানুষের দেশ ভারতে আজ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে পুরো ‘লকডাউন’। যা বলবৎ থাকবে তিন সপ্তাহ।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন দেশের সরকার বলছে শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং ওষুধ কেনার জন্য বাজারে যেতে এবং প্রয়োজন হলে ও সুযোগ থাকলে ঘর থেকে অফিসের কাজ করতে।

কিন্তু বাইরে যাদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে তাদের জন্য যেসব পরামর্শ দেয়া হচ্ছে:

বাইরে বের হতে হলে আমার কী করণীয়?

যদি বাজারে যেতেই হয়- খাবারদাবার বা ওষুধপত্র কিনতে- তাহলে পরস্পরের মধ্যে দুই মিটারের বেশি দূরত্ব বজায় রাখবেন। কারো দুই মিটার বা সাড়ে ছয় ফুট দূরত্ব ছেড়ে থাকবেন।

বহু দেশে রেস্তোঁরা, ক্লাব, থিয়েটার, সিনেমা, বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মল ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব তৈরি করার খাতিরে।

আর যাদের জ্বরের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে বা শুকনো কাশি অথবা অনেক জ্বর উঠছে তাদের বারবার করে বলা হচ্ছে তারা যেন বাসার ভেতর আলাদা থাকেন, একেবারেই বাইরে না বেরন অর্থাৎ তারা যেন স্বেচ্ছায় নিজেদের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখেন যাতে তাদের থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কেন জরুরি?

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি, কারণ আক্রান্ত কেউ হাঁচি কাশি দিলে তার সূক্ষ্ম থুতুকণা যাকে ইংরেজিতে ‘ড্রপলেট’ বলা হয় তা বাইরে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই ড্রপলেটের মধ্যে ঠাসা থাকে ভাইরাস।

যেসব জায়গায় এই কণাগুলো পড়ছে সেসব জায়গা যদি আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, এবং তারপর আপনার সেই অপরিষ্কার হাত আপনি মুখে দেন অথবা খুব কাছ থেকে সেই কণাগুলো নি:শ্বাসের মধ্যে দিয়ে আপনার শরীরে ঢোকে, আপনি সংক্রমিত হবেন।

আপনি যদি অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বেশি সময় না কাটান, অন্যদের খুব কাছে না যান, আপনার সংক্রমিত হবার সম্ভাবনাও কমবে।     [সংগ্রহ]