Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক বনায়ন

সরকারের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে এবং প্রান্তিক এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। প্রান্তিক এলাকায় অনেক হতদরিদ্র আছেন যারা একসঙ্গে কোনোদিন এক লাখ টাকা চোখে দেখেননি। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এখন অনেকেই লাখপতি বনে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরে কালিয়াকৈর উপজেলার কদবাণু বেগম সামাজিক বনায়নে তার অংশের সাত লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকার চেক হাতে পেয়েছেন। এটি চলতি বছরের একক সর্বোচ্চ লভ্যাংশের টাকা। অংশীদারদের মধ্যে নিয়মিতভাবে সরকারি এ চেক বিতরণ করা হচ্ছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ছয় লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ উপকারভোগী সম্পৃক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে নারী উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ২৯ হাজার ৫০৭ জন। ইতোমধ্যে সারাদেশে এক লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ উপকারভোগীকে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ২৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৮ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৩১ কোটি আট লাখ ৭৯ হাজার ২৬৫ টাকা। এছাড়া সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম টেকসই রাখার জন্য গঠিত ট্রি-ফার্মিং ফান্ড বা বৃক্ষরোপণ তহবিলে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার ৩০৪ টাকা জমা হয়েছে।

forest

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বৃক্ষরোপণ তহবিল থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আবর্তের বাগান সৃজন হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো টাকা ব্যয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। সামাজিক বনায়নের লাভের টাকা দিয়েই পরবর্তীতে আরও বাগান সৃজন সম্ভব। এভাবে নতুন নতুন বাগান সৃজনের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করলে লাখ লাখ দরিদ্র জনগণ উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে অনেক হতদরিদ্র মানুষ লাখ লাখ টাকার মালিক হতে পারবেন।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সামাজিক বনায়ন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাগো নিউজকে বলেন, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধনই হলো এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এটির মাধ্যমে হতদরিদ্ররা যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশ স্বাভাবিক রেখে এ ধরণীকে প্রাণিকুলের বাসযোগ্য রাখতে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালিয়াকৈর উপজেলার কদবাণু বেগমের হাতে সাত লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকার চেক তুলে দেন। যা ছিল ২০১৭ সালের সামাজিক বনায়নের একক সর্বোচ্চ লভ্যাংশের টাকা।

পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জাগো নিউজকে বলেন, অধিক জনসংখ্যা ও দারিদ্র্য আমাদের বনাঞ্চল সংরক্ষণের প্রধান অন্তরায়। এ প্রেক্ষাপটে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বৃক্ষ-সম্পদ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনসাধারণ উপকৃত হচ্ছেন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি