Loading..

খবর-দার

১২ জুলাই, ২০২০ ০৮:১৮ অপরাহ্ণ

যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেতে পারে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে? করোনা ভাইরাস প্যান্ডোমিক শুরু হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৬ আগস্ট পর্যন্ত এ ছুটি থাকবে অর্থাৎ একটানা ১৪২ দিন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এমন অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের হয়নি। মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় একুশ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ের প্রায় এক কোটি ছয় লাখ শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকরা প্রহর গুনছেন কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে? শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে।

কোভিড-১৯ বিশ্বকে এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা দিচ্ছে যা এ শতাব্দীতে আর হয়নি। আমরা কতটুকু প্রস্তুত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই খুলে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেপ্টেম্বর মাসে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে টার্গেট করেই আমাদের শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরিকল্পনা সাজাতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে সরকার শিক্ষা বিস্তারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রূপকল্প-২০২১ এবং এসডিজি-৪ অধরাই থেকে যাবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধকালে পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ৩১ মার্চ ২০২০ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং এটিকে বাড়ির কাজের ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে বিবেচনা করে, যা স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। সরকারিভাবে বন্ধকালে এটিই নির্দেশনা।

ইউএনডিপি এর রিপোর্ট অনুযায়ী (১১-১৫) বছর বয়সী জনসংখ্যা আমাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণিতে এনরোলমেন্ট প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ। এত শিক্ষার্থীকে দূর শিক্ষণের মাধ্যমে লেখাপড়া করানোর বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশের সর্বোত্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটি। হোম স্কুলিং শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট দিচ্ছে, কিন্তু তাদের প্রতিদিনের রুটিন এবং লেখাপড়ার অভ্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে। সরাসরি ফিডব্যাক না দেয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় সময় কম দিচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা টেলিভিশনকে বিনোদন এবং খেলাধুলা দেখার মাধ্যম হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত। হঠাৎ করে লেখাপড়ার মাধ্যম হিসেবে উপযোগী করে গড়ে তুলতে সময় নিবে। পরবর্তী সময়ে হয়তো গবেষণা হবে বন্ধকালে শিক্ষার্থীরা কোন মাধ্যমে শিক্ষার জন্য কতটুকু সময় ব্যয় করেছিল।

বড় শহরে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে অনলাইন ক্লাসের নামে ফেসবুক, ইউটিউব তুলে দিয়ে আমরা ভুল করছি না তো? ভবিষ্যতে এর প্রভাব কি হতে পারে এটিও একসময় গবেষণা হবে। সারাদেশে কতজন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে? অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে না তো! করোনা ভাইরাস প্যান্ডোমিকের কারণে অনেক অভিভাবক চাকরি হারাচ্ছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার কারণে মন্দা, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবকরা অনেক শিক্ষার্থীকে আর স্কুলে পাঠাবেন না। তারা ঝরে পড়বে। 

ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৩০ শতাংশ এর উপরে। অভিভাবকরা অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শিশু শ্রমে পাঠাবেন, তারা বাল্যবিবাহ ও পাচারের শিকার হবে। আইএলও বলেছে, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে শিশুশ্রম বেড়ে যাবে। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট শ্রমশক্তিতে যুক্ত হওয়া সাড়ে ৮০ শতাংশই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।

করোনাভাইরাস মহামারি একুশ শতকের শিক্ষার্থীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। স্কুলে যাওয়া নেই, খেলাধুলার সুযোগ নেই, বন্ধুদের সাথে আড্ডা নেই, ঘরের বাইরে যাওয়া বিধিনিষেধ। শিশু কিশোরদের এই লকডাউন সময়ে নিয়ন্ত্রণ করতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন। দীর্ঘদিন অনলাইনে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করছে। এর ফলে শিশু কিশোরদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দূরশিক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি কখনই প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প হতে পারে না, সহায়ক হতে পারে মাত্র। তাছাড়া দূরশিক্ষণের সকল ধরনের পদ্ধতি আমাদের মতো দেশে বাস্তবায়ন করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তবে এ বিপদকালে ভালো ভূমিকা রাখছে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে আমরা যে খুব সহসাই মুক্তি পাবো এ মুহূর্তে তা জোর দিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারছেন না। তবে কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে থাকবে? বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে (১১-২০) বছর বয়সী সংখ্যা খুব কম; এটি একটি আশার ব্যাপার।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা বিশ্লেষকদের নিয়ে একটি পরিকল্পনা সাজাতে পারে। এখানে আমি আমার কিছু ভাবনা তুলে ধরছি-

