সিনিয়র শিক্ষক
১৭ মে, ২০২০ ০৩:০৮ অপরাহ্ণ
কাকতাড়ুয়া | উপন্যাস | বাংলা সহপাঠ | নবম - দশম শ্রেণি | মমতাজ খাতুন
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: বাংলা সহপাঠ
কাকতাড়ুয়া | উপন্যাস | বাংলা সহপাঠ | নবম - দশম শ্রেণি | মমতাজ খাতুন
সেলিনা হোসেন রচিত ‘কাকতাড়ুয়া’ একটি বিখ্যাত শিশুতোষ উপন্যাস। উপন্যাসটি আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবময় দলিল। এটি ১৯৯৬ প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। উপন্যাসটির আখ্যানভাগ বা প্লটটিকে চমৎকারভাবে গড়ে তুলেছেন লেখক। ‘কাকতাড়ুয়া’ হলো বুধা নামের এক এতিম সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কাহিনি। বাংলাদেশের কোন একটি গ্রাম। এই গ্রামেরই বাস করে এতিম এক কিশোর নাম বুধা। কলেরায় মারা যায় তার ভাইবোন। প্রথমে চাচির বাড়িতে আশ্রয় নিলেও চাচি দারিদ্রের কথা তুললে সে বাড়ি ত্যাগ করে। পুরো গ্রাম আর হাটবাজার ছিল তার বিচরণ ক্ষেত্র। চেনাজানা সব মানুষ হয়ে উঠল তার আপনজন। একদিন ঐগ্রামে মিলিটারি ঢুকলে তারা পুড়িয়ে দিল বাজারের দোকানপাট। একরাতের আঁধারে গ্রামে আসে মুক্তিযোদ্ধা আলি ও মিঠু। তারা বুধাকে বলে স্কুলের মিলিটারি ক্যাম্পটা উড়িয়ে দিতে। মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বুধা। প্রথমে পুড়িয়ে দেয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুনশির বাড়ি। তারপর রাজাকার কমাণ্ডারের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এতিম বলে কেউ তাকে তেমন একটা সন্দেহ করে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতা শিল্পী শাহাবুদ্দিন তাকে মাইন পেতে ক্যাম্পটা উড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেয়। বাংকার খুঁড়বার সময় কৌশলে সে তার ভেতর মাইন পুঁতে চলে আসে নদীর ধারে। এখানেই অপেক্ষা করছিলেন শাহাবুদ্দিন এবং তার সহযোদ্ধারা। পাকিস্তানি সেনারা বাংকারে ঢুকতেই পুরো ক্যাম্পটা মাইনের বিস্ফোরণে উড়ে যায়। নদীতে নৌকায় বসে শাহাবুদ্দিন ও বুধা সেই শব্দ শুনতে পায়। তাদের অভিযান সফল হয়।