Loading..

খবর-দার

২৩ মে, ২০২০ ০৫:৩৩ অপরাহ্ণ

সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।।
  • সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।।

  • ____পরীক্ষা শব্দটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে এক মারাত্মক ভীতির নাম। যত মেধাবীই হোক না কেন পরীক্ষা সন্নিকটে আসলে সব শিক্ষার্থীর মনে উদ্বিগ্নতা কাজ করে। যদি সে পরীক্ষা হয় কঁচি-কাঁচা বয়সে!!! তাহলে তো আর কথায় নেই। শিশুদের কাঁধে বিশাল বইয়ের বোঝা আর পড়ালেখার বিশাল চাপ। ঘুম হারাম হয় অভিভাবকদের। তেমন একটি পরীক্ষার নাম প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC)নিম্নে এর গুরুত্ব ও বাস্তবতা কতটুকু; আদৌ আছে কিনা?  তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
  • ____প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা প্রথমে শুরু হয় উপজেলা পর্যায়ে; ২০০৫ ইংরেজি সনে। ২০০৯ ইংরেজি সনে এটি পাবলিক পরীক্ষায় রূপ নেয়। এবং ঐ বছরই সারা দেশে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আগে থেকেই সকারিভাবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের রীতি প্রচলিত ছিল। তবে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল না। সেখানে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাছাইকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করতো। তাদের মধ্য থেকেই সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের বৃত্তি প্রদান করা হতো।
  • ___প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) শুরু হওয়ার কয়েক বছর অতিবাহিত না হতেই এ পরীক্ষা নিয়ে সারা দেশের নামকরা শিক্ষাবিদ, গবেষক এমনকি অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাঁরা বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন ও বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এ পরীক্ষার বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। এ দেশের শিক্ষাবিদরা দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর পরীক্ষার সময় যে চাপ সৃষ্টি হয় সেটিকে বিভীষিকা বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি শিশু কিশোরদের কৈশোরের আনন্দ ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানান। অভিভাবকরা এ পরীক্ষাকে তাদের কোমলমতি সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করেন।_____শিক্ষাবদদের পরামর্শ, অভিভাবকদের উদ্বিঘ্নতা ও কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ২০১৬ ইংরেজি সনের ২২ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) আর থাকবে না। একেবারে অষ্টম শ্রেণি শেষে হবে এ পরীক্ষা। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীসভায় পাঠানো হবে। এ ঘোষণায় স্বস্তি ফিরে এসেছিল শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মাঝে। স্বাগত জানিয়েছিল সর্বস্থরের মানুষ।  কিন্তু সম্ভবত মন্ত্রীসভার চুড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। [সূত্রঃ ২২/০৬/২০১৬ ইং তারিখের দৈনিক প্রথম আলো]
  • ______প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) ২০১৬ ইংরেজি সনে যথারীতি অনুষ্ঠিত হলো। এ পরীক্ষা বন্ধ না হওয়ার কারণ জানা গেল তার পরের বছর অর্থাৎ ৩০/০১/২০১৭ ইং তারিখে সরকার প্রধানের বক্তব্যেমাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণের এক পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (JSC) অব্যাহত রাখার পক্ষে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন-সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বোর্ড পরীক্ষার ভীতি দূর করতে এবং মেধাবী দরিদ্রদের মাঝে বৃত্তির নিয়মানুযায়ী বৃত্তি প্রদানের সুবিধার্থে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (JSC) অব্যাহত রেখেছে সরকারতাঁর মতে-  কচি বয়সে বোর্ড সার্টিফিকেট পাওয়া অত্যন্ত সুখকর। এতে একদিকে শিক্ষার্থীর ভালো লাগবে অন্যদিকে তাদের সেল্ফ-কনফিডেন্স বাড়বে। [সূত্রঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০/০১/২০১৭ ইং]
  • _____কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর উপর এ পরীক্ষার যে ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক চাপ পড়ছে তা অবশেষে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বুঝতে পেরেছেন। তাই তাঁরা পরীক্ষার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। এখন তাঁদের সুরে কিছুটা নমনীয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ২৪ ডিসেম্বর,২০১৯ ইং মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর নির্বাহী কমিটির সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) এর বিকল্প ভাবতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন- পরীক্ষার নামে বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা দিতে দিতে বাচ্চারা ক্লান্ত। পরীক্ষা কোমলমতি বাচ্চাদের শেষ করে দিচ্ছে। এখান থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্প কিছু ভাবতে হবেতাছাড়া তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। [ সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ। ২৫.১২.২০১৯ইং]
  • ____এবার বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া যাক। বিশ্ব মহামারী কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে হানা দেয় ৮মার্চ,২০২০ ইংরেজি তারিখে। এ মহামারীর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় সরকার তড়িগড়ি করে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৮মার্চ,২০২০ ইংরেজি তারিখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়যা পরবর্তীতে ৩০মে,২০২০ ইংরেজি তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। হয়তো ছুটি আরো দীর্ঘ হতে পারে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানো কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ একদল অগ্রগামী শিক্ষক অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরগুলো বাংলাদেশ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করে যাচ্ছেন। কিন্তু এ পাঠে অংশগ্রহণ করতে প্রয়োজন ডিজিটাল ডিভাইস (স্মার্ট ফোন, ট্যাব, আইপ্যাড, কম্পিউটার, ল্যাপটপ,ডেস্কটপ হতে যে কোন একটি ডিভাইস) অথবা টেলিভিশন সর্বোপরি ইন্টারনেট। এর সক্ষমতা আদৌ আমাদের শিক্ষার্থীদের আছে কি না? থাকলেও শতকরা কত জন শিক্ষার্থীর আছে ? তাই বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা কতটুকু উপকৃত হচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।
  • ___প্রতিবছর আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (JSC) নভেম্বর মাসে এবং বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসে এবং SSC ও HSC পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর করোনা ভাইরাসের কারনে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায় যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে না। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সরকার এ মহামারী থেকে মুক্তির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিডিউল ছুটি বাতিল করে হলেও ধারাবাহিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাঠদান অব্যাহত রাখবেন। ২০২১ সালে পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করবেন। কিন্তু এত অল্প সময়ে এতগুলো পরীক্ষা(PSC, JSC, বার্ষিক, SSC HSC) গ্রহণ করতে গেলে শিডিউল বিপর্যয় হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া পরীক্ষাগুল নিতে নিতে পরবর্তী বছরের অর্ধেক সময় চলে যাবে ফলে আগামী বছরের শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC)বন্ধ করে দেয়া এখন সময়ের দাবি।
  • ____আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) শিশুদের জন্য একটি আতঙ্কের নাম। বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করার পূর্বেই কোমলমতি শিশুদের বোর্ড পরীক্ষায় বাধ্য করা হচ্ছে। এর ভারি ও জটিল সিলেবাস এবং ভালো পাস করাতে মরিয়া শিক্ষক ও অভিভাবকদের চাপ বাচ্ছারা নিতে পারছে না। এতে অকালে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে কচিকাচা শিশুরা। ফলে সরকারের নেয়া বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে। যদিও শিক্ষার্থীর অকালে ঝরে পড়া রোধে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) নিয়ন্ত্রণকারীরা। তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC)র পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নে নমনীয় হওয়ার এবং নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে পাস করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। (সূত্রঃ খাতা মূল্যায়নকারীর ভাষ্য মতে)। অকালে ঝরে পড়া রোধ করতে পরীক্ষা ক্ষেন্দ্রে তাদেরকে অবাধে একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে দেখে দেখে লেখার সুযোগ করে দেয়া হয়।এমনকি কিছু কিছু শিক্ষক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেয় এতে পরীক্ষার্থীরা বিনা পরিশ্রমে, সহজেই পাস করে ফলে কচি শিক্ষার্থীদের মনে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয় যে স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার তুলনায় কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষায় পাস করা অনেক সহজ। তাই তারা পরবর্তীতে আত্মবিশ্বাসী না হয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগে। ফলশ্রুতিতে তাদের কাছে বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব হালকা হয়ে যাচ্ছে। তাই উচ্চ শ্রেণিতে উঠলে তারা বই বিমুখ তথা পাঠ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে
  • ___তাছাড়া গত কয়েক বছর যাবত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) কেন্দ্রে একটি বাজে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে সম্পূর্ণ অন্তরায়আর তা হলো পরীক্ষায় অসদোপায় অবলম্বন তথা নকল প্রবণতা। গত বছর এ পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে নকল সরবরাহের সচিত্র প্রতিবেদন আমরা ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়ায় প্রত্যক্ষ করেছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তাদেরকে নকল সরবরাহ করছে কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক। এতে শিশুদের মূল্যবোধ গঠনে বিরূপ প্রভাব পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও এহেন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড মোটেও কাম্য নয়।
  • ___যে বয়সে শিক্ষার্থীরা মনের আনন্দে শিক্ষা গ্রহণ করবে। সেই বয়সে তাদের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় A+ এর পাওয়ার লরথ।কিছু কিছু অভিভাবক তাদের মাঝে এমন একটি মনোভাব তৈরি করে দেয় যে, A+ না পেলে জীবন ব্যর্থ। তাই তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তোতা পাখির মত পড়া মুখস্থ করানো হয়। এমন কি তাদেরকে একটি প্রশ্নের উত্তর পাঁচ/দশবার পড়তে ও লিখতে হয়। অংকের ক্ষেত্রেও একি অবস্থা। পরীক্ষার ভয়টা তাদের মনের ভিতর খুব মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে। তাদের দেখে মনে হয় জোর করে তার বহুমুখী প্রতিভাকে একমূখী করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
  • ___উপরিউক্ত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা(PSC) দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীর জন্য আশির্বাদ নয় বরং অভিশাপ। যা অপ্রতিরোদ্ধ, মূল্যবোধ ও দক্ষ জনশক্তি সম্পন্ন ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে না। বরং এ পরীক্ষার চাপে জর্জরিত শিক্ষার্থীরা ভীত, পশ্চাদপদ ও খোঁড়া প্রজন্ম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  শুধু দেশের শিক্ষাবিদ, অভিভাবক নয় বরং সরকার প্রধান ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরও এ কথা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই তাদের সুরে নমনীয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
  • ___যে পরীক্ষা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের হৃদয়ে ভয় সৃষ্টি করে, যে পরীক্ষা কোমলমতি শিশুদের শ্রান্ত ক্লান্ত করে, যে পরীক্ষা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে সে পরীক্ষা আজই বন্ধ করে দিলে ক্ষতি কী? যেহেতু বন্ধ করবেন; তবে আজ নয় কেন? সময় থাকতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কেননা সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।।  
  •  লেখক
  • মুহাম্মদ আরিফ উদ্দীন
  • ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডরচট্টগ্রাম জেলা।
  • ও  বাংলা প্রভাষক
  • বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া আলিম মাদরাসা।
  • আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।