  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্কুল খোলার ব্যাপারে স্থানীয় সিন্ধান্ত নিতে হবে। যেখানে যুক্ত থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং ষ্টেকহোল্ডাররা। এ সরকারের আমলে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
  • বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদানের সক্ষমতা আছে কি না তা যাচাই করতে হবে।
  • যাদের শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা আছে সে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমনরুম ও লাইব্রেরিকে শ্রেণিকক্ষ বানাতে পারে।
  • ডিসেম্বরে শুধু পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) তিন মাসের একটি সিলেবাস তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা এখনই করতে হবে।
  • ব্যান বেইসের তথ্য অনুযায়ী, ৫৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে, এটিকে সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। 
  • প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের একপাশে বা সুবিধাজনক স্থানে শিক্ষার্থীদের অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিংক বসিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্বর মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার, লেজার থার্মোমিটার বা পোর্টেবল থার্মোমিটারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার এবং শিক্ষার্থী চিহ্নিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের সহায়তা নিতে হবে।
  • পর্যাপ্ত সাবান,টিস্যু ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।
  • প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষকে আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। কমনরুম এবং সকল ধরনের খেলাধুলা এ সময় বন্ধ থাকবে।
  • করোনা আক্রান্ত শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে না।
  • প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে স্কুলে ফিরে আসতে পারে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে হাইজেনিক প্ল্যান প্রচার করবে।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন পুনরায় খুলবে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে লকডাউনের আগের অবস্থা চিন্তা করবে।। তাই তাদের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনা,পারস্পরিক সম্পর্ক,ভীতিকর অবস্থা অতিক্রমের জন্য মানবিক সাপোর্ট।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমন দিক নির্দেশনা দিয়ে দিতে পারে। এখানে ৬ষ্ঠ, ৭ম এবং ৯ম শ্রেণি সপ্তাহে একদিন ক্লাস করবে। ৮ম ও ১০ম শ্রেণি সপ্তাহে দুদিন। এ দুই শ্রেণি সপ্তাহে একদিন ডাবল শিফটে ক্লাস করতে পারে। প্রয়োজনে কো-এডুকেশন স্কুলগুলোতে বা যেখানে শিক্ষার্থী বেশি সেখানে ডাবল শিফটে ক্লাস পরিচালনা করতে পারে। বিরতিহীনভাবে ক্লাস চলবে।
  • শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পূর্বে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জ্বর মাপা এবং হাত ধোয়ার জন্য স্কুলে প্রবেশের সময় একঘণ্টা এগিয়ে আনা যেতে পারে।
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ করতে হবে।
  • শারিরীক তাপমাত্রা ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
  • শিক্ষার্থীরা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করবে। কখন এ মাস্ক ব্যবহার করবে? যখন তারা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় প্রবেশ করার জন্য অপেক্ষা করবে, স্কুলের আঙ্গিনায় থাকবে (খাবার ও পানীয় জল নেয়া ব্যতীত)। মাস্ক ব্যবহার করবে যখন তারা স্কুল ত্যাগ করবে এবং পথে বিভিন্ন মাধ্যমে যাতায়াত করবে। শ্রেণি কক্ষে মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই।
  • শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা জিগজাগ পদ্ধতিতে বসবে।

সরকার যদি সিন্ধান্ত নেয়,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার,তখন লক্ষ রাখতে হবে যেন এ প্রক্রিয়ার প্রতিটি শিশু অন্তর্ভুক্ত হয় এবং শিক্ষাগ্রহণ করার সুযোগ পায়। প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ভর স্বাস্থ্য সহায়তা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং মানবিক স্বাস্থ্যসেবা পায়। অভিভাবক, স্থানীয় ষ্টেকহোল্ডাররা যথাযথ সহায়তা দিবে শিক্ষার্থীদের যেন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষাগ্রহণ করবে। এ কথা মনে করার কারণ নেই যে, তারা সামাজিকতা ও মিথষ্ক্রিয়তা হারাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সামাজিক ও আবেগীয় সাপোর্ট, যার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সফলতা ও দক্ষতা বাড়াতে পারে। স্কুল তো বৃহত্তর সমাজে টিকে থাকার আরেকটি ছোট সমাজ। যেখানে লড়াই করতে হয়। আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাধ্যমেই উপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষা নিতে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন,  ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য কি শুধুই পরীক্ষা? শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে জ্ঞানার্জন, দক্ষতার্জন, শিক্ষার মূল্যবাধ নিজেদের মাঝে প্র্রোথিত করা, সুনাগরিক হওয়া, বিশ্বনাগরিক হওয়া ‘ আমরা সে পথেই হাঁটছি, তবে যেতে হবে বহুদূর।

লেখক : খন্দকার মো. মাকসুদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মাদারীপুর সদর।