প্রভাষক
২৩ জুন, ২০২০ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: একাদশ
বিষয়: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র
অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়
ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস মিসরের উৎকর্ষতা দেখে বিস্মিত হয়ে নির্দ্বিধায় মিসরকে ‘নীলনদের দান’ বা ‘The gift of the Nile’ বলে অভিহিত করেন। কেননা মিসরীয় সভ্যতার বিকাশে নীলনদই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। মিসরীয় সভ্যতার সুচনাকারী জনগন পানির প্রাপ্যতা, নীলনদকে কেন্দ্র করে কৃষি উৎপাদন, মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ, পশুপালনের জন্য তৃণভূমির সহজলভ্যতা ইত্যাদি মাথায় রেখে নীলনদের তীরবর্তী অঞ্চলসমূহে বসতি গড়ে তুলেছিল। প্রতি বছর জুন-অক্টোবর বন্যার ফলে নীলনদের উভয় তীর দৈর্ঘ্যে ৬০০মাইল এবং প্রস্থে ১০মাইল পর্যন্ত পলিমাটিতে ভরে যেত। এ কারণে মিসরের জমি খুব উর্বর হতো এবং জনগন সহজেই নরম মাটিতে ফসল ফলাতে পারত।কৃষি উৎপাদন, বাঁধ নির্মাণ কৌশল,সেচব্যবস্থার ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ,অস্ত্র-শস্ত্র তৈরী এক কথায় গুরুত্বপুর্ণ অবস্থান ও নীলনদের ফলে মিসরেই বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটে।