Loading..

প্রকাশনা

২৭ আগস্ট, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

Road Accident
ঢাকা, বুধবার ৩১ °সে ২৭ আগস্ট ২০১৪ ১২ ভাদ্র ১৪২১ ৩০ শাওয়াল ১৪৩৫ The Daily Ittefaq হোম প্রথম পাতা শেষ পাতা রাজধানী সারাদেশ শিল্প বাণিজ্য বিনোদন প্রতিদিন খেলার খবর আইটি কর্ণার বিশ্ব সংবাদ সম্পাদকীয় উপ-সম্পাদকীয় দৃষ্টিকোন আয়োজন অনুশীলন অন্যান্য তারুণ্যের সমকালীন চিন্তা শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন দ্বিতীয় সংস্করণ যেন মরণ ফাঁদ বিপ্লব কুমার সরকার চন্দন২৭ আগষ্ট, ২০১৪ ইং বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত মোট ১৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে মুখোমুখি। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পার হওয়ার পর গাড়িগুলো ওভারটেকিং-এর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। আর ইচ্ছেমাফিক বেপরোয়াভাবে ওভারটেকিং করতে গিয়েই মূলত মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আর এতে প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন অনেকে, পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। অথচ প্রতিকারে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এ সড়ক চার লেনে সম্প্রসারিত করে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলের হাজার হাজার গাড়ি এই ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহার করে থাকে। সিরাজগঞ্জ রোডে গিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের গাড়ি ভাগ হয়ে যায়। তাই সিরাজগঞ্জ রোডের পর গাড়ির চাপ কিছুটা কমে। এই রোডের সায়দাবাদ, কড্ডা, ঝাঔল ওভার ব্রিজ, কোনাবাড়ী কলেজ মোড়, নলকা, পাঁচলিয়া অধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এছাড়া মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক কিছু বাঁক রয়েছে, বিশেষ করে ঝাঔল ওভারব্রিজের বাঁকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। ব্রিজের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের কোনো যানবাহন দেখা যায় না। চালকরা অনেকটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত বেগে গাড়ি নিয়ে ব্রিজ অতিক্রম করে থাকে। ফলে এই স্থানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখা যায় যে, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের চেয়ে পশ্চিম প্রান্তে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক বেশি। মহাসড়কটির নির্মাণ প্রকৌশলগত ত্রুটি দূর করে অতি সত্বর চার লেনে উন্নীত করে রোড ডিভাইডার নির্মাণ ও বিপজ্জনক বাঁকগুলো প্রশস্ত করে মহাসড়কটিকে নিরাপদ করা অতি জরুরি। মহাসড়কের প্রকৌশলগত ত্রুটি দূর করার মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা যে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব তা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ১১টি বিপজ্জনক বাঁক প্রশস্ত করার ফলে ঐ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কমেছে। সুতরাং একই উদ্যোগ এ মহাসড়কটিতে নেওয়া হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা ইনস্টিটিউট সারাদেশের মোট তিন হাজার পাঁচ শ আশি কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ২০৯টি স্থানকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ ব্লাক স্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে। মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশ ঘটে এইসব ব্লাক স্পটে। এসব ব্লাক স্পট চিহ্নিত হলেও এ বিষয়ে দ্রুত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান যোগাযোগমন্ত্রী মহাসড়কের যে কোনো বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়। তাই আশা করবো বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত মোট ১৮ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে সম্প্রসারিত করে রোড ডিভাইডার নির্মাণ ও বিপজ্জনক বাঁক প্রশস্ত করে মহাসড়কটির প্রকৌশলগত ক্রটি দূর করার আশু ব্যবস্থা গৃহীত হবে এবং সেইসঙ্গে সারা দেশের সকল মহাসড়ক নিরাপদ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কারণ মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ করার সহজ উপায় থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এত উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সিরাজগঞ্জ - See more at: file:///F:/vdo/Desktop/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%20%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%20_%20%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%A8%20%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20_%20%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%95.htm#sthash.2ow7cvk1.dpuf

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি