Loading..

ভিডিও ক্লাস

১২ মে, ২০২০ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

কপোতাক্ষ নদ_ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (পর্ব--1) Kopotakkho Nod_Michel Modhusudon Dotta (Part-1)

কপোতাক্ষ নদ_ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (পর্ব--1) Kopotakkho Nod_Michel Modhusudon Dotta (Part-1) এই কবিতার অন্যান্য ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন https://youtu.be/elUcGIhZdcU https://www.youtube.com/channel/UCQcC... (সুপ্রিয় নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজ আমরা আলোচনা করব মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য বইয়ের কবিতাংশ থেকে। 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি তোমরা আজকের আলোচনা থেকে (শেষে) কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরিচয় বলতে পারবে, কপোতাক্ষ নদ কবিতা শুদ্ধ উচ্চারণে আবৃত্তি করতে পারবে, এবং চতুর্দশপদী কবিতার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে। কবি-পরিচিতি : মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলজীবনের শেষে তিনি কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজে অধ্যয়নকালে ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তাঁর তীব্র অনুরাগ জন্মে। ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন। তখন তাঁর নামের প্রথমে যোগ হয় ‘মাইকেল’। পাশ্চাত্য জীবন যাপনের প্রতি প্রবল ইচ্ছা এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যসাধনায় তীব্র আবেগ তাঁকে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যরচনায় উদ্বুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে জীবনের বিচিত্র কষ্টকর অভিজ্ঞতায় তাঁর এই ভুল ভেঙেছিল। বাংলা ভাষায় কাব্যরচনার মধ্য দিয়ে তাঁর কবিপ্রতিভার যথার্থ স্ফূর্তি ঘটে। তাঁর অমর কীর্তি মেঘনাদবধ কাব্য। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য ও চতুর্দশপদী কবিতাবলি। তাঁর নাটক : কৃষ্ণকুমারী, শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী; এবং প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা ও বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ। বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ্র এবং সনেট প্রবর্তন করে তিনি বাংলা সাহিত্যে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে জুন কবি পরলোকগমন করেন। শুদ্ধ উচ্চারণে আবৃত্তি সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে ! সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে; সতত যেমতি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া-মন্ত্রধক্ষনি) তব কলকলে জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে ! বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে ? দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে। আর কি হে হবে দেখা ? - যত দিন যাবে, প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে। শব্দার্থ ও টীকা : সতত- সর্বদা। বিরলে- একান্ত নিরিবিলিতে। নিশা- রাত্রি। ভ্রান্তি- ভুল। বারি-রূপকর- প্রজা যেমন রাজাকে কর বা রাজস্ব দেয়, তেমনি কপোতাক্ষ নদও সাগরকে জলরূপ কর বা রাজস্ব দিচ্ছে। চতুর্দশপদী কবিতা- ইংরেজিতে sonnet, বাংলায় চতুর্দশপদী কবিতা। চৌদ্দ-চরণ-সমন্বিত ভাবসংহত সুনির্দিষ্ট। চতুর্দশপদী কবিতার প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক (Octave) এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক (Sestet) বলে। অষ্টকে মুলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে। চতুর্দশপদী কবিতায় কয়েক প্রকার অন্ত্যমিল প্রচলিত আছে। যেমন, প্রথম আট চরণ : কখখক কখখক। শেষ ছয় চরণ : ঘঙচ ঘঙচ। অথবা প্রথম আট চরণ : কখখগ কখখগ, শেষ ছয় চরণ : ঘঙঘঙ চচ। ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি চতুর্দশপদী কবিতা। এখানে মিলবিন্যাস : কখকখকখখক গঘগঘগঘ। অষ্টক সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!-----ক সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;---- খ সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে ---- ক শোনে মায়া মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে----- খ জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!----- ক বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,------- খ কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?-- খ দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি- স্তনে। --- ক ষষ্টক আর কি হে হবে দেখা?-যত দিন যাবে,-----গ প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে-- --------ঘ বারি-রূপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে--------গ বঙ্গজ জনের কানে, সখে,সখা-রীতে--------ঘ নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে--------গ লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে।---------ঘ সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা  কবিতাটি মোট ১৪ লাইনের হবে।  প্রথম ৮ চরণের স্তবককে অষ্টক (Octave) বলে।  অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা ঘটবে।  পরবর্তী ৬ চরণের স্তবককে ষষ্টক (Sestet) বলে।  ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে।  প্রতিটি লাইনে ১৪ টি অক্ষর থাকবে।  উল্লেখ্য যুক্ত অক্ষরগুলোকে একটি অক্ষর হিসেবে গন্য করা হয় । তোমার কাজ এখন তুমি চতুর্দশপদী কবিতার বৈশিষ্ট্য খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখ এবং পরবর্তীতে তোমার শ্রেণি শিক্ষককে দেখাবে। মূল্যায়ন মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন? কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কী ধরণের কবিতাবলি থেকে নেয়া হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটি প্রহসনের নাম বল? মধুসূদন দত্তের মহাকাব্যের নাম বল? মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন? অ্যাকশন বাটন ব্যবহার করে নিচের প্রশ্ন দুটির উত্তর দাও  ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন? ঘ। ফ্রান্সে।  কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?-কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?  i. ভ্রান্তি  ii. অনুরাগ  iii. মমতা  নিচের কোনটি সঠিক ? ঘ. বাড়ির কাজ শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত নদীর কথা ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণি শিক্ষককে দেখাবে। সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ মো. মিজানুর রহমান, সহকারী শিক্ষক ( বাংলা ), গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, এনসিটিবি, ই বুক, টেন মিনিট স্কুল, বাংলা স্কুল, মিজান স্যার, অশ্রুমিজান, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই, মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য, নবম-দশম, শ্রেণি, বাংলা ১ম পত্র, বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা কবিতা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত,মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি,সাগরদাঁড়ি যশোর, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাংলা জীবনী, মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী, মাইকেল মধুসূদন,মাইকেল মধুসূদন দত্ত,মধুসূদন দত্ত,মধুসূদন দত্তের কবিতা,মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনী,যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান,যশোর জেলা, কপোতাক্ষ নদ,মাইকেল মধুসূধন দত্ত,মহাকবি।