Loading..

ম্যাগাজিন

০৩ জুলাই, ২০২০ ১০:০৩ অপরাহ্ণ

১৬ আগস্ট, ১৯৭১

১৬ আগস্ট, ১৯৭১১৬ আগস্ট, ১৯৭১

  • কুমিল্লা থেকে তিন মাইল উত্তর-পূর্ব দিকে ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের কংসতলা অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। তুমুল সংঘর্ষে কিংকতব্যবিমুঢ় পাকসেনারা পর্যুদস্তু হয়ে তাদের ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই সংঘর্ষে একজন অফিসারসহ ৩০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
  • ৩নং সেক্টরের কটিয়াদীতে হাবিলদার আকমল আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকসৈন্য বোঝাই কয়েকটি মোটর লঞ্চকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর কয়েকটি লঞ্চ বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে ডুবে যায় এবং ১৪৩ জন পাক সৈন্য নিহত ও অনেকে আহত হয়।
  • বগুড়ায় সৈয়দ ফজলুল আহসান দিপুর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সারিয়াকান্দি থানার নিকটবর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামে পাকহানাদারদের একটি দলকে ধলাপাড়া ঘাটে আক্রমণ করে। এতে ৩০ জন পাকসেনা নিহত ও বহু আহত হয়। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম শহীদ হন এবং কাদের সিদ্দিকী আহত হন।
  • নিজামউদ্দিন লস্কর ময়নার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে জয়কলস সেতুর কাছে পাকহানাদারদের আক্রমণ করে। এতে পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালায়। ১২ ঘন্টা ব্যাপী এ যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। যুদ্ধে অধিনায়কসহ ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়।
  • ফেনীতে পাকবাহিনীর দু'টি শক্তিশালী প্লাটুন নাগাইশের দিকে অগ্রসর হলে সুবেদার নজরুল ও সুবেদার মুনিবের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালায়। এতে ২৫ জন পাকসেনা নিহত হয়।
  • ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্কটজনিত পরিস্থিতি স্বাধীনতার পর ভারতের জন্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিপুল শরণার্থীর চাপে ভারতের অর্থনীতি সঙ্কটের মুখে।
  • সামরিক শাসক ১৪ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যকে ২২ আগস্ট সকাল ১০টার মধ্যে নাটোরে ২নং সেক্টরের উপ-সামরিক আইন প্রশাসকের আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। এঁরা হচ্ছেন: রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, মতিউর রহমান, মফিজ আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, মোঃ আজিজুর রহমান, শাহ মাহতাব আহমেদ, মুজিবুর রহমান, মোতাহার হোসেন তালুকদার, আবদুল আউয়াল, আবদুল মোমিন তালুকদার, আবু সাঈদ, এ.বি.এম. মোকসেদ আলী ও অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ আলী।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